কিছু কথা, কিছু গল্প, কিছু অনুভূতি, কিছু চিত্র বা আচরণ মানুষকে বদলে দেয়। বদলে দেয় মানুষের চিন্তা-চেতনা। কর্মোদ্যম করে তুলে জীবন। আমরা সে পথে হাঁটি। হাঁটতে চেষ্টা করি। মানুষ চিরস্থায়ী নয়। ক্ষণিকের দুনিয়ায় করে বিচরণ। কিন্তু মনে হয় যেন সে চির দিন থাকবে দুনিয়ায়। এটা স্বপ্ন। কল্পনা। বাস্তব নয়। হ্যাঁ, এরপরও মানুষ স্বপ্ন দেখে। চিরদিন থাকতে চায় ধরাধামে। চিরদিন না থাকি, কিন্তু আমার স্মৃতিরা যেন বেঁচে থাকে চিরকাল। সে চেষ্টা করা যায়। কথা আছে না! 'ফুলতো ঝরে যায়, থাকে শুধু বোটা, মানুষ মরে যায় থাকে শুধু কথা। শেখ সাদী রহ. বলেছিলেন, 'ওই ব্যক্তির জানাযার নামায পড় না, যে পৃথিবীতে সময় পেয়েছে অথচ কিছু করে যায়নি।' আমিও বলি, "জন্মেছো তো দাগ রেখে যাও''।
দশ তারীখের রাতে কুরবানী কী করে হয়? আরবী মাসের আগে রাত আসে পরে আসে দিন। তাই দশ তারীখের রাত হবে নয় তারীখের দিন গত হলে যে যে রাতটি আসে সেটি । সেই রাতে তো কুরবানী ঈদের নামাজই হলো না, কুরবানী হবে কী করে? অপর দিকে উনি বললেন, বারো তারীখের রাতে কুরবানী করা যাবে না, কেনো করা যাবে না? উপরের হিসেব মতে বারো তারিখের রাত তো দিনের আগে আসে, সেটা কুরবানী করার সময়৷ কুরবানী অবশ্যই হবে। কেউ এটা বলতে পারবেন না যে, উনি ইংরেজি তারিখের হিসেব করেছেন। কারণ, ইংরেজি তারিখের দশ এগারো বারো তে কুরবানী হয় না ; এটা বরং অনির্দিষ্ট।
ভাই আপনি উনার মাসআলাই বোঝেন নাই। আর বোঝার জন্য ও কথাগুলো বলেন নাই। তা না হলে একথা বুঝতে পারতেন যে, দশ তারিখ রাত্র দ্বারা উনি কোন রাত্রের উদ্দেশ্য নিয়েছে। (আর আমি আপনার সাথে ঝামেলা করতেও আসি নাই এ কারণে পরবর্তীতে কোন উত্তর ও পাবেন না, কারণ আপনার সাথে অহেতুক সময় নষ্ট করার মত সময় আমার নাই।
তিনি বুঝাতে চাচ্ছেন আমাদের দেশে দিন শেষে যে রাত আসে, সেটিকে রাত ধরা হয়, সে হিসেবে বলেছেন। ১২ তারিখের ব্যাপারে তাই বলেছেন, তা ছাড়া তিনি বলেছেন ১২ তারিখের সূর্যাস্তের পরে যে রাত আসে সে রাতে কুরবানী চলবে না। আপনি নিশ্চয় বুঝেছেন কিন্তু রগটা একটু ত্যাড়া মনে হয়
যার উপর পবিত্র কুরবানী ওয়াজিব তার পক্ষ হতেই পবিত্র কুরবানী করতে হবে সম্মানিত হানাফী মাযহাব উনার মশহূর ও গ্রহণযোগ্য মতে, “যে ব্যক্তির উপর পবিত্র কুরবানী ওয়াজিব তার পক্ষ থেকেই পবিত্র কুরবানী করতে হবে। ছহিবে নিছাবের পক্ষ থেকে পবিত্র কুরবানী না করে মৃত ব্যক্তি বা অপরের পক্ষ থেকে পবিত্র কুরবানী করা যাবে না, করলে ছহিবে নিছাব ব্যক্তি ওয়াজিব তরকের গুনাহে গুনাহগার হবে। মূূল ফতওয়া হলো, ছহিবে নিছাব ব্যক্তি তার ওয়াজিব কুরবানী আদায় করে সে অন্য যে কোন ব্যক্তি সে মৃত হোক বা জীবিত হোক তাদের পক্ষ থেকে কুরবানী আদায় করতে পারবে।” এ সম্পর্কিত সঠিক ফায়ছালা বুঝতে হলে পবিত্র কুরবানী উনার সম্পর্কিত মাযহাবী ফায়ছালা সম্পর্কে অবগত হতে হবে। তাই পর্যায়ক্রমে পবিত্র কুরবানী উনার সম্পর্কিত মাযহাবী ফায়ছালা তুলে ধরা হলো- #qurbani !