তোমায় ভালোবাসার আগে গানটার প্রতি একভাবে আসক্ত ছিলাম আর ভালোবাসার পর অন্যভাবে আসক্ত হয়ে গেলাম😅 দিনশেষে বেঈমার রাই ভালো থাকে আফসোস যে আমার ফিলিংস্ টা বুঝলা না তুমি😢
রাত যখন নির্জন এবং নির্ঘুম চোখের সামনে সুন্দর একটা মায়াবী রাত।চারিপাশ নিজেকে জ্যোৎস্নার আলোয় মুড়ে নিয়েছে, আকাশ ভরা অসংখ্য তারা।ঘড়ির কাটা হয়তো বারোটা পার করেছে কিছুক্ষন আগেই।প্রতিদিনের ন্যায় আমি আবার ঘর ছেড়ে হেটে চলেছি আমার গন্তব্যে… ★★★ আমার সামনে একটি বহমান নদী।যার ছলাৎ ছলাৎ শব্দটা অনেকটা ছোটবেলায় আমার মায়ের ঘুমপাড়ানি গানের মতো।ঘরে আজকাল ঘুম আসেনা আমার, তাই প্রতিটা চাঁদনী রাত আমার এই নিঃসঙ্গতা-টাকে টেনে নিয়ে আসে এই খোলা নদীর পাড়ে।বগলদাবা করে রাখা মাঝারি গোছের মাদুরটা সবুজ ঘাসের উপর পেতে আমি শুইয়ে পড়ি সেখানে।আমার বুকের উপর দিয়ে শনশন করে শীতল বাতাস বয়ে যায়, তার সাথে তাল মিলিয়ে সবুজ গাছপালা এবং নদীর স্রোত ভীষন নম্র স্বরে গর্জিয়ে ওঠে, এই গর্জে ওঠা অনেকটা সেই কিশোরীর অভিমানের মতো, যা শুনতে মধুর আর দেখতে আকর্ষণীয়…প্রতিদিন এখানে এসে শোবার পরই একটা করুন বাঁশির সুর শুনতে পাই আমি, মনে হয় কেউ দূর থেকে বাজিয়ে চলেছে আমারই জন্য।যার সুর প্রতিদিন পরিবর্তন হয়, আমার খালি মনে হয়- সেই ব্যাক্তি বোধয় আমার জীবনে প্রতিদিনের ঘটে যাওয়া ভিন্ন ভিন্ন ঘটনা গুলো তুলে ধরে তার সেই ভিন্ন ভিন্ন সুরের মাধ্যমে।আমার চোখ,কান,নাক এমনকি আমার সমস্ত শরীর উপলব্ধি করে নির্জন নদীর পাড়টাকে।ধীরে ধীরে আমার চোখ বন্ধ হয়ে আসে।প্রতিরাতে আমার চোখ বন্ধ হবার পরেই, ক্রমবর্ধমানে পৃষ্ঠা পরিবর্তন হয় একটি নামহীন বইয়ের।আমার চোখের উপর দিয়ে চলতে শুরু করে এক নেশার ঘোর-গাড়ী।চোখ বন্ধ হবার পরই কাকতলীয় ভাবে আমার সামনে ভেসে ওঠে এই নদীটা, ঠিক একই গাছপালা, সবুজ ঘাস, নদীর নীলাভ জল এবং তার একই ছলাৎ ছলাৎ শব্দ- সমস্তটা যেন ছবির মতো ফুটে ওঠে আমার চোখে।তবে এগুলো ছাড়াও আরো একটি জিনিস নেমে আসে আমার এই ছোট্ট শহরটাতে, জিনিস বলা ভুল- আরো একজন।যাকে, জেগে থাকতে আমি প্রতিরাতে খুঁজেছি নদীর এপাড় থেকে ওপাড় অবধি, তবে সে চেষ্টা বৃথা।তাকে দেখাবার আকাঙ্খাই বোধয় প্রতিরাতে আমায় টেনে নিয়ে আসে এখানে, আর আমি বোকার মত ঘুমের ঘোরেই তাকে দেখে যাই, আর সেই বুদ্ধিমতী কিশোরী ছবির মতো আমায় নদীর ওপাড় থেকেই ডেকে যায়।সে জানে, যখন চোখের উপর দিয়ে নেশার ঘোরগাড়ী চলে তখন সাঁতরে নদী পাড় করা যায়না। সেসময়, বেরঙ্গীন নদীর ওপাড়টা আমার কাছে শতরঙে রঙিন।