আসলে পুরানো সাংস্কৃতি গুলো এখন আস্তে আস্তে বিলুপ্ত হোয়ে যাচ্ছে তবে আপনারা ধরে রেখে ছেন এজন্য আপনাদের অসংখ্য ধন্যবাদ জানাই আমি জগদীশ চন্দ্র মন্ডল টুংগী পাড়া লেবুতলা আমার বাড়ি
যবে থেকে গুনাই বিবি, জয়নব উদ্ধার, এজিদ বধ আর রাজা হরিশচ্ন্দ্র, সীতার বন বাস, নিহত গোলাপ যাত্রা পালা বন্ধ হতে থাকল, সার্কাস বন্ধ হল তবে থেকে মনষের মনুষ্যত্ব বোধ হারাতে থাকল। অসাম্প্রদায়িক চেতনা বিলুপ্ত হতে থাকল।এটা যখন তীব্র বাঁধা গ্রস্থ করার জন্য রমনা বটমূলে উদীচীর অনুষ্ঠানে বোমা হামলা, ময়মনসিংহের সিনেমা হলে বোমা, লালন মেলায় সন্ত্রাসী হামলা, যশোরে হামলা হতে থাকল তার চুড়ান্ত ফল হলি আর্টিজানে নৃশংস হত্যা যজ্ঞ, চুড়াশির ২১ আগষ্টের গ্রেনেট হামলা। সংস্কৃতি ছাড়া জাতিসত্ত্বা মরে যায়,ধ্বং হয়, যেমন পাকিস্তান, আফগানিস্তান তেমনি বাংলার পুরানো ঐতিহ্য বাঁধা বিঘ্ন ঘাটায়ে, ধ্বংস করে এসিড সন্ত্রাস,আগুন সন্ত্রাস, ধর্ষণ বৃদ্ধি পেয়েছে। ধর্মীয় শ্লোগান বৃদ্ধির অন্তরালে, ধর্মীয় লেবাজের অন্তরালে নীতিনৈতিকতা বর্জিত কাজ বৃদ্ধি পেয়েছে। পারিবারিক বন্ধনকে ছিন্ন করে একক পরিবার বা ভালথাকার বাসনায় কি পেয়েছি হৃদয়হীন ভালবাসা, পরকীয়ার কারনে তালাক, ভালথাকার পরিবর্তে অসুস্থ পরিবেশ ও পরিবার পেয়েছি, অসুস্থ্য সন্তান পেয়েছি। আসুন আমরা যৌথ পরিবার গঠন করি, পুরান সংস্কৃতির চর্চা করি, বাঙ্গালির সংস্কৃতিকে লালন করি। তবেই মনুষ্যত্ব বোধ জাগ্রত হবে, মানবতার জীবন সঞ্চার হবে।
বাংলাদেশ এ এখনও আছে। সংখ্যালঘু সম্প্রদায়ের মধ্যে এরকম অনেক কিছু ছিল যা হারিয়ে গেছে।যাওবা দুএকটা আছে থাকবে কিনা জানিনা। নতুন করে এদের সহযোগিতা করে হারানো ঐতিহ্য সংস্কৃতি ফিরিয়ে আনতে চেষ্টা করা উচিত।
আহারে সেই দিন। আমাদের একটা অষ্টক গানের দল ছিল। আমি সেই দলে লক্ষণ সাজতাম। আমার এক দাদা রাম সাজত। বাবা বাঁশি বাজাত আমার জ্যাঠা হারমোনিয়াম বাজাতো আর গ্রামের বিভিন্ন জনে বিভিন্ন ভূমিকায় সাজত। আমার এক দাদা হনুমান সাজত। রাতের বেলা যখন আমরা গান গাইতাম দাদা প্রত্যেক বাড়ি আগে পৌঁছে যেত। পাশে কোন গাছ থাকলে সেই গাছে উঠে পড়ত। আর আমরা পৌঁছে যখন গান শুরু করতাম তখন গাছ থেকে লাফ দিয়ে লোকের মধ্যে পড়ত ।আর সবাই ভয় পেয়ে যেত। কারো কারো ঘরে ঢুকে পড়ত। টাকা খাবার না দিলে বেড়তোই না। দাদা পরে আবার সেই খাবার আমাদের ভাগ করে দিত। আমার এক পিসেমশাই শিব সাজত। তিনি প্রত্যেক বাড়িতে গিয়ে দরজার সামনে চিৎ হয়ে শুয়ে পড়ত। শিব যেমন শুয়ে থাকে। তারপর চাল পয়সা দিলে গানের মধ্যে এসে নৃত্য করত। খুব সুন্দর নাচত শিব। একেবারে শিবনৃত্য। আমি তখন খুব ছোট। বাবার কাঁধে করে নিয়ে যেত লক্ষণ সাজিয়ে। আহারে !সেই দিন কি আর ফিরে পাবো? এখন ৫১ বছর বয়সে এই ভিডিও দেখে সেই স্মৃতি চোখের সামনে ভেসে উঠল। ধন্যবাদ ভিডিও পোষ্টদাতাকে। ছোটবেলার সেই স্মৃতি স্মরণ করিয়ে দেয়ার জন্য।
নস্টালজিয়া।মন হারিয়ে যায় পুরানো দিনের সেই সময়ে। ফিরবে না অনেক কিছু হারিয়ে যাচ্ছে আধুনিকতার করাল গ্রাসে। অসহায় এই অধঃপতন দেখা ছাড়া কিছুই করার নেই আমাদের।
Chhoto belay dekhesi, aj sei bari, sei gram,aro aro anna gram, kothay chhilam kothay alam, khare, gurgure, chitalmari,andarmanik,aro kato,kalkaler hat, from W,B,kolkata
কিছুই তো বোঝা যাচ্ছে না। অষ্টক গানে রাম সীতা লক্ষণ কৃষ্ণ রাধা শিব পার্বতী হনুমান ইত্যাদি চরিত্র থাকত । গানের কথা অনুযায়ী সেই সব চরিত্র অভিনয় করত । এখানে তো তেমন কিছুই নাই। শুধু গানের সুরটা ঠিক আছে। কিন্তু গানের কথা তো বোঝাই যাচ্ছে না।