১৪.০৪.২০২২ সময় ৬ঃ২২ p.m এই দিন আর সময় টাকে খুব মিস করি.. কারন এই এই দিন টাতে আমার জিবনের শেষ দেখা আর শেষ কথা আর শেষ এক প্লেটে দুজন এক সাথে বসে খাওয়া আর এক সাথে চলা আর পরিশেষে আমার কাছ থেকে যখন আমার ভালবাসার মানুষ টি আসতে আসতে আমার কাছ থেকে বিদায় নিয়ে কথা বলতে বলতে চলে যাচ্ছে তার বাসার উদ্দেশ্যে তখন দুরত্ব যতই বাড়ছে আমার বুকের মধ্যে একটা কাল বৈশাখির ঝড়ের মতো বুকের মাঝ খানটাতে কি যেন হারিয়ে যাচ্ছে আর মনে হচ্ছেছিল আমি হয়ত আর বাঁচব না..কারন কেন জানেন কি...?কারণ আমি আমার প্রিয়তমা ভালবাসার মানুষটাকে শেষ বারের মতো দেখার জন্য আর কথা বলার জন্য ঢাকা গিয়ে ছিলাম..?কারন আমার বিয়ে ঠিক 0:17 করে ফেলেছে আর পরিবার থেকে.? কিন্তু আমি আমার ভালবাসার মানুষটাকে এই কথা টা বলতে পারিনি তখন. যানি এই কথা টা বললে ঔ হয়ত মরে যাবে..আমার বুকের ভেতর হাজারও অশ্রু ভরা দুঃখ কষ্টকে নিয়ে ভালবাসা কে বুকের মাঝ খানে কবর দিয়ে আমি তার সাথে দেখা আর কথা বলার জন্য ঢাকা গিয়ে ছিলাম তাও শেষ বারের মতো ১৪ এপ্রিল ২০২৩. সময় ৬.২২ মিনিট.. তাকে কখনো বুঝতে দেই নি আমি আমার নিজের কষ্ট নিজের বুকের মাঝ খানে কবর দিতে গিয়েছে.. কারণ আমি তাকে নিয়ে এক সাথে ২দিন ১রাত আমরা অনেক দূরে চলে গিয়ে ছিলাম. কিন্তু ওর পরিবার এর জন্য আর আমার পরিবার এর জন্য আমাদের আবার আসতে হয়..তারা আমাদের বিয়ে দেয়ার কথা বলে এনে বিয়ে না দিয়ে দুজন কে দুজনের কাছ থেকে অনেক দূরে সরিয়ে দেয়..? তারপর যোগাযোগ ও বন্ধ করে দেই আমাদের কাছে একটা ফোন ও দেই নাই কেউ..?তারপর আমার মাঝে মাঝে আমার আব্বুর ফোনে ফোন দিত আমার সাথে কথা বলার জন্য কিন্তু আমার বাসা থেকে ওকে না করে দেই আর বকে দিয়েছে..আর আমাকে বন্ধি করে রাখে ঘরের মধ্যে ? এসব এর পর আমার জন্য মেয়ে দেখে বিয়ে ঠিক করে ফেলেছে আর আমার প্রিয়তমা ভালবাসার মানুষটাকে আমার কাছ থেকে দূরে সরিয়ে মধুপুর থেকে ঢাকা পাঠিয়ে দিয়েছে. তারপর আমি আমার সিম নিছি আর ফোনে ওর নাম্বার টা তুলে ফোন দিয়েই ওর কান্না আর কষ্ট গুলো শুনে ঔদিন ঔ মূহুর্তে আমি ঢাকা চলে গিয়ে ছিলাম. তারপর এভাবে আমার বিয়ের আগ পর্যন্ত আমি প্রতিদিন ১৮০ কি.মি রাস্তা পারি দিয়ে একটু দেখা আর কথা বলার জন্য ঢাকা চলে গেতাম..