আশাপূর্না দেবীর গল্পের অসাধারণত্ব বলবার অপেক্ষা রাখে না।পাঠিকার গল্প চয়নও দেখি অসাধারণ। মানুষের চরিত্রের মনস্তত্বে বিভিন্ন দিক আশাপূর্না দেবী তাঁর গল্পে তুলে ধরেছেন।এর জন্য তাঁর কোন প্রথাগত শিক্ষার প্রয়োজন হয়নি।সংসারে থেকেই তিনি যথেষ্ট সম্বৃদ্ধ ছিলেন। পাঠিকাকে ধন্যবাদ যে তিনি তা উপহার দিয়েছেন। পাঠিকার কন্ঠের যাদুতে এই চরিত্রের আভ্যন্তরীণ মনস্তত্বটি সুন্দর ভাবে ফুটে উঠেছে ।খুব আনন্দ হল
এই প্রজন্মের অনেকেই হয়তো শৈলজানন্দ মুখোপাধ্যায়ের নাম জানেনা। অথচ তাঁর মতো এক জন বিদগ্ধ সাহিত্যিক বাংলার সাহিত্যকে কতটা ঋদ্ধ করেছেন, যারা তার গল্প উপন্যাসের সান্নিধ্যে এসেছেন তারাই জানেন। তাঁরই কাহিনী সম্ভার থেকে একটি সুন্দর ছোটো গল্প আমাদের উপহার দেওয়ায় পাঠিকা কে অভিনন্দন।
খুব ভাল লাগল গল্প শুনে।যেমন গল্প তেমনই পাঠিকার গল্প পাঠ। শুরু থেকেই একটা বিষণ্নতার সুর ধরে এগিয়েছেন পাঠিকা ,সন্তান হীনার অতৃপ্তি র অনুরনণ সুন্দর ভাবে প্রকাশিত।
তারাশঙ্করের গল্পের ঝুলির এক অসাধারণ গল্প। মানুষের মনের আশা আকাঙ্খা কত ভাবে অন্য পথে প্রকাশিত হতে পারে তার এক অপূর্ব নিদর্শন। পাঠিকার কন্ঠের গুণে আরও আকর্ষণীয় হয়ে উঠেছে গল্প টি।পাঠের গুণে আলাদা ভাবে চরিত্র গুলি স্পষ্ট ফুটে উঠেছে।খুব ভাল লাগল।
বাংলা ছোটো গল্পের সম্ভার অসাধারণ বৈচিত্রময় কাহিনীতে পরিপূর্ণ। সেখান থেকে যে রত্ন গুলি তুলে এখানে আমাদের উপহার দিচ্ছেন তা সত্যিই অতুলনীয়। তারাশঙ্কর বন্দ্যোপাধ্যায়ের তাসের ঘর সেইরকমই একটি অনবদ্য ছোটো গল্প। আপনার পাঠে প্রশংসনীয় নিষ্ঠার পরিচয় পাই।
এবারে একটি ভিন্নধর্মী গল্প শুনলাম। শরদিন্দু বাবুর গল্পের মজা, সুচারু পাঠে বেশ আকর্ষনীয় লেগেছে। বিশেষতঃ চরিত্রদের বিভিন্ন কন্ঠস্বর গল্পটিকে আরো মজাদার করেছে।