জগতে কিছু মানুষ থাকেন, মৃত্যুর পর তাঁরা যেন সবার হৃদয়ে আরও বেশি ভালোবাসায় জড়িয়ে থাকেন। তাঁদের কোনো মৃত্যু হয় না। মানুষের মনে চিরকাল অমর হয়েই থাকেন তাঁরা। সেলিব্রেটিদের ক্ষেত্রে এ ব্যাপারটি বেশি ঘটে। বাংলাদেশের চলচ্চিত্রে তেমনই একজন অভিনেতা মান্না। বলা হয়ে থাকে, যেদিন মান্নার মৃত্যু হয়েছে সেদিন থেকে আসলে বাংলাদেশের চলচ্চিত্র ইন্ডাস্ট্রিরও মৃত্যু হয়েছে। কারণ তার মৃত্যুর পর থেকেই বাংলা সিনেমার দুর্দশা শুরু হয়েছিল। তবে মান্নার মৃত্যু নিয়েও আছে অনেক রহস্য। মান্না অনেকটা সুস্থ অবস্থায় হাসপাতালে গিয়েছিলেন আর ফিরেছিলেন লাশ হয়ে। আসলে কি হয়েছিল তার সাথে? এর পেছনে কারা ছিল? আজকে আমরা জানবো মান্নার জীবনী ও তার মৃত্যুর পেছনের রহস্য সম্পর্কে। তো চলুন শুরু করা যাক।
নায়ক মান্না জন্মগ্রহণ করেন ১৯৬৪ সালের ১৪ এপ্রিল টাঙ্গাইলের কালিহাতী উপজেলার এলেঙ্গায়। তার পুরো নাম সৈয়দ মোহাম্মদ আসলাম তালুকদার মান্না। তার পিতার নাম নুরুল ইসলাম তালুকদার ও মাতা হাসিনা ইসলাম। শৈশব থেকেই মেধাবী মান্না মাধ্যমিক ও উচ্চ মাধ্যমিক পরীক্ষায় পাশ করে ঢাকা কলেজে স্নাতকে ভর্তি হন। ছোটবেলা থেকে সিনেমার প্রতি তার ছিল প্রচন্ড ঝোঁক। কলেজে পড়ার সময় প্রচুর সিনেমা দেখতেন। নায়ক রাজ্জাকের সিনেমা হলে তো কথাই নেই। মূলত নায়ক রাজ্জাকের সিনেমা দেখতে দেখতেই তিনি অভিনেতা হবার স্বপ্ন মনের মধ্যে বুনেছিলেন। অনেকের ইচ্ছা থাকে ডাক্তার, ইঞ্জিনিয়ার হওয়ার। কিন্তু তার ইচ্ছে ছিল নায়ক হওয়ার। স্বপ্ন দেখতেন তিনিও একদিন অভিনয় করবেন। একদিন বলাকায় সিনেমা দেখতে গিয়ে চোখে পড়ে নতুন মুখের সন্ধানে বিজ্ঞাপন। তারপর টিভি আর পত্রিকায় দেখে বন্ধুদের সঙ্গে পরামর্শ করে তিনি interview দেন. সুযোগও পেয়ে যান। উনিশশো চুরাশি সালে নতুন মুখের সন্ধানে কার্যক্রমের মাধ্যমে চলচ্চিত্র অঙ্গনে পা রাখেন আসলাম তালুকদার। তখনও তিনি জানতেন না যে তিনি একদিন হয়ে উঠবেন ঢাকাই চলচ্চিত্রের কিং।
18 сен 2023