একদিনে কক্সবাজার ভ্রমণ || কক্সবাজার দর্শনীয় স্থান || One day trip to Cox's Bazar || cox's bazar tour plan
কক্সবাজার,বিশ্বের দীর্ঘতম সমুদ্র সৈকত যা
তার নৈসর্গিক সৌন্দর্য্যের জন্য বিখ্যাত। ১২০ কিলোমিটার দৈর্ঘ্য সমুদ্রসৈকতটির প্রাচীন নাম হচ্ছে পালঙ্কি।
চলুন একদিনে ঘুরে আসি কক্সবাজারের দর্শনীয় স্থান গুলো থেকে।
একদিনে কক্সবাজার ভ্রমণ পরিকল্পনায় আমরা ঘুরে দেখব - কলাতলী সী বিচ থেজে
মেরিন ড্রাইভ সড়ক হয়ে,হিমছড়ি, লাল কাঁকড়া বীচ,ইনানী বিচ,পাটোয়ারটেক বিচ ও রেডিয়েন্ট ফিস ওয়াল্ড।
কলাতলী সী বিচ থেকে পাটোয়ারটেক সী বিচ পর্যন্ত সবগুলি বিচি মেরিন ড্রাইভ রোডে অবস্থিত, তাই চাঁদের গাড়ি সি এন জি কিংবা অটো রিজার্ভ করে একদিন এই ঘুরে আসবো। আর সন্ধ্যার পর চলে যাব কক্সবাজারের ঝাওতলা অবস্থিত রেডিয়েন্ট ফিশ ওয়ার্ল্ডে। আমি একটি অটো রিজার্ভ নিয়েছিলাম যার জন্য গ্রন্থে হয়েছিল ৮০০ টাকা।
কলাতলী সমুদ্র সৈকত, কক্সবাজারে অবস্থিত একটি বিখ্যাত পর্যটন স্থান।
এ সমুদ্র সৈকতের বৈশিষ্ট্য হলো পুরো সমুদ্র সৈকতটি বালুকাময় আর সৈকত সংলগ্নে রয়েছে শামুক-ঝিনুকসহ নানা প্রজাতির প্রবাল সমৃদ্ধ বিপণি বিতান।
যতটা সম্ভব খুব সকালে কলাতলী সমুদ্র সৈকতে উপস্থিত থাকা ভালো কারণ সকাল সকাল এই বিচটি পর্যটক শূন্য থাকে তাই মনের মত করে সমুদ্রের এই বিশালতাকে নিজের মতো করে উপভোগ করা যায়।
তবে কলাতলী সমুদ্র সৈকতের অন্যতম প্রধান আকর্ষণ হল সমুদ্রের পানিতে পা ভিজিয়ে সুন্দর সূর্যাস্ত উপভোগ করা।
তাপর চলে যায় হিমছড়ি
হিমছড়ি
কক্সবাজার থেকে মাত্র ১২ কিলোমিটার দূরে অবস্থিত।হিমছড়ির একপাশে রয়েছে সুবিস্তৃত সমুদ্র সৈকত আর অন্যপাশে রয়েছে সবুজ পাহাড়ের সারি। হিমছড়িতে একটি জলপ্রপাত রয়েছে যা এখানকার প্রধান পর্যটন আকর্ষণ।
হিমছড়ি ঝর্ণা দেখতে হলে আপনাকে হিমছড়ি ইকোপার্কে প্রবেশের জন্য ২০/- টাকার টিকেট কাটতে হবে।
সবচাইতে গুরুত্বপূর্ন বিষয় হলো হিমছড়ি যত না সুন্দর তারচাইতে সুন্দর ও রোমাঞ্চকর হল কক্সবাজার থেকে এ সৈকতে যাওয় পথটুকু একপাশে বিস্তৃর্ন সমুদ্রের বালুকা বেলা আর এক পাশে সবুজ পাহাড়ের সাড়ি। মাঝে পিচ ঢালা মেরিন ড্রাইভ। এমন দৃশ্য মন জুড়িয়ে দেয়ার মত।
প্রায় ২ শতাধিক সিড়ি মাড়িয়ে উপরে উঠতে হয়। কষ্টটা মুহুর্তেই ভুলে যাবেন যখনপাহাড়ের চুড়া থেকে কক্সবাজারের পুরো সমুদ্র সৈকতটা এক পলকে দেখতে পাবেন। দুলর্ভ সে দৃশ্য। এখানে একটি ছোট ঝর্না রয়েছে। ঝর্নাটি ছোট কিন্তু বর্ষামৌসুমে এটি দারুন রূপ ধারন করে।
লাল কাঁকড়া বিচ:
কক্সবাজার শহর থেকে ৪৫ কিলোমিটার দূরে দৃষ্টিনন্দন এই বিচ
