আমি শুনেছি আল্লাহ যাকে ইচ্ছা করেন যে জান্নাতে দিবেন, তার জন্য আমল নাকি তেমন কোনো ব্যাপার না, আল্লাহর কাছে তার একটা কারণ নাকি যথেষ্ঠ হবে। তাই বলে তো আমল করা বাদ দেওয়া যাবে না, অবশ্যই।
শুনেছি ৪০জন আমিন বললে দোয়া কবুল হয়,আমার দুটি কন্যা সন্তান আছে, তৃতীয় বার মা হচ্ছি,আপনার একবার করে আমিন বলে যান,আল্লাহ যেনো আমাকে একজন নেককার পুত্র সন্তান দান করেন
অযু শিক্ষা সম্পর্কে বিস্তারিত ১টি প্লেলিস্ট আছে। যেখানে আপনি নির্ভূল ভাবে অযু করার নিয়ম শিখতে পারবেন। 💥 এই লিংকে ক্লিক করলেই আসবে: 👉Shaikh Ahmadullah Podcast: ru-vid.com/group/PLU4OaGavkvnvn4yDw1La2YeU7Fe5qLCvD
আমিও পরছি এমন কিছু মূর্খের পাল্লায়। কিছু বললে বেটকায়। মেজাজ টা খারাপ করে দেয়। জানস না শিখে না৷ সেটা না করে কিছু বললে বেটকায়😡😡 মুরুব্বি তাই মান্য করে চুপ থাকি ছোট হলে ঘার করে বেটকান বের করে দিতাম। এমন একটা মূর্খের ফেমেলিতে বউ হলাম জীবনটাই নরকের মত হয়ে গেছে এসব মূর্খের দলের কারনে
সবগুলো নিয়ম ছোট থেকেই জানি এবং এভাবেই ওজু করি আলহামদুলিল্লাহ।তবে নাকে টেনে পানি নিতে পারিনা ।ডান হাত দিয়ে পানি ছিটিয়ে ভিতরে দিয়ে বাম হাতে পরিষ্কার করি।
আল্লাহ তাআলা আমাদের জন্য ইসলাম ধর্ম কতটা সহজ করে দিয়েছে তার পর ও মানতে পারিনা 😢কতো সহজ সালাত আমল তা-ও করতে পারি না 😢😢😢 আল্লাহ আপনি আমাদেরকে হেদায়েত দান করুন আমরা যেন ঈমানের সাথে পাঁচ ওয়াক্ত নামাজ আদায় করতে পারি আমিন😭😭😭😭😭
অনেক ভয়ে ভয়ে ভিডিও টা দেখলাম আমার না জানি কোন ভুল আছে কিন্তু না আলহামদুলিল্লাহ হুজুর যতগুলো কথা বলেছেন সব গুলোই আমার ঠিক আছে আলহামদুলিল্লাহ আলহামদুলিল্লাহ সবাই আমার জন্য দোয়া করবেন আল্লাহ তায়ালা যেনো কবুল করে নেন
অজুতে করা ৭ টি ভুল 1. অজুর শুরুতে বিসমিল্লাহ না বলা 2. মিসওয়াক না করা 3. কুল্কুচি করে কুলি না করা 4. নাকে পানি না টানা 5. পানি টানার পর হাত দিয়ে নাক না ঝারা 6. হাত ও পায়ের আংগুল খিলাল না করা 7. অজুর অঙ্গের কোথাও শুকনা থাকা
হুজুর আমার একটা প্রশ্ন ছিল আশা করি গুরুত্ব সহকারে কোরআন ও হাদিসের আলোকে বলবেন।। হিন্দু বাড়িতে খাওয়া, হিন্দু বন্ধু, হিন্দু দোকানে বাজার, হিন্দু ডাক্তার,,, এসব বিষয়ে।।।
