👆 ভারতীয় দার্শনিক দৃষ্টিতে জগতের স্বরূপকে নানা ভাবে বিশ্লেষণ করা হয়েছে। সুদূর কাল হতেই ধীমান ঋষিকুল লক্ষ্য করেছেন, সকল সৃষ্টির মূলেই রয়েছে আত্মপ্রকাশের এক অবিরাম দুর্বার আবেগ। এক অন্তহীন অভিসার। নিজেকে প্রকাশ করার বিপুল প্রয়াস। এই ছুটে চলার পাগলপারা দুর্বার গতি কেবল যে প্রাণের মধ্যে পরিলক্ষিত হয় তাতো নয়, স্তব্ধ মহামৌনতার হৃদয়েও সেই অবিরাম ছুটে চলার ছন্দও পরিস্ফুট। তার চলা নবীন পাতায়, ফুলের ধারায় কিংবা কল্লোলিনী নির্ঝরনীর চরম পুলকে। তার চলা যায় না বলা। আকাশ বোঝে আনন্দ তার, বোঝে নিশার নীরব তারা। আত্মবিসর্জন দিয়ে, আপন সত্তার বিলুপ্তির মধ্য দিয়ে আপন রসময় আত্মপ্রকাশ। আপনাকে আপনি আস্বাদন। একটি রূপান্তর বা মৃত্যুর মধ্য দিয়ে অমৃত সুধা পান। বৈদিক দৃষ্টি বা দর্শন একেই বলছে "অগ্নি-সোমাত্মক দৃষ্টি। তন্ত্র দর্শন তাকেই বলছে বাগ্-বিভূতি বা শব্দপ্রভব বাক্ এবং অর্থের মিথুনীকৃত লীলা। তন্ত্র দর্শনের অর্ধনারীশ্বর মূর্তি। কুমার সম্ভবের মূল কারণ। অবসরের কথা-বাসরের ৩১তম পর্বে ভারতীয় দর্শনের সৃষ্টিতত্ত্বে বৈদিক ও তান্ত্রিক দৃষ্টির পরিচয় তুলে ধরা হলো, অপর তিনটি, যথাক্রমে বৈষ্ণব মহাজনদের, যোগের ঋষিদের এবং বৈদান্তিক ঋষিদের দৃষ্টি পরিচয় আগামী পর্বে তুলে ধরা হবে 🙏