আসসালামু আলাইকুম ভাই। আমার ভাই ওখানে দাওরা পড়ার জন্য যেতে চাইচিল পাসপোর্ট ও করছে কিন্তু অনেকে বলছেন ওখানে পড়াশোনার জন্য যাওয়া যায় না।জেলে নিয়ে যায় সেজন্য ব্রাম্মনবারিয়ায় ভাধুগর মাদ্রাসায় ভর্তি হয়েছে। মুফতি লাইনে পড়ার জন্য কিভাবে আমার ভাইকে পাটাতে পারব একটু বলবেন।
ওয়ালাইকুমুসসালাম,,, বর্তমানে রাষ্ট্রীয় সমস্যার কারণে বাংলাদেশ থেকে ছাত্র ভর্তি নিচ্ছেনা। এবং ওখানে যারা দাওরা হাদীস পড়ে শুধুমাত্র ওরাই নম্বর এর ভিত্তিতে ইফতা পড়তে পারবে । বাইরে থেকে কেও ইফতা পড়তে পারবেনা ।
আয় মেরে মাওলা।আমার দয়ার মাবুদ।আমার বড়ো ছেলে ইব্রাহিম মুহাইমিন কে দারুল উলুম মাদ্রাসায় তোমার জাতের এলেম,তোমার নামের এলেম,তোমার রহমের এলেম দ্বীন ও দুনিয়ার এলেম, তোমার দ্বীন কে মানুষের কাছে পৌছে দেওয়ার জন্য , নিজেকে সঠীক পথে পরিচালিত করার জন্য উক্ত মাদ্রাসার ছাত্র হওয়ার জন্য সকল ব্যবস্থা আপনার রহমান নামের বরকত এ ব্যবস্থা করে দেন।। 💕 সবাই আমিন বলবেন ভাই ও বোনেরা।
বাংলাদেশ থেকে দেখছে ভাই দেওবন্দে ৫ম শ্রেনীতে পড়া একটা ছাত্রের মাসিক বেতন- থাকা -খাওয়া কত টাকা লাগতে পারে। এবং মেয়েদের কোন শাখা আছে কি না দয়া করে জানবেন?????
ভাইজান ওখানে থাকা খাওয়া বই পত্র ওষুধ ইত্যাদি একদম ফ্রি বরং ছাত্রদেরকে তারা মাসিক ওয়াজিফা ৫০০/১০০০/১৫০০ টাকা করে দিয়ে থাকে । এবং মেয়েদের কোন শাখা নেই।
মাশাআল্লাহ। কি অপরূপ সৌন্দর্য। কাবা শরীফ, মাসজিদে নববী এবং মাসজিদুল আকসার পরে আমার সবচেয়ে পছন্দের একটি দ্বিনী মাদ্রাসা হলো - দারুল উলুম দেওবন্দ মাদ্রাসা। যখন মাদ্রাসায় পড়তাম তখন মাঝে মাঝে মনে হতো যে,,, ইশশশ,,, যদি ছেলে মানুষ হতাম,,,আর দারুল উলুম দেওবন্দ মাদ্রাসায় পড়ার সুযোগ পেতাম,,,,?? কিন্তু আমরা মুসলমান,,,,,, তাই আল্লাহ পাক আমাদের কে যখন যে অবস্থা তেই রাখেন না কেনো,,,আমরা সর্বদা আল্লাহর কাছে শুকরিয়া আদায় করি।।।। আমি নিজে দেওবন্দ মাদ্রাসায় পড়তে পারিনি ঠিকই, কিন্তু আমার মরহুম শ্রদ্ধেয় আব্বুজান দেওবন্দ মাদ্রাসায় পড়েছিলেন,,,, এখন আমি আমার রবের নিকট এই দোয়া করি যে, আল্লাহ পাক যেনো আমার দুজন ছেলে সন্তান কে,,,দেওবন্দ মাদ্রাসায় পড়ার তৌফিক দান করেন,,, এবং তাদেরকে কাবা ঘরের খাদেম হিসেবে যেনো কবুল করেন,,,, আমিন