১. সুরা আ’রাফ ৭:৫৪: “নিশ্চয়ই তোমাদের প্রতিপালক হচ্ছেন সেই আল্লাহ যিনি আসমান ও যমীনকে ছয় দিনে সৃষ্টি করেছেন, অতঃপর তিনি আরশে সমাসীন হন |” ২. সুরা ইউনুস ১০:৩: “নিশ্চয়ই তোমাদের প্রতিপালক আল্লাহ, যিনি আকাশমণ্ডলী ও পৃথিবী ছয় দিনে সৃষ্টি করেছেন। অতঃপর তিনি আরশে সমাসীন হন |” ৩. সুরা রা’দ ১৩:২: “আল্লাহই ঊর্ধ্বদেশে আকাশমণ্ডলী স্থাপন করেছেন স্তম্ভ ব্যতীত - তোমরা এটা দেখেছ| অতঃপর তিনি আরশে সমাসীন হন |” ৪. সুরা ত্ব-হা ২০:৫: “দয়াময় (আল্লাহ) আরশে সমাসীন|” ৫. সুরা ফুরক্বান ২৫:৫৯: “তিনি আকাশমণ্ডলী, পৃথিবী এবং এতদুভয়ের মধ্যবর্তী সমস্ত কিছু ছয় দিনে সৃষ্টি করেন; অতঃপর তিনি আরশে সমাসীন হন। তিনিই রহমান,তাঁর সম্বন্ধে যে অবগত আছে তাকে জিজ্ঞেস করে দেখ |” ৬. সুরা সাজদাহ ৩২:৪: “আল্লাহ তিনি, যিনি আকাশমণ্ডলী, পৃথিবী ও এতদুভয়ের অন্তর্বর্তী সবকিছু সৃষ্টি করেছেন ছয় দিনে। অতঃপর তিনি আরশে সমাসীন হন |” ৭. সুরা হাদীদ ৫৭:৪: “তিনিই ছয় দিনে আকাশমণ্ডলী ও পৃথিবী সৃষ্টি করেছেন, অতঃপর আরশে সমাসীন হয়েছেন।” ৮. সুরা নিসা ৪:১৫৮: ‘বরং আল্লাহ তাকে (ঈসাকে)নিজের দিকে উঠিয়ে নিয়েছেন |” ৯. সুরা আলে ইমরান ৩:৫৫: “স্মরণ কর, যখন আল্লাহ বললেন, হে ঈসা! আমি তোমার কাল পূর্ণ করছি এবং আমার নিকট তোমাকে তুলে নিচ্ছি |” ১০. সুরা মুলক ন৬৭:১৬-১৭: “(১৬) তোমরা কি নিরাপদ হয়ে গেছ যে (এ বিষয়ে), যিনি আকাশের উপর রয়েছেন তিনি তোমাদেরসহ ভূমি ধসিয়ে দিবেন না? আর তখন ওটা আকস্মিকভাবে থরথর করে কাঁপতে থাকবে| (১৭) অথবা তোমরা কি নিরাপদ হয়ে গেছ যে, আকাশের উপর যিনি রয়েছেন তিনি তোমাদের উপর পাথর বর্ষণকারী ঝঞ্ঝাবায়ু প্রেরণ করবেন না? তখন তোমরা জানতে পারবে কিরূপ ছিল আমার সতর্কবাণী|” ১১. সুরা মুমিন ৪০:৩৬-৩৭: “ফেরাঊন বলল, হে হামান! তুমি আমার জন্য এক সুউচ্চ প্রাসাদ তৈরী কর| যাতে আমি অবলম্বন পাই আসমানে আরোহনের, যেন আমি দেখতে পাই মুসা (আ:)এর মা’বুদকে|” ১২. সুরা হাক্কাহ ৬৯:১৭: “ফেরেশতাগণ তাঁর (আল্লাহর) পার্শ্বে পার্শ্বে থাকবে এবং সেদিন (কিয়ামতের দিন) আটজন ফেরেশতা তোমার প্রতিপালকের আরশকে নিজেদের উপরে বহন করবে|”
আল্লাহ্ তায়ালা আছেন আসমানে মহান আরশের উরধে সমুন্নত, সবকিছু তাঁরই ক্ষমতা, জ্ঞান, দৃষ্টি ও নিয়ন্ত্রণে কোথাও কিছু নেই আল্লাহ্র মতো। আমাদের প্রতিপালক আল্লাহ সুবহানাহু ওয়া তায়ালা। আল্লাহ ছাড়া কোনো 'সত্য মাবুদ ' / 'সত্য ইলাহ' নেই। আল্লাহ তায়ালা আসমানে 'আরশের ঊর্ধ্বে সমুন্নত। কোরআন আল্লাহর বাণী। আল্লাহ এক ও অদ্বিতীয় একমাত্র উপাস্য। আল্লাহ ব্যতীত ইবাদত পাবার যোগ্য কেউ নেই । মুহাম্মাদ সাল্লাল্লাহু আলাইহি ওয়াসাল্লাম আল্লাহর বান্দা ও রাসূল । ♥♥♥ সকল প্রশংসা একমাত্র আল্লাহ্র সকল ক্ষমতা ও সকল রাজত্ব, সুন্দর নাম, পূর্ণ গুণ একমাত্র আল্লাহ্র বিশুদ্ধ ও অবিভাজ্য তাঁরই একত্ব। কোরআন আল্লাহর বাণী। মুমিনদের উপর কুরআনের অধিকার • বিশ্বাস করার মতো বিশ্বাস করা • যেভাবে পড়ার দাবি কোরআন রাখে, সেভাবে পড়া • যেভাবে বোঝা উচিত, সেভাবে বোঝা • এর উপর আমল করা • অপরকে শেখানো, এবং এর প্রচার ও প্রসার করা ...///////////