নিরপেক্ষ মন নিয়ে আন্তরিকভাবে বিষয়টা নিয়ে স্টাডি করলে এটা স্পষ্ট হয়ে যায় যে নাভির নিচে হাত বাঁধা একটি অন্যতম প্রতিষ্ঠিত সুন্নাত যার অনুকূলে পর্যাপ্ত দলিল-প্রমাণ রয়েছে। বুকের ওপর হাত বাঁধার যে হাদীসগুলোকে সহীহ হিসেবে দাবী করা হয় সেগুলোর সনদ ও মতনের মধ্যে ত্রুটি খুঁজে পাওয়া যায়। যদিও এই হাদিসগুলোর ভিত্তিতে আহলে ঈলম ও মুজতাহিদদের একটি অংশ বুকের নিচে বা নাভির ওপরে হাত বাঁধার পদ্ধতিকে সুন্নাত সাব্যস্ত করেছেন। অন্যদিকে এর বিপরীতে নাভির নিচে হাত বাঁধার হাদিসগুলোর ওপর যে ত্রুটি ও দুর্বলতা আরোপ করা হয়, সেগুলোও সর্বসম্মত নয়। বরং ওয়াইল ইবনে হুজর এর সূত্রে মুসান্নাফে আবি শায়বায় বর্ণিত হাদিসটি এবং আলী (রা:) কর্তৃক মারফু হাদিসের সমতুল্য বর্ণনাটিকে হাদিস বিশারদ ও মুজতাহিদদের একটি বড় অংশ গ্রহন করে নিয়েছেন। কারণ এ সংক্রান্ত বর্ণনা অনেকগুলো যেগুলো লঘু ও স্বল্প দুর্বলতা বিশিষ্ট হওয়ায় একটি আরেকটিকে শক্তিশালী করে। এজন্যই ইমাম বুখারীর উস্তাদ ইসহাক বিন রাহুওয়াই এর মত মুহাদ্দিস সুস্পষ্ট ভাষায় বলেছেন, "নাভির নিচে হাত বাঁধা রেওয়াতের দিক থেকে অধিক শক্তিশালী এবং বিনয় ও ভক্তির নিকটবর্তী। সুফিয়ান সাওরী যিনি নিজে একজন স্বতন্ত্র মুজতাহিদ ছিলেন এবং ইবনে খুজাইমার ত্রুটিপূর্ন "মতন"যুক্ত হাদিস যেটিকে বুকে হাত বাঁধার অনুকূলে উপস্থাপন করা হয় সেই হাদিসের একজন রাবী এই সুফিয়ান আস সাওরী। অথচ তিনি হাত বাঁধতেন নাভির নিচে!!! এমনকি পরবর্তী যুগের মুহাদ্দিস ইবনে কায়্যিম, ইবনে তাইমিয়াও নাভির নিচে হাত বাঁধার হাদিস (আলী রাঃ কর্তৃক বর্ণিত)কে হাসান লি-গাইরিহী হিসেবে সমালোচনা ব্যাতিরেকেই গ্রহন করেছেন। মুহাম্মাদ বিন আব্দুল ওয়াহ্হাব যিনি মূলত তাওহীদ ও আক্কীদা বিষয়ক লেখালেখির জন্য অধিক পরিচিত তিনিও তাঁঁর তাঁর রচিত 'আল আদাবুল মাশী ইলাস সালাহ' নামক কিতাবে উল্লেখ করেছেন, "....সে তার বাম হাতের কব্জিকে ডান হাত দ্বারা আঁকড়ে ধরে নাভির নিচে স্থাপন করবে। আর এটি তার রবের সামনে তার বিনীত হওয়াকে সূচীত করবে।" আর ইবনে কায়্যিমের যাদুল মাআদের তাহক্কীক করে তিনি মুখতাসার যাদুল মাআদ রচনা করেছেন। যেখানে হাত বাঁধা বিষয়ক আলোচনায় তিনি উল্লেখ করেছেন এই বিষয়ে সুস্পষ্ট সহীহ হাদিস নেই এবং তার