2009/1 ২৫ ফেব্রুয়ারি ২০০৯ তারিখে বিডিআর দরবার হলে কি ঘটেছিল ? বিডিআর দরবার হলের হত্যাকান্ডের ঘটনা । বিগত ১৫ বছর পূর্বে লেফটেন্যান্ট কর্ণেল সৈয়দ কামরুজ্জামান, জিএস ও-১ , সদর দপ্তর বিডিআর যোগাযোগ পরিদপ্তর, ঢাকা এর বক্তব্য ঃ ইউটিব চ্যানেলে প্রদত্ত বক্তব্য থেকে মুদ্রুণ । অনেক কন্ডিশন আছে আমাদের প্রতি আফসোস করতে আগে পিস্তল দিয়ে ফায়ার করেছি সম্পূর্ণ মিথ্যা কথা । আমি দেখলাম যে পিছন দিক থেকে দুই জন সৈনিক বেল টুপি ছাড়া ক্রস করে একজন বাইপাস করে একজন জাস্ট ডিজির পিছনে এসে দাঁড়িয়ে গেল যেহেতু তারা ডিজির কাছাকাছি ছিলেন ডিওটি ( DOT) ও অন্য একজন অফিসার পাশে DDG ছিলেন উনারা সাথে সাথে গিয়ে তাকে ঝাপটে ধরে ফেলেন এবং DG কে ধরে এক সাইডে করে ফেলে কিন্তু ঐ দিনের Fraction of seceond আমার যতটুকু মনে হয় ঐ দিনে More Than 3000 + সমস্ত জেসিও এবং সৈনিকেরা ছিল । Fraction of Second এর মধ্যে সব আউট হয়ে গেল কোন ফায়ার হয়নি কিন্তু কেন তারা উঠে গেল আমার কাছে খুব আশ্বার্চ লাগল এবং এত স্মোথলি( gSmoothly ) ওখান থেকে চলে গেল যে আমরা যে কয়জন অফিসার ছিলাম জাস্ট ঐ ঘরের মধ্যে একা হয়ে গেলাম আর কেউ নাই । ডিজি মহোদয় যখন আমরা ধরে রেখেছি ডিজি মহোদয় তখন আমাদেরকে স্পষ্ট বলেছে মৃত্যুকে ভয় কর না মৃত্যু একদিন হবে আগে এবং পরে এখানে তোমরা কোন ভয় করো না যদি মৃত্যু হয় সবাইর হয়ে যাবে কোন অসুবিধা নেই But ওদেরকে তোমরা ফায়ার কর না তখনো তিনি বলেছেন ফায়ারের কোন স্কোপ ছিল না যেহেতু আমাদের পার্সোনাল এ্যামুনেশন যে ঐ লোকদের থেকে উদ্ধার করেছিলাম কারণ আমরা যারা ইয়াং ছিলাম তারা বলেছিলাম যে ঐ ৫ রাউন্ড দিয়ে মারি যেহেতু ৫ রাউন্ড দিয়ে মেরে তো কোন লাভ হবে না কারন তখনো তিনি বলেছেন তুমি ফায়ার করনা ঐ টা কিন্তু ওদের হাতিয়ার তখন তারা ঢুকে গিয়ে দুই টা গুলি আমাদের বরাবরে করে But গুলি গুলো উপরে গিয়ে লাগে তখন বললো সবাই বেড় হয়ে আস, আমরা তখন বেড় হয়ে আসি । এক এক জন মোবাইল টোবাইল নিল যা ছিল কেড়ে নিল । কেড়ে নেওয়ার পর আমরা ডিজিকে মধ্যখানে রেখে গোল করে যাচ্ছিলাম তখন ওরা একটি বিশ্রী ভাষায় গালাগালি করে বললো সারা জীবন আমাদেরকে তোরা সিঙ্গেল লাইনে হাটাইছো এখন তোমরা সিঙ্গল লাইনে হাট , তো