আসলে সত্যি কারের ভালবাসা তে পাগলামি টা থাকে বেশি. আর যে কোন মূহুর্তে আমার প্রিয়তমা ভালবাসার মানুষটা যদি বাংলাদেশের শেষ প্রান্তে যেতে বলে আমি যেতে পারব. এটাই সত্যি কারের ভালবাসার পাগলামি..এ পাগলামি টা সবার জন্য হয় না..?আমার কাছে রাত আর দিন দুটোই এক ছিল.?রাতের গাড়িতে উঠে ঢাকা চলে গেতাম ভোর ৪-৫ টায় নামতাম..আমায় শুধু বলত কেমনে সেই টাংগাইলের মধুপুর থেকে আসো.পরে বলতাম তোমার জন্য যেকোনো সময়ে যে কোন জায়গায় আমি তোমার যেতে পারব..কারন মন থেকে কাউকে ভালবাসলে তার জন্য সব কিছু করা যায়..?কিন্তু সব চেয়ে কষ্টের ব্যাপার হলো আমি তাকে আমার জিবন সঙ্গীনি করতে পারলাম না 😭😭কারন আমি আমার পরিবার এর একমাত্র ছেলে.. হৃদয়.. কিন্তু আমার যদি আর একটা ভাই থাকতো তাহলে আমি আমার বাবা মাকে ছেড়ে আমার প্রিয়তমা কে নিয়ে অনেক দূরে চলে গেতাম.?একটা কথা ভেবে কিছু করতে পারি নি..আমি যদি তাদের কষ্ট দিয়ে পালিয়ে গিয়ে আমার প্রিয়তমা কে বিয়ে করি তারা খুব কষ্ট পাবে..আর আমাকে বলে দিয়েছে ত্যেজ্জ্য পুত্র করে দিবে আর আমাকে কোন দিন বাসায় জায়গা দিবে না..শুধু মা বাবার এই ব্যবহার আর কথা গুলো শুনে আমি আমার প্রিয়তমা কে জিবন সঙ্গীনি করতে পারলাম না.😭😭.মানুষের জীবনে কিছু কিছু চাওয়া পাওয়ার ইচ্ছে টা অপূর্ণ থেকে যায় স্মৃতি হয়ে সারাজীবন নীরবে কাঁদিয়ে যায়... আর এই বুকের ভেতর হাজার কষ্ট দুঃখ নিয়ে সবার সামনে ভালো থালতে হয়..কিন্তু যাকে চাওয়া টা অন্যায় আর পাওয়া টা অসম্ভব..সৃষ্টি কর্তা তার সাথে কেন প্রেম নামের পবিত্র বন্ধনে জড়িয়ে দিলো...তাকে যে মৃত্যুর আগ পর্যন্ত ভূলা যাবে না😭😭..এখনো তার কথা ভাবতে ভাবতে রাতের পর সকাল হয়ে যায় আর কান্না করতে করতে বালিশ টাও ভিজে যাই কিন্তু এই কথা টা কাউকে বলতে পারি না.?কিন্তু আমি আমার প্রিয়তমা কে সারাজীবন নীরবে ভালবেসে যাব নিঃস্বার্থ ভাবে এভাবে আমার শেষ নিশ্বাস ত্যাগ করার পর্য়ন্ত.?ভালবাসা কোনদিন শেষ হয়না আর কমে না বরং দিন দিন তাকে মিস করে ভালবাসা দিন দিন বাড়ে..?এর ২৪ এপ্রিল ২০২২ ৬ঃ২২ মিনিট আমার জিবনের শেষ দেখা আর শেষ কথা আর শেষ বারের মতো তাকে কাছে থেকে ছোঁয়া.. আর ঔ মায়াবী চাহনির ছবি টা আর দেখা হবে না..আর শেষ বারের মতো তাকে আইসক্রিম খাওয়ার মূহুর্ত টা আর আসবে না