মোবাইল নেটওয়ার্কিং এর প্রসার ও বিভিন্ন মোবাইল সিম অপারেটরের সম্প্রসারণের দরুণ বাজারে এখন সিমের সহজলভ্যতা। আর এই সহজলভ্যতার কারণেই অধিকাংশ মানুষের হাতে একাধিক অপারেটরের সিম। নিজেদের ব্যবহার করার সুবিধার্থেই প্রায় প্রতিটি মানুষই একের অধিক সিম কিনে রাখেন। তবে এসব ক্ষেত্রে বেশিরভাগ সময়ই শুধুমাত্র একটি সিম ছাড়া বাকি সিমগুলোকে সেভাবে সক্রিয় পাওয়া যায় না। আর দীর্ঘমেয়াদে যদি কোনো সিম বন্ধ থাকে, তবে সেটির মালিকানা পরিবর্তন হয়ে যেতে পারে। তারমানে, যদি আপনার কোনো দীর্ঘদিন যাবৎ ফেলে রাখা সিম থাকে তাহলে সিম কোম্পানি আপনার সেই সিমটি পুনরায় অন্য কারো কাছে বিক্রি করে দিতে পারে। আর এসব ব্যাপারে সিম কোম্পানিটির কোনো দায় থাকে না। কেননা বাংলাদেশ টেলিযোগাযোগ নিয়ন্ত্রণ কমিশন (বিটিআরসি) এই নিয়মটি চালু করেছে। যেখানে উল্লেখ আছে, একটি নির্দিষ্ট সময় ধরে কেউ কোনো সিম অব্যবহৃত অবস্থায় ফেলে রাখলে তার মালিকানা হস্তান্তর করা হবে। তাই সিম কোম্পানি বৈধভাবেই এই কাজটি করে থাকে।
বাংলাদেশে মোবাইল অপারেটর সেবাদানকারি প্রতিষ্ঠানগুলো হলো টেলিটক, গ্রামীনফোন, বাংলালিংক ও এয়ারটেল। এই প্রতিষ্ঠানগুলো বিটিআরসি এর নিয়ম অনুসারে তাদের কার্যক্রম পরিচালনা করতে বাধ্য। আর এজন্যই প্রতিটি মোবাইল সিম গ্রাহকের জানা জরুরি, ঠিক কতদিন একটি সিম অব্যবহৃত অবস্থায় পড়ে থাকলে তার মালিকানা হস্তান্তরিত করা হয়ে থাকে।
এ বিষয়টি সম্পর্কে জানার জন্য আপনাকে প্রথমে জানতে হবে একটি সিমকে কখন বন্ধ হিসেবে ধরা হয়। একটি সিম অপারেটর থেকে সিম কেনার পর আপনি যদি সেটি বেশ কিছুদিন ব্যবহার করে ফোন থেকে খুলে রেখে দেন, তখন সেটিকে বন্ধ সিম হিসেবে ধরে নেওয়া হবে। আর বিটিআরসি এর নিয়মানুযায়ী এসব সিমগুলো যদি টানা ৪৫০ দিন বা ১৫ মাস বন্ধ থাকে তবেই সেগুলোর মালিকানা হস্তান্তরিত হয়ে যাবে। তাই কোনো সিম একটানা বন্ধ অবস্থায় রাখার ব্যাপারে প্রত্যেকের সচেতন হওয়া উচিত।
copyright © A BIJOY TV Production-2023
সঙ্গে থাকুন বিজয় টিভির
Website: bijoy.tv/
Facebook: / bijoytvlimited
RU-vid: / bijoytvofficial
20 мар 2023