আমি আমার সব কিছুই যেন হারাই সেই রঙিন ছবির নেশায়, আমি কিচ্ছু চিনিনা এমনকি কিচ্ছু জানিও না, যেটা জানি সেটা হলো নদীর ওপারটা।যেখানে চাইলেও আমি কখনো পৌঁছতে পারিনা।আমি সেই কিশোরীকে আরেকটু কাছ থেকে দেখবার কিংবা ছোয়ার অছিলায় ছটফট করতে থাকি।তবে নিয়তি বড়ই করুন, সে আধার রাতেই ঘুম ভাঙিয়ে রুক্ষ বাস্তবতার মাঝে ঠেলে দেয় আমায়।তারপর দেখি নদীর ওপাড় শূন্য!কেউ দেখছে না আমায়, ডাকছে না আমায়।বুঝতে পারি- আমি নিয়তির এক করুন খেলার শিকার, যেখান থেকে আমি সহজে মুক্তি পাবোনা।রঙিন-মায়াবী ছবির মেলায় ভেসে যাওয়ার নেশায় আমি ঘুমানোর চেষ্টা করি আবার।এবং ঘুমাইও।আবার আমার চোখের উপর দিয়ে চলতে শুরু করে থেমে যাওয়া সেই নেশার ঘোর-গাড়ি।সেই কিশোরী নানান ইশারায় আবার ডাকে আমায়, কত কথা বলে,কিন্তু আমি…. ★★★
★★★ এই হলো প্রতি রাতের গল্প আমার।গুমট ঘরটার মধ্যে ঘুম না আসার গল্প।আমার মোবাইলটা বলছে সাড়ে বারোটা বাজতে আর মিনিট পাঁচেক বাকি।আজ একটু তাড়াতাড়িই চলে এসেছি।নদীটা এই মুহূর্তে আমার থেকে বেশি দূরে নয়, আর এক-দু মিনিট হাঁটলেই আমি যেই জায়গায় প্রতিরাতে শুই সেখানে পৌঁছে যাবো।তবে আজ একটা পরিবর্তন লক্ষ্য করছি আমি,আজ আর সেই করুন বাঁশির সুরটা ভেসে আসছে না এপাড়ে, যদিও বড়ই ক্ষীণ সেই তরঙ্গায়িত শব্দটা।তবে আজ বাঁশির সুরের বদলে অন্য একটি সুর কানে বাজছে খুব।কেউ বোধয় হাঁটছে আমার সাথে, কিংবা আমার আশেপাশে কোথাও একটা!!! বেশ ভালোই শুনতে পাচ্ছি নুপুরের শব্দটা।কিন্তু এই মাঝরাতে ফাঁকা নদীর পাড়ে কেই বা আসতে যাবে?আশপাশটা একটু তাকিয়ে দেখলাম, কেউ নেই বটে, তবে বেশ ভালোই কারোর একটা উপস্থিতি অনুভব করতে পারছি এমুহূর্তে।ওই আবার আসছে নুপুরের শব্দটা।ক্রমান্বয়ে তালে তালে বেজে চলেছে সেটা।বোধয়… বাঁদিকে ওই ঘাটে নেমে যাওয়ার সিঁড়ির দিক থেকেই আসছে আওয়াজটা।তাহলে কি??? কি জানি কেন মনে হচ্ছে এই নুপুরের শব্দের সাথে আমার প্রতিরাতের নেশার ঘোরগাড়ীর কিছু একটা সম্পর্ক আছে।হঠাৎই চারপাশটা বড্ড শান্ত শোনাচ্ছে আমার কাছে, ঝিঝি পোকা গুলো আর ডাকছে না, নাইটিঙ্গেল পাখি গুলোও সুর তুলছে না, দূর থেকে কুকুরের ঘেউ ঘেউ করার শব্দটাও এমুহূর্তে আসছে না।নেমে যাওয়ার সিঁড়ির আশপাশটাও সম্পুর্ন ফাঁকা এবং নির্জন, ওদিক থেকে কানে শুধু ভেসে আসছে ছম-ছম একটা শব্দ, একটা জনপ্রাণীও নেই সিঁড়ির আশেপাশে।তাহলে কে ওই সিঁড়ির নীচে? যেটা ভাবছি তাহলে সেটাই কি সত্যি?হঠাৎই বুকের ভিতর, এই নদীর চাইতেও জোর শব্দে একটা ঢেউ খেলে গেলো, বেশ শুনতে পেলাম নিজের ভিতর থেকে উঠে আসা শব্দটা।আমি আর সময় নষ্ট করলাম না, ধীরে ধীরে ঘাটে নামবার সিঁড়ির দিকে এগোতে লাগলাম….
