কনসার্টে ছিলাম ইতিহাসের সাক্ষী হতে, কিন্তু এখানে একজন গুনমুগ্ধ শ্রোতা হয়ে গিয়েছিলাম কনসার্ট দেখতে। কিন্তু অপ্রত্যাশিত ভাবে দেখেছি গাজা আর ভ্যাপ আর ইয়াবার নেশায় বুদ হয়ে থাকা একটা প্রজন্ম কে। দেখেছি একেবারে বেহাল্লাপনায় মেতে উঠতে, নিজের চক্ষুলজ্জা বাদ দিয়ে যা দেখলাম তাতে এতটুকু বলতে পারি আগামীদিনের ভবিষ্যৎ এই মুহুর্তে বাংলাদেশে শুন্য।
বাংলা গান শুনলে যতই ক্লান্ত থাকি না কেন তখন আর নিজেকে ক্লান্ত মনে হয় না। এবং যতই মন চনচল থাকে না কেন মধূর শুরে বাংলা গান শোনলে মন স্থির হয়ে মনের কোনে এক প্রশান্তির শোয়া অনুভূতির সৃষ্টি হয় ❤
কোনে কোনো রাতে অপূর্ব জোছনা হয়। সারা ঘর নরম আলোয় ভাসতে থাকে। ভাবি, একা একা বেড়ালে বেশ হতো। আবার চাদর মুড়ি দিয়ে নিজেকে গুটিয়ে ফেলি। যেন বাইরের উথাল পাতাল চাঁদের আলোর সাথে কোনো যোগ নেই। মাঝে মাঝে বৃষ্টি নামে। একঘেয়ে কান্নার সুরের মতো সে শব্দ। আমি কান পেতে শুনি। বাতাসে জাম গাছের পাতার সর সর শব্দ হয়। সব মিলিয়ে হৃদয় হা হা করে উঠে। আদিগন্ত বিস্তৃত শূন্যতায় কী বিপুল বিষন্নতাই না অনুভব করি। জানালার ওপাশের অন্ধকার থেকে আমার সঙ্গীরা আমায় ডাকে। একদিন যাদের সঙ্গ পেয়ে আজ নিঃসঙ্গতায় ডুবছি। -হুমায়ূন আহমেদের একটি বইয়ের শেষ কিছু লাইন।