শুরুতে কোটা আন্দোলন ঠিক ছিল। কিন্ত যারা আন্দোলনের সমন্বয়ক ছিল তারা ও শিক্ষার্থীরা আন্দোলনটা তাদের আয়ত্বে রাখতে পারেনি। উল্টো বিরোধী আন্দোলনে রূপ দিয়ে ফেলছে। এক সময়ে দেশের ও সরকারের বিরুদ্ধে গিয়েছে যা অস্বীকার করার কোন সুযোগ নেই। পূর্বে যারা সরকার নির্বাচিত হয়েছিল তারা কি কেউ জবাদিহির আওতায় ছিল? যারা ক্ষমতায় থাকে তারা দিনকে রাত করে আর রাতকে দিন করে ফেলে। একথা অস্বীকার করার কোন উপায় নেই যে, দূর্ণীতির বীজ বপন হয়েছিল বিএনপির আমলে। দেশের জনগণ আওয়ামী লীগের তরকারী যেমন খেয়েছে আবার বিএনপির তরকারীও খেয়েছে। প্থীবিতে একমাত্র আল্লাহ-রাসুল ছাড়া কেউ নিরপেক্ষ নেই। তাই এই দুই দলকে বাদ দিয়ে সামরিক সদস্যদের মধ্যে যারা খুবই নীতিবান তাদেরকে তীক্ষ্ণভাবে পরীক্ষা নিরীক্ষা করে আগামীর পরবর্তী বাংলাদেশ গড়তে হবে। কারণ আওয়ামী লীগ দলটা ১৯৭০ সালের আওয়ামী লীগ আর নেই। বিএনপির মধ্যে আছে যতসব অনীতিবান, নিষ্ক্রীয় ও মাথা মোটা ব্যক্তিবর্গ। অভিজ্ঞতার ভিত্তিতে দেখা যায় এই দুই দল নিজের স্বার্থকে বেশি গুরুত্ব দিয়ে থাকে। ধারাবাহিকভাবে যদি উভয় দল ক্ষমতার দ্বন্ধে ব্যস্ত থাকে তাহলে দেশের উন্নতি হবে কেমনে? তাই চিরতরে এই দুই দলকে ক্ষমতার খতিয়ান থেকে বাদ দেয়ার চিন্তা করার সময় হয়েছে। নতুবা দেশ ধংসের দ্বার গোড়ায় পৌছতে বেশী দিন লাগবে না। এক দলকে টপকে অন্য দল ক্ষমতায় গেলে দেশে পুনরায় অশান্তি দেখা দেবে তাতে কোন সন্দেহ নেই। উল্লে্খ্য যে জামাত শিবির হেফাজতের কাছেও এদেশ নিরাপদ নয়।
