পৃথিবীতে একটা দল আছে যারা ডিজিটাল পদ্ধতিতে বা শর্টকাট নিয়মে ইসলাম শিক্ষাকে সহ্য করতে পারে না। করণ তারা নিজেরা ২০/৩০ বছর ধরে উস্তাদের কাছে নতজানু হয়ে হাঁটুর চামড়া ক্ষয় করে পড়াশোনার করার পরেও কোনো অমুসলিমকে মুসলিম করতে পারেনি। আর কেউ একজন ৫/১০বছর নিজে নিজে পড়শোনা করে অমুসলিমদের ইসলামের দাওয়াত দিবে এটা কি করে তারা সহ্য করবে। এই কারনে তাঁরা যারা উস্তাদের কাছে থেকে পড়শোনা করেনি তাদেরকে বাতিল বলে ঘোষণা দেয়। একারনে তারা শাইখ নাসিরুদ্দিন আলাবানি, আহমেদ দিদাত, ডা জাকির নায়েক এর মতো মানুষকে সহ্য করতে পারেনা। কারন তারা কোনোদিন মাদ্রাসায় যায়নি। হাঁটুর চামড়া ক্ষয় করেনি। তারা নাকি নিজেরাই নিজেরাই ইসলাম শিখেছে। আমি এইসব হুজুরদের বলতে চায় যে, নিজে নিজে পৃথিবীর কোনো জ্ঞানই অর্জন করা যায় না। তাকে কারো না কারো স্মরণাপন্ন হতে হয়। সেটা বিভিন্ন মাধ্যমে হতে পারে। ক্লাস করে হোক। কোনো বিশেষজ্ঞের বই পরে হোক। অথবা ভিডিও বা অডিও থেকে হোক। নিজে নিজে কিছুই শিক্ষা যায় না। বর্তমানকালে ইউটিউব টিউটোরিয়াল দেখে অনেকেই রান্না শিখছে, হাতের কাজ শিখছে, অনেকেই ব্যবসা শিখে স্বাবলম্বী হয়েছে। এটা চাক্ষুষ সত্য। এখন বলতে পারেন অনলাইনে বা বই পড়ে তো প্র্যাকটিক্যাল সম্ভব নয়। কিন্তু দ্বীন শিখার ক্ষেত্রে প্র্যাকটিক্যালের কি প্রয়োজন? সবই তো থিয়োরি। স্কুল মাদ্রাসায় যেটা হয় আপনি যেটা নিজে গরজ করে শিখবেন না তারা আপনাকে বাধ্য করে সেটা শিখিয়ে দেয়।