একা, চার দেয়ালে বন্দী, একটা ছোট্ট জানালা(হালকা মৃদু বাতাস আসছে), পর পর দুইটা কিং সাইজ জয়েন্ট শেষ করে। এই গান শুনছি। মেয়ে হিসেবে হয়তো বেশ বেশিই ভেবে নিবেন! তাও এটা কিছু না বলে স্বস্তি দিচ্ছি। আসলে ভাবতেই অবাক লাগে একটা সময় আমিও সাধারণ মেয়েদের মত জীবন যাপন করতাম। এখন নেশার বোঝার জগতে ঘুরি একটু শান্তির খোঁজে❤
আরে ভাই নেশা করেই যে গান শুনে ফিল নিতে হবে এর কোনো মানে নাই। আজাইরা সব। আমিতো আমার ও আমার ভালোবাসার মানুষটার, মানে আমাদের পুরোনো স্মৃতি মনে করি আর এই গান টা শুনি। হারিয়ে যাই এক অচেনা জগতে। সম্পর্ক এখনো আছে। তবে আগেকার স্মৃতি গুলো অনেক নেশাক্ত।
আমাদের সম্পর্ক ছিলো ৭ বছরের,🥀 আমরা একই ক্লাস এ পরতাম!😌 দ্বিতীয় ক্লাস থেকে ওর সাথে আমার পরিচয়!😇 দ্বিতীয় ক্লাস থেকে ও আমার বন্দু ছিলো" আমরা সব সময় বন্দুর মতোই থাকতাম"🥰 আমাদের বন্দুতটা ছিলো আনেক সুন্দর বন্দু হিসেবেই আনেক বছর কেটে গেলো!🌺 আমি জানতাম সে আমাকে ভালোবেসে ফেলেছে" আর সে ও জানতো আমিও ওকে ভালোবাসি!🖤🥀কিন্ত সাহস কইরা কেও কেওরে বলতাম নাহ!💝 আমার এখনো মনো আছে ফেব্রুয়ারির ১৫ তারিখ ২০১৫ তখন আমরা ষষ্ঠ শ্রেনিতে পরি।🥀সে আমারে একা নতুন ভিল্লিং এর ছাদে ডাকলো😑 আমি গেলাম যায়া দেখি দারায়া আছে!🤔আমি বল্লাম কিছু বলবি সে বলে,🌿 আমি তোমাকে ভালোবাসি!!😇 আমি আনন্দের অনুভূতিতে তারে জরিয়ে ধইরা বল্লাম আমিও তোমারে ভালোবাসি!😇 তার পর আমাদের সম্পকটাতে অনে ঝগড়া বিবাদ" আনে সন্দেহ, ফেমেলির বাধা, আও আনেক প্রেষার আমরা ২ জন সজ্জ কইরা সম্পর্কটা ৭ বছর পর্যন্ত টিকায় রাখরাম!!😇 সে গাজীর থেকে তার গ্রাম ময়মনসিংহ যাঔয়াপরেই আস্তে আস্তে সে আমার অবহেলা করতে শুরু করলো!🙂 এখন আনেক অবহেলা করতো গ্রামে যাওয়া পর আগেম মতো কথা বলতো নাহ😅কোনো কার ছারা ঝগরা করতো।😟তাও তারে ধইরা রাখার চেষ্টা করছি!তার সব কিছু সজ্জ করছি!🙂 আজ থাইকা ৮/৯ মাস আগে সে আমাকে খারাপ ভাষায় বাকা দিছে🙂 তখন আমি আর সজ্জ করতে পারি নাই! সে আর আমারে চায় না!🙂🥀 যতই ঝগড়া লাগুক আমরা ১০/১৫ দিনের বেশি কথা না বইলা থাকতে পারতাম না!🙂 আর আজ ৮/৯ মাস হয়ে যায় তার সাথে আমার কেনো কথা হয় না🙂 আমি এখন এক জিন্দা লাশ হয়া গেছি!🙂🥀 প্রিয় তুমি এইটা না করলেও পারতা!!🖤🥀