গানটি শুনে অতীতের স্মৃতি মনে পড়ে গেল। অনাদি বাবুর কন্ঠে এই গানটি গোপালগঞ্জ জেলার অন্তর্গত করপাড়ায় মাতৃভক্ত নিশি বাবুর প্রতিষ্ঠিত মাতৃ তীর্থ আসরে অনেকবার শুনেছি।
শেওলা খেয়ে রুই মাছের ন্যায় হয়না তিতপুটি (গল্প পচার) অল্প জলে কেন করিস ছুটোছুটি। এরেন্ডা গাছ কোনদিন সার দিলেও হয়না শাল তেঁতুল গাছের গোড়ায় গিয়ে জল ঢেলে কি পায় কাঁঠাল আপেল ভেবে ধরে মাকাল খেতে গেলে হবি নাকাল বিকালকে ভাবিলে সকাল (উঠবে না তোর ____)। তুই দুই চারখানা শাস্ত্র পড়ে সেজেছিস বড় বক্তা চৌদ্দ হাত লম্বা হলেও ধানগাছে হয়না তক্তা কেন কথা বলিস গোজামেলে তিমি মাছ জন্মেনা বিলে চারখানি পা আছে বলে _______। তুই মনের ভাবে মূর্তি গড়ে কল্পনায় ভগবান চাস মনে মনে দিল্লি গিয়ে ঘোড়ার ডিমের মামলেট খাস ভুগোল পড়ে আর ম্যাপ দেখে জানা যায়না জগৎটাকে সাজিয়া সাধুর পোশাকে করিসনা আর ভ্রূকুটি। সারা গায়ে কালি মেখে হয়না কবি কালিদাস নলের গোড়ায় নল জন্মে আর বাঁশের গোড়ায় জন্মে বাঁশ তেলাপোকা উড়তে দেখি কেউ তারে বলেনা পাখি দিয়ে লম্বা চুলে মাথা ঢাকি সাধু তো হয়না খাঁটি। অনাদি কয় মিথ্যার আশ্রয় পাবেনা সত্যের তথ্য ___________________ পাবেনা পরমতত্ব না হলে পরে সত্যনিষ্ঠ _______________ সাধন ভজন সবই নষ্ট জীবন তোর হবে মাটি। অনেক পুরনো ভিডিও হওয়ায় গানের কিছু অংশের কথা বোঝা যাচ্ছে না। বারবার গানটি শুনে উপরে লেখা অংশটুকু বুঝতে পেরেছি। যদি কারো কাছে অনাদি সরকার মহাশয়ের গানের বই থাকে বা কারো কাছে লেখা থাকে বা কারো জানা থাকে তাহলে গানটির পুরো কথা কমেন্টে লিখে দিলে ভালো হয়। তাহলে আগামী প্রজন্মের জন্য এই গানগুলি থেকে যাবে, হারিয়ে যাবে না।
ভুলিনি আজও সেই স্মৃতি । আমাদের বাড়িতে বসেছিলো ওনার কবিগানের আসর । আজ থেকে প্রায় ৪৫ বছর পূর্বে । সাথে ছিলেন আর এক কবিয়াল নারায়ন সরকার । বিনম্র শ্রদ্ধা ।
বিভিন্ন পালা গানের শিল্পীদের আলোচনায় নাম আর গল্প শুনেছি ,আজ এখানে এভাবে গাইতে দেখে বিস্মিত হলাম,ধন্যবাদ যারা এগুলো সংরক্ষণ করে আপলোড করেছেন ! উনার সৃষ্টির মাঝে প্রজন্ম থেকে প্রজন্ম বেঁচে থাকবেন ,ঈশ্বরের কাছে উনার আত্মার শান্তি কামনা করি !🙏🙏🙏
পুনর্জন্ম যদি থাকে তবে এনাদের মত মানুষের বারবার জন্ম নেয়ার দরকার। সমাজ কে আর বেশকিছু দেবার জন্য অনেক অনেক জন্ম নেয়ার জন্য ঈশ্বর এর কাছে প্রার্থনা জানাই।