কোন আম দেখতে কেমন? একই ধরনের দেখতে নানান জাতের আমগুলোর আলাদা বৈশিষ্ট্য কী জানতে আম চাষী ও গবেষকদের সাথে কথা বলেছেন বিবিসির শাহনেওয়াজ রকি আমাদের সঙ্গে যুক্ত হতে পারেন: www.bbc.co.uk/bengali / bbcbengaliservice / bbcbangla
যদি নির্দিষ্ট ময়ের আগে বাজার থেকে আম কিনি তাহলে হয়তো কার্বাইড দিয়ে পাকানো আম খেতে হবে । কিন্তু নির্দিষ্ট সময়ের আগেই আম পেরে ঢাকায় নিয়ে কার্বাইডে দিয়ে পাকানোর পরে ফরমালিন দিয়ে তাজা রেখে ঠিক নির্দিষ্ট সময়ের দিন গুদাম থেকে বের করে বিক্রি করে তাহলে কি করবেন । কারণ নির্দিষ্ট সময় আম পারলেও পাকতে আরো তিন চার দিন সময় লাগে । কারণ আম পারার পর পরই তো আর বাজার জাত করা যায় না । আবার দরুন ঠিক সময়ের এক মাস পরে যদি কিনি তাহলে ফরমালিন দিয়ে তাজা রাখা ( জিয়িয়ে রাখা) আম খেতে হবে । সাধারণ ক্রেতাদের কাছে বলবে এটা নাভি সিজনের আম । তাই বলছিলাম এই ভেজাল কারি নটির পোলা হারাজাদার বংশধর যত দিন বেঁচে থাকবে বা আছে তত দিন কোন দিকেই শান্তি নাই । না সময়ের আগে না সময়ের পরে । তাই বলছিলাম এই বছর থেকেই শুরু করুন যার জিম্মায় কার্বাইড দিয়ে পাকানো বা ফরমালিন দিয়ে তাজা রাখা আম পাওয়া যাবে তাদের মধ্যে অন্তত বেশি অপরাধী দশ জন কে দরুন । ক্রস ফায়ার দেওয়ার দরকার নাই । খোলা মাঠে জনতার সামনে সোজা-সুজি গুলি করে মারুন দেখবেন আর কেউ কার্বাইড, ফরমালিন মেশানো তো দুরের কথা, ঐ কার্বাইড ফরমালিনের নামই ভুলে যাবে । মনে থাকলেও উচ্চারণ করতে ভুলে যাবে । উচ্চারণ করতে চাইলেও উচ্চারণ করতে পারবে না। জিহ্বা জরিয়ে যাবে । তাতে করে সতেরো কোটি মানুষ বেঁচে যাবে । আমার তো মনে হয় চুরি, ডাকাতি করা যত বড় অপরাধ । ভেজাল কারিরা তার থেকে কোটি কোটি গুুন বেশি অপরাধী। কারণ আমার বা আপনার টাকা কেউ যদি চুরি করে নিয়ে যায় বা রাস্তা থেকে ডাকাতি হয়ে যায় । আমি বা আপনি যদি সুস্থ সবল থাকি। আবার পরিশ্রম করে ইনকাম করতে পারব । কিন্তু যদি ঐ নটির পোলাগোরে কার্বাইড ,ফরমালিন খেয়ে ক্যানসারে আক্রান্ত হন তাহলে তো আপনি মরে যাবেনই তদুপরি আপনার ছেলেমেয়েদের ভবিষ্যত অন্ধকারে ফেলে গেলেন। কারণ যে কয়দিন বেঁচে থাকবেন সেই কয় দিন চিকিত্সা করতে করতে সারা জীবন আপনি যা উপার্জন করেছিলেন সেখানে থাকবে শুধু শূন্য । ছেলেমেদের জন্য আপনার উপার্জিত অর্থ করি আর অবশিষ্ট কিছুই রেখে যেতে পারবেন না । যদি খাদ্য পন্য,ফলমূল কার্বাইড ,ফরমালিন , কীটনাশক মুক্ত করা যায় তাহলে দেশও অর্থনৈতিক ভাবে অনেক তারাতারি এগিয়ে যাবে । ভাবছেন কার্বাইড, ফরমালিন, মানুষ মারার সাথে অর্থনৈতিক উন্নয়নের সম্পর্ক কি । আমি ইউরোপের একটা দেশে আছি, এই দেশে প্রচুর বাংলাদেশী আছে । এই সমস্ত বাংলাদেশীরা এই দেশে পরে থাকে শুধু টাকার নেশায় । মনটা পরে থাকে দেশে দেশের মানুষের প্রতি আত্মীয় স্বজনের প্রতি, মা বাবা, সন্তানদের প্রতি ,সর্বপুরি দেশের অর্থনৈতিক উন্নয়নের প্রতি । সবথেকে বেশি পরে থাকে দেশের খাদ্যের প্রতি । কারণ আমি, আপনি টাকা পয়সা ইনকাম করি কেন? একটু ভাল জিনিস খাব,ছেলেমেয়েদের মুখে ,মা বাবার মুখে অনেক না হলেও একটু নির্ভেজাল খাটি খাবার তুলে দিব। তারা সুস্থ থাকবে তাই নয় কি । সেই জন্য বাংলাদেশের যে সমস্ত মানুষ আছে তারা ঐ সব শাকসবজি, ফলমূল দেখলেই কিনবে । কিন্তু এই দেশে বা ইউরোপের অনেক দেশেই বাংলাদেশের শাকসবজি, ফলমূল প্রবেশ নিষেধ । সেহেতু আফ্রিকা, দক্ষিণ আমেরিকার অনেক দেশে থেকে বাংলাদেশী শাকসবজি যেমন লাউ,পটল,কাঁচা মরিচ, শজনে ডাঁটা, সিম,করলা,চিচিঙ্গা,কিছু ফল যেমন কলা,আম,লিচু,কাঁঠাল, তরমুজ, আনারস ইত্যাদি । বাংলাদেশীটা পাওয়া যায় না তো কি আর করা ঐ গুলোই বাংলাদেশী মনে করে খায়। ঐযে দুধের স্বাদ ঘোলে মেটানোর মতো আর কি। আর ঐ সমস্ত শাকসবজি বাংলাদেশের শাকসবজির মত অতো স্বাদ লাগে না । তবুও দেশের শাকসবজি বা দেশের ফলমূল বলে কথা । আম আসে মুলত ভারত,পাকিস্তান, থাইল্যান্ড থেকে । তাই বলছিলাম এদেরকে দমন করতে না পারলে শুধু উন্নয়নের গান গেয়ে কোন লাভ হবে না । ঐ নটির পোলা, হারামজাদাগোরে গুলি করে মেরে ফেলার কথা বলছি, হয়তো অনেকেই বলবেন মারা ঠিক হবে না । কিন্তু একবার চোখ বুঝে ভাবুন আর কি করতে পারেন । আইন কানুন তো অনেক ভাবেই প্রয়োগ করে দেখা হলো । কিন্তু ঐ নটির পোলারাগোরে তো থামানো যাচ্ছে না । দিন যত যাচ্ছে ততই বেড়েই চলেছে ক্যানসারের মতো । কাজেই ঐ ক্যানসার আক্রান্ত অংশ কেটে ফেলা ছাড়া আর কোন উপায় নাই । এটা এমন পর্যায়ে পৌছে গেছে যে এখন আর থেরাপি দিয়ে নিরাময় করা যাবে না । ঐ নটির পোলারা দেশের জন্য যে কত বড় অভিশাপ, কত বড় বিষ ফোড়া ,কত বেশি পয়েজন মিশ্রিত,কত বেশি ক্ষতিকর, কত বড় বেইমান আমার মনে হয় এইটা নিয়ে গবেষণা করলে বিরাট একটা গবেষণা পত্র লেখা যাবে ।
ধন্যবাদ বিবিসি বাংলা কে এমন অসাধারণ, তথ্যবহুল, সময় উপযোগী, নিউজ দেয়ার জন্য। মানুষই মানুষকে ঠকায়। তার মানে প্রকারন্তরে যে অন্যকে ঠকাচ্ছে, সে নিজেকে ঠকাচ্ছে।
বিষয় বস্তু ত বটেই, মুরুব্বির ভাষা আর শব্দশৈলীতেও আমি মুগ্ধ। মিষ্টতা, খাবার বাসনা প্রকাশ - ইত্যাদি কিন্তু গ্রামের হিসেবে সফিসটিকেটেড এনাফ। ইদানিং এমন বাংলা কমে গেছে।