নতুন পর্যটন স্পট হিসেবে গড়ে উঠা লাল কাঁকড়া বিচ। ইতোমধ্যে বিচটি পর্যটকদের নজর কেড়েছে। এখানকার লাল কাঁকড়াগুলো সৈকতে ভাটার পর চিকচিক করা বালিতে নিজের তৈরি করা বাসা থেকে বেরিয়ে ছোটাছুটি এবং পা দিয়ে নানান আকৃতির আল্পনা তৈরি করে। যা পর্যটকদের আনন্দে বাড়তি মাত্রা যোগ করছে। এ কারণে ওই এলাকাকে সংরক্ষিত হিসেবে ঘোষণা করে কাঁকড়া বিচ নাম দিয়েছে উখিয়া উপজেলা প্রশাসন।
বাঁশ ও কাঠের অস্থায়ী সীমানা প্রাচীর দিয়ে চিহ্নিত করা হয়েছে এই সমুদ্রসৈকতটিকে। এতে সেখানে দিন দিন বৃদ্ধি পাচ্ছে লাল কাঁকড়ার সংখ্যা।
প্রতিদিন জোয়ারের পর ভাটায় পানি নেমে গেলে পুরো সৈকত লাল বর্ণ ধারণ করে। এতে মেরিন ড্রাইভ সড়ক থেকেই লাল কাঁকড়ার সৌন্দর্য উপভোগ করা যায়
মানুষের স্পর্শ পেলে গর্তে ঢুকছে। আবার গর্ত থেকে বেরিয়ে চলাচল করছে। টকটকে লাল কাঁকড়াগুলো দেখে ভ্রমণে আলাদা তৃপ্তি পাচ্ছেন পর্যটকরা। এ যেন অন্যরকম এক অনুভূতি। এতে পর্যটকদের জন্য যেমন তৈরি হলো উপভোগের নতুন জায়গা, পাশাপাশি পর্যটন শিল্পেও যোগ হয়েছে নতুন মাত্রা।
শুধু বাইল্যাখালী সৈকত নয়, কক্সবাজারের ১২০ কিলোমিটার সমুদ্রসৈকতের বিভিন্ন এলাকা চিহ্নিত করে সামুদ্রিক প্রাণী ও জীববৈচিত্র্য সংরক্ষণে এগিয়ে আসার দাবি জানিয়েছেন স্থানীয়রা।
কক্সবাজার শহর থেকে প্রায় ২৭ কিলোমিটার দক্ষিণে অভাবনীয় সৌন্দর্যে ভরপুর, আকর্ষণীয় ও নয়নাভিরাম সমুদ্র সৈকত হচ্ছে ইনানী সমুদ্র সৈকত।
ইনানী বীচে প্রবাল পাথরের ছড়াছড়ি। অনেকটা সেন্টমার্টিনের মতই। কক্সবাজার সমুদ্র সৈকতের মত এখানে বড় বড় ঢেউ আছড়ে পড়ে না সৈকতের বেলাভূমিতে। অনেকটাই শান্ত প্রকৃতির সৈকত এই ইনানী।
জোয়ারের সময় এলে প্রবাল পাথরের দেখা পাওয়া যাবে না। ভাটার সময়েই কেবল মাত্র বিশাল এলাকা জুড়ে ভেসে উঠে এই পাথর। প্রবাল পাথরে লেগে থাকে ধারালো শামুক ঝিনুক। তাই এখানে বেশী লাফালাফি করা বিপদজনক।
ইনানী সমুদ্র সৈকত থেকে কিছুটা পথ সামনে এগুতেই চোখে পড়বে সৌন্দর্যে ভরপুর পাট ওয়ারটেক সী বিচ।
ভ্রমন বিলাসীরা যদি সিন্ধ সতেজ নির্মল সাগরে বাতাস অনুভব করতে চায় তাহলে অবশ্যই যেতে হবে পাটুয়ারটেক সি বীচে। কক্সবাজারের অন্য সমুদ্র সৈকত থেকে পাটুয়ারটেক সমুদ্র সৈকতটি ভ্রমন পিপাসুদের কাছে একটু আলাদা মনে হবে।
পাটুয়ারটেক সমুদ্র সৈকতটি আরেটি সু্ন্দর বৈশিষ্ট্য হলো সেন্টমার্টিন এর মত বিশাল প্রবাল পাথরের স্তুপ।ছোট ছোট গর্তে জমে থাকা পানিতে বিচরণ করে রং বেরঙের ছোট ছোট মাছ।
তাছাড়া পাটুয়ারটেক সমুদ্র সৈকত প্রায় সব সময় শান্ত থাকে। তাই যারা উত্তাল সাগরে নামতে ভয় পায় তারা ইচ্ছে করলে পাটুয়ারটেক সৈকতে নামতে পারেন।
তাছাড়া কক্সবাজারের অন্য সি বীচ গুলোর মত এখানে কোলাহল একেবারে নাই বললেই চলে। খুব অল্প সংখ্যক ভ্রমন পিপাসুই এই নির্জন সৈকতে ঘুরতে আসে। পাটুয়ারটেক সমুদ্র সৈকতটি ঘুরে বেড়ানোর জন্য আর্দশ্য সময় হলো খুব সকাল বা পড়ন্ত বিকেল।
5 окт 2024