সিঙ্গেল লাইন যখন করলাম তখন ডিফিনেটলি ডিজি সামনে চলে গেল এবং তখন আমার স্পষ্ট মনে আছে যারা আমাদেরকে উপর থেকে নামিয়ে আসছে তারা আমাদের সবাইকে বল তাছে স্যার আপনাদের কোন অসুবিধা নেই, ভয় নেই , শুধু আপনারা চলেন । তখন আমরা যাচ্ছিলাম কিন্তু দরবার হলের পিছনে যে গেইট আছে ডান হাতে আমার এখনো চোখের সামনে ভাসছে যে, ডিজি মহোদয় জাস্ট ফাস্ট স্টেপটা নিলেন সেই মুহূর্তেই ৪ জন সৈনিক লাফায়ে এসে একটু বাহিরে ছিল আমরা দেখিও নাই এসে ডিজিকে প্রথমে গুলি করলো , ডিজি সাথে সাথেই ওখানে পড়ে গেল , যখন আমরা ডিজিকে লাগড়াতে তখন আরো ৭/৮ জন পিছন থেকে একদল এসে ব্রাস্ট ফায়ার শুরু করে দিল । তখন আমরা সবাই আমরা সম্ভবত ১১ / ১২ জন ছিলাম । ১২ জন থাকার পরে আমরা হলো পিছায়ে আসলাম , আমার ও এক টা গুলি লাগল এখানে এসে সেটা গুলিটা এখান দিয়ে এসে চলে গেল । ওরা ভাবলো আমি মনে হয় মরেছি । আমি তখন ক্রোলিং করে , আমি সামনের দিকের যে ওয়াশিং রুম ছিল , আমি ওয়াশিং রুমে ঢুকে পজিশন নিলাম , বাকী যারা ছিল আর যারা ছিল তারা হয়তো আর কোন সুযোগ পায়নি । ফায়ারের গুলি এতো এত বেশী হইছিল এবং ঐখান থেকে ওরা ওখানে যারা ছিল সবাইকে ওরা মেরে ফেলে ছিল । উইদাউট রিজেন কোন কথা বলেনি এবং কাউকে কোন কথা বলার সুযোগ দেয়নি এবং সবাইকে কি নৃশংস ভাবে মেরে ফেলেছে আমি তা বলতে পারবো না । দরবার হলের নিরাপত্তা অফিসার বিগত ২৫ ফেব্রুয়ারি ২০০৯ তারিখে বিডিআর দরবার হলের নিরাপত্তা অফিসার হিসেবে লেফটেন্যান্ট কর্ণেল সামছুল আরেফিন , অধিনায়ক, ৪৪ রাইফেল ব্যাটালিয়ন, ঢাকা কে নিয়োগ দেওয়া হয়েছিল বলে জানা যায় । একজন উচ্চপদস্থ সেনা কর্মকর্তা দরবার হলের মত গুরুত্ব পূর্ণ স্থাপনায় নিরাপত্তা অফিসারের দায়িত্ব পালন কালে কিভাবে একজন অস্ত্রধারী দরবার হলের মধ্যে প্রবেশ করে ডিজি মহোদয়ের উপর আক্রমণ করার সুযোগ পেয়েছিল ? এই বিষয়ে সেনাবাহিনীর প্রচলিত আইন মোতাবেক এফজিসি এম এর মাধ্যমে দোষী কর্মকর্তা সনাক্ত করতঃ তার বিরুদ্ধে সেনা আইনে বিচারের দাবী জানাচ্ছি ।
বঙ্গবন্ধু রাজাকার তাই তো নিজে পাকিস্তানের মন্ত্রী না হয়ে এদেশের স্বাধীনতা এনে দিয়েছেন । আমার বাবা মামা ফুফা যুদ্ধ করেছেন। আমরা মুক্তি যুদ্ধের ইতিহাস জানি । অপপ্রচার বন্ধ করেন প্লিজ