কারবালার ইতিহাস || History of Karbala || Mufti Nasiruddin Chandpuri 

Vai ithas aro valo kore janun

মাওলানা আশরাফ আলী থানবী: ইয়াজিদ ছিল জালিম, ফাসিক ও নালায়েক (অযোগ্য)। আর ইমাম হুসাইন (আ.) ছিলেন মজলুম ও শহীদ। ইয়াজিদ বল প্রয়োগের মাধ্যমে ক্ষমতা দখলকারী। আর এ ধরনের কাজ অবৈধ বা নাজায়েজ। ইয়াজিদকে বড় করে তুলে ধরার জন্য যুদ্ধ সংক্রান্ত কোনো কোনো হাদিস বিকৃত করা হয়েছে বা বানানো হয়েছে। এইসব বিকৃত হাদিসের সঙ্গে আসলে ইয়াজিদের কোনো সম্পর্ক নেই। যেমন: মুসলমানদের মধ্যে যারা প্রথম নৌ অভিযান চালাবে তাদের বেহেশত দেয়া হবে এবং মুসলমানদের মধ্যে যারা রোমান সম্রাট সিজারের শহরে প্রথম হামলা চালাবে তাদের সব গোনাহ মাফ করা হবে বলে রাসূল (সা.)’র একটি হাদিসের কথা বলা হয়। এইসব হাদিস যদি সত্য হয়েও থাকে তাহলেও বাস্তবতা হল সিজারের শহরে হামলাকারী প্রথম সেনাদলের মধ্যে ইয়াজিদ ছিল না বলে হাদিস থেকে প্রমাণিত হয়েছে। মুয়াবিয়ার শাসনামলে সেখানে মুসলমানদের প্রথম হামলা হয়েছিল ৪২ হিজরিতে। ৪২ থেকে ৪৯ হিজরিতে সেখানে ছয়টি অভিযান চালায় মুসলিম যোদ্ধারা। আর ইয়াজিদকে কথিত অভিযানে পাঠানো হয় ৫০ হিজরিতে এবং তা ছিল সপ্তম অভিযান। তাকে পরবর্তীতে শাস্তি হিসেবে এক যুদ্ধে পাঠানো হয়েছিল মাত্র। ইয়াজিদ মুসলিম বাহিনীকে ব্যাঙ্গ-বিদ্রূপ করেছিল বলে শাস্তি হিসেবে মুয়াবিয়া তাকে যুদ্ধে পাঠায়। অর্থাৎ যুদ্ধ করার জন্য তাকে পাঠানো হয়নি বরং শাস্তি হিসেবে সাময়িক নির্বাসনের মধ্যে সময় কাটানোর জন্য। ইমাম বদরুদ্দিন আইনি বলেছেন: মুয়াবিয়া ইয়াজিদকে কোনো এক অভিযানের সেনাপতি করতে চাইলে বেশিরভাগ সাহাবিরা বেঁকে বসেন এবং একজন সাহাবির (সুফিয়ান বিন আওফ) নেতৃত্বে যুদ্ধে যোগ দেন তারা। অর্থাৎ তারা এমন অযোগ্য ও অথর্ব এবং চরিত্রহীন লোকের অধীনে যুদ্ধে যেতে প্রস্তুত ছিলেন না। বলা হয় ইতিহাসে মাত্র একবারই ইয়াজিদের যুদ্ধ যাত্রার কথা এসেছে। মুয়াবিয়া তাকে নাকি নৌ-সেনাপতিও করেছিলেন। হয়তো ইয়াজিদকে বীর হিসেবে তুলে ধরার অপকৌশলের অংশ হিসেবেই সেই উদ্যোগ নেয়া হয়েছিল। বিষয়টা সত্য হলে বা ইয়াজিদ যদি সত্যিই বীর হত তাকে নানা স্থল যুদ্ধেও সেনাপতি করা হত। কিন্তু ইতিহাস বা হাদিস তা বলে না। ওই ঘটনা সত্য হলে ইয়াজিদ ও তার সঙ্গীরা নানা সময়ে গর্বভরে তা অবশ্যই উল্লেখ করত এবং এই ঘটনাকে তার যোগ্যতার প্রমাণ হিসেবে অবশ্যই তুলে ধরত। তথ্য-প্রমাণে দেখা গেছে মুয়াবিয়ার যুগ থেকেই হাজার হাজার নানা মিথ্যা ও বানোয়াট হাদিস প্রচার করা হয়েছে উমাইয়াদের স্বার্থে। বর্তমনে ইয়াজিদের নব্য দালাল গুলো একই কাজ করে যাচ্ছে। ইয়াজিয়াদের উপর নালত!

আমিন

আমিন

দনমৃম্ং

Ameen

আমিন আমিন চুম্মা আমিন

@@user-mv5oh3kz2s Nino

So right waz

👎

Mashaallsh

নঁঅঁঅঁ

দোয়া করতে থাকুন ও এই চ্যানেলটি বেশি বেশি শেয়ার করতে থাকুন।

😊

😅

Muabiya,yeazide upor lanot borsito hok abong tumi o tumar anusarider lanot . Khudar punishment inshallha ......

55 বছর নয়, বরং 50 বছর পর হয়েছিল । মনে রাখবেন , সাহাবাদের বাণী, কাজকর্মও পারিভাষিক অর্থে হাদীসের অন্তর্ভুক্ত । এই হিসাবে কারবালা যুদ্ধের কথা হাদীস গ্রন্থে উল্লেখ থাকতে পারে ।

Toy akta kottar bachha

ভালো এক জন আলেমের পরামর্শ নিতে পারেন, বুঝতে পারবেন।