জাহেল, চুলকানি - এসব অশালীন মন্তব্য না করাই উওম। আবরার সাহেব - দয়া করে আপনার মাজহাবের ইমাম - আবু হানীফার আকীদা বলুন রেফারেন্স সহ। আবু হানীফার বই - ফিকহুল আকবার কেন কওমী, আলীয়া বা কোন হানাফী মাদারসায় পড়ানো হয় না কেন? ৪ ইমামের আকীদা, সাহাবীগনের আকীদা, হাদীস লেখকগনের আকীদা - সালাফী ছিল। ৩০০ হিজরীর পরে আশায়ারী- মাতুরিদী আকীদার সৃষ্টি হয়। এবং আব্বাসী খলিফাগন এটা গ্রহন ও প্রচার করেন, সালাফীদের নির্যাতন করেন। ইমাম আহমদ বিন হানবলকে কঠোর শাস্তি দেয়া হয় সালাফী আকীদার কারনে। পরে, ওসমানী খেলাফতও এই আকীদা প্রচার করে, সালাফদের বিরুদ্ধতা করেন। এগুলো বলুন জনগনকে।
আবূ হুরায়রাহ্ (রাঃ) থেকে বর্ণিত। তিনি বলেন, রসূলুল্লাহ সাল্লাল্লাহু আলাইহি ওয়াসাল্লাম ইরশাদ করেছেনঃ প্রতি রাত্রে শেষ তৃতীয়াংশে আমাদের মর্যাদাবান বারাকাতপূর্ণ রব দুনিয়ার আকাশে নেমে আসেন এবং বলেন, ’যে আমাকে ডাকবে আমি তার ডাকে সাড়া দেব। যে আমার নিকট কিছু প্রার্থনা করবে আমি তাকে তা দান করব। যে আমার নিকট মাফ চাইবে আমি তাকে মাফ করে দেব।’ (বুখারী, মুসলিম)
ইমাম আবু হানিফা রহ.-কে জিজ্ঞেস করা হয়েছিল, আল্লাহ কোথায়? তিনি বললেন :যখন কোনো স্থানই ছিল না, তখনো আল্লাহ ছিলেন। সৃষ্টির অস্তিত্বের পূর্বে তিনি ছিলেন। তিনি তখনো ছিলেন, যখন ‘কোথায়’ বলার মতো জায়গা ছিল না, কোনো সৃষ্টি ছিল না এবং কোনো বস্তুই ছিল না। তিনিই সবকিছুর স্রষ্টা।[1] 2. ইমাম আবু হানিফা রহ. আরও বলেন :আমরা স্বীকার করি যে, আল্লাহ তাআলা আরশের ওপর ইসতিওয়া করেছেন। তিনি আরশের প্রতি কোনো ধরনের প্রয়োজন ও তার ওপর স্থিতিগ্রহণ ব্যতিরেকেই তার ওপর ইসতিওয়া করেছেন। তিনি আরশ ও আরশ ছাড়া অন্য সব সৃষ্টির সংরক্ষণকারী কোনো ধরনের মুখাপেক্ষিতা ব্যতিরেকে। তিনি যদি মুখাপেক্ষী হতেন, তাহলে সৃষ্টিজীবের মতো মহাবিশ্ব সৃষ্টি ও পরিচালনা করতে সক্ষম হতেন না। তিনি যদি আরশের ওপর সমাসীন হওয়া এবং স্থির হওয়ার দিকে মুখাপেক্ষী হতেন, তাহলে আরশ সৃষ্টির পূর্বে তিনি কোথায় ছিলেন? আল্লাহ এসব বিষয় থেকে সম্পূর্ণ ঊর্ধ্বে।
সবাই হুজুরের হাদিস কোরআনের দিকে লক্ষ্য করে সঠিকটা জেনে নিবেন আর ভাই একটা কথা আল্লাহ তায়ালা কে নিয়ে গবেষণা করবেন না আল্লাহর মাখলুকের উপর গবেষণা করেন তাহলে আল্লাহ আপনাকে ধন্য করবেন
আরশের উপরের স্থান কে সৃষ্টি করেছে ?? পূর্ব, পশ্চিম, উত্তর,দক্ষিণ, উপর, নীচ সবই আল্লাহর সৃষ্টি। সৃষ্টির মধ্যে স্রষ্টাকে কিভাবে প্রবেশ করান ? আল্লাহ কি সৃষ্টির চাইতেও ছোট ?
