সরকারি চাকরিতে কোটা পদ্ধতি কীভাবে কাজ করে সেটা বোঝার চেষ্টা করি। বোঝার সুবিধার্থে ৪৩তম বিসিএস পরীক্ষা, যেটার সর্বশেষ ধাপ মৌখিক পরীক্ষা ২০২৩-এর নভেম্বরে শেষ হয়েছে, সেটার একটা পরিসংখ্যান আলোচনা করি। ৪৩তম বিসিএস পরীক্ষায় মোট আবেদনকারীর সংখ্যা ছিল ৪ লাখ ৪২ হাজার ৮৩২ জন। আবেদন করার ক্ষেত্রে কোনও কোটা নেই। - প্রিলিমিনারি পরীক্ষায় অংশগ্রহণ করেছিল ৩ লাখ ২১ হাজার ৫৭২ জন। এই পরীক্ষাতে অংশগ্রহণের জন্যও কোনও কোটা নেই। প্রিলিমিনারি পরীক্ষায় পাস করেছে মাত্র ১৫ হাজার ২২৯ জন। মনে রাখবেন, এখানেও কোনও কোটা নেই। এই ১৫ হাজার ২২৯ জনের সবাই লিখিত পরীক্ষা দিতে পারবেন। - কিন্তু পরিসংখ্যান বলছে, লিখিত পরীক্ষায় সবাই অংশগ্রহণ করতে আসেন না। ৪৩তম বিসিএস পরীক্ষায় লিখিত পরীক্ষা দিয়েছিলেন মোট ১৩ হাজার ৬৭১ জন। দয়া করে মনে রাখবেন, এখানেও কোনও কোটা নেই। - লিখিত পরীক্ষায় উত্তীর্ণ হতে পেরেছেন মাত্র ৯ হাজার ৮৪০ জন। এখন লিখিত পরীক্ষায় উত্তীর্ণ এই ৯ হাজার ৮৪০ জন থেকে (যদিও সবাই অংশগ্রহণ করেন না) মৌখিক পরীক্ষার মাধ্যমে নিয়োগ পাবে মাত্র ২ হাজার ১৬৩ জন। এবং ঠিক এখানেই কোটা হিসাব করা হবে। আবেদনকারীর সংখ্যা বাদ দিলাম। প্রিলিমিনারি পরীক্ষায় অংশগ্রহণ করা প্রায় সাড়ে তিন লাখ থেকে ৯ হাজারে ঠাঁই করে নেওয়া এই তালিকার কাকে কাকে আপনি মেধাহীন বলবেন? নারী-পুরুষ, প্রতিবন্ধী, ক্ষুদ