পরেই শুধু আলী রাঃ কর্তৃক বর্ণিত নাভির নিচে হাত বাঁধা সংক্রান্ত বর্ণনাটি উল্লেখ করেন। এতগুলো বিষয়কে এড়িয়ে গিয়ে *নাভির নিচে হাত বাঁধা*কে যারা প্রত্যাখ্যান ও অস্বীকার করে তাদের জন্য হিদায়াতের দুআ ছাড়া আর কিই বা করা যেতে পারে?? জীবনের বেশ অনেকগুলো বছর বুকের উপরে হাত বাঁধাকে একমাত্র সুন্নাহ্ এবং নাভির নিচে হাত বাঁধাকে ভিত্তিহীন হিসেবে অগ্রাহ্য করার পর ২০১৬ সালে আল্লাহ্ তাআলা আমার চক্ষু উন্মোচন করে দেন। আমি বেশ কিছু নির্ভরযোগ্য সোর্স থেকে জানতে পারি যে ইমাম আহমাদ বিন হাম্বল, ইমাম বুখারীর উস্তাদ ইসহাক বিন রাহওয়াইহ, ইমাম ইবনে কায়্যিম, ইবনে তাইমিয়া, মুহাম্মাদ বিন আব্দুল ওয়াহহাব সহ অসংখ্য মুহাদ্দিস ও গবেষক নাভির নিচে হাত বাঁধার হাদীসকে সহীহ ও আমলযোগ্য হিসেবে মেনে নিয়েছেন এবং নারীদের জন্যও এখানে কোনও ভিন্নতা নেই। মধ্যপ্রাচ্যের একটি দেশের নারীদের ঈদের সালাতের কয়েকটা ছবিতে স্পষ্টভাবেই এটা লক্ষ্য করি। বিশেষ করে ইমাম বুখারীর উস্তাদ ইসহাক বিন রাহওয়াইহ এর এই বক্তব্যটি যে, "নাভির নিচে হাত বাঁধা রেওয়ায়েতের বিচারে অধিক শক্তিশালী এবং বিনয়ের অধিক নিকটবর্তী"----দেখার পর বাধ ভাঙ্গা জোয়ারের ন্যায় পরাজয় ও ভূলুণ্ঠিত হওয়ার আবেগ নিয়ে আমি নাভির নিচে হাত বাঁধাকে মেনে নিই। মনে হয় যেন আল্লাহ্ তাআলা এই অনুভূতি আমার হৃদয়ে ঢেলে দিয়েছেন আর আমার কাছ থেকে মধুর প্রতিশোধ নিয়ে তাঁর অপ্রতিরোধ্য অভিপ্রায়কে বাস্তবায়ন করে ছেড়েছেন। আর আমাকেও সানন্দে মেনে নিতে বাধ্য করেছেন। আলহামদুলিল্লাহ। সুম্মা আলহামদুলিল্লাহ। বাম হাতের কবজির উপর ডান হাতের কবজি রেখে নাভিতে মনোযোগ কেন্দ্রীভূত হলে নিজের অজান্তেই অন্তরের সুপ্ত সমর্পনময় আবেগগুলো বাঁধ ভাঙ্গা জোয়ারের ন্যায় উদ্বেলিত হয়ে মন-মগজকে আল্লাহ্'র কাছে পরাজয় স্বীকার ও আত্মসমর্পনের অনুভূতি দ্বারা প্লাবিত করে দেয়। আল্লাহ্ তাআলা হাম্বলী ফকীহদের উপরে রহম করুন। তাঁরা নাভির নিচে হাত বাঁধার সুন্নাহ কে শক্তিশালী ও সুপ্রতিষ্ঠিত করেছেন। পাশাপাশি নারীদেরকেও পরাক্রমশালী আল্লাহ্ তাআলার'র সামনে বিনীত, নিরংকুশভাবে পরাজিত ও আত্মসমর্পিত অবস্থার উত্তম রূপ-- নাভির নিচে হাত বাঁধার সুন্নাহ থেকে মাহরুম হওয়া থেকে হিফাযত করেছেন।