@@Tutul322 আরে ভাই আরশ হল সৃষ্টির শেষ সীমা আর আরশ এর উপর কোন সৃষ্টি নেই কোন দিক নেই স্থান নেই আল্লাহ আরশে আসীন নন আল্লাহ আরশ থেকেও উপরে আল্লাহর উপরে আর কিছু নেইআরশের নিচে সকল সৃষ্টি যেমন দিক কাল স্থান এসব আরশের উপরে নেই😊 আল্লাহ ক্ষমতা সর্বত্র বিরাজমান আল্লাহ নিজে নন
@@مسلم-ق5ف হাদীস ৬৭৭২: হযরত আবু হুরায়রা রা: থেকে বর্ণিত হয়েছে যে, নবী করীম সাল্লাল্লাহু আলাইহি ওয়া সাল্লাম এরশাদ করেছেন, যখন মহান স্রষ্টা আল্লাহ তা‘য়ালা মাখলুককে সৃষ্টি করেছেন তখন তিনি তাঁর কিতাবে লিখে দিয়েছেন যা আরশের উপর তাঁর কাছে সংরক্ষিত আছে, “নিশ্চয়ই আমার রহমত আমার অসন্তোষের উপর গালেব (জয়ী)।”- সহীহ মুসলিম বঙ্গানুবাদ, ই:সে:/৮, পৃ: ২৮২। ইবনে হিব্বানের বর্ণনায় রয়েছে, “কিতাবটি আরশ থেকেও উপরে সংরক্ষিত।” ## আবু হুরায়রা (রাঃ) হ’তে বর্ণিত, তিনি বলেন, রাসূলুল্লাহ (ছাঃ) বলেছেন, ‘যখন আল্লাহ মাখলূক সৃষ্টির ইচ্ছা পোষণ করলেন, তখন তাঁর কাছে আরশের উপর রক্ষিত এক কিতাবে লিপিবদ্ধ করেন- অবশ্যই আমার করুণা আমার ক্রোধের উপর জয়লাভ করেছে’।- (বুখারী হা/৩১৯৪ ‘সৃষ্টির সূচনা’ অধ্যায়, অনুচ্ছেদ-১; মিশকাত হা/২৩৬৪ ‘দো‘আ’ অধ্যায়, ‘আল্লাহর রহমতের প্রশস্ততা’ অনুচ্ছেদ।)।
মুফতি আবরার সাহেবের বক্তব্য একই কথা শতবার বলে সময় নষ্ট করেছেন। উনাদের আকিদা সুফি মতবাদের আকিদা। আল্লাহ সম্পর্কে উনাদের আকিদা ও আহলে হাদীসের আকিদা এক নয়। কাজেই যার যার বিশ্বাস নিয়ে তারা সন্তুষ্ট থাক।
ইমাম বুখারীর ব্যাখ্যা আর বুখারী র হাদীস কি এক ? 😄😄... এসব ব্যাখ্যা পারলে সাহাবী থেকে প্রমাণ দে, আবু হানিফা রহ থেকে দে আল্লাহ দেখেন আর আমরা ও দেখি তাইলে এক হয়ে গেল। তিনি শোনের আমরাও শুনি তাইলে এক হয়ে গেল। তিনি বললেন সৃষ্টির মত নয়। তাইলে আল্লাহ দেখেন না কারণ আমাদের মত হয়ে যায়... নায়ুজবিল্লাহ
@@litonarfan6436 হানাফীরা আবু হানীফার আকীদার বিরুদ্ধতা করে, মানে না। ৪ ইমামই আকীদায় সালাফী ছিলেন, পরিষ্কার, তাদের বইয়ে লেখা। সমস্ত হাদীস লেখকগন সালাফী আকীদার ছিলেন। আশায়ারী- মাতুরিদী আকীদার সৃষ্টিই হয়েছে ৩০০ হিজরীর পরে। এই জননে কওমি,দেওবনদী, হানাফী মাদারসায় আবু হানীফার আকীদার বই - ফিকহুল আকবর পড়ানো হয় না, লুকিয়ে রাখা হয়। সুধু, হানাফী ফিকাহ পড়ানো হয়।
ইসলামে কুরআন এবং সুন্নাহ এর বিপরীত নিজের কোন কথার কোন মূল্য নেই। اَلرَّحْمٰنُ عَلَى الْعَرْشِ اسْتَوٰى "‘আরশের উর্ধে দয়াময় সমুন্নত আছেন।" সূরা ত্বহা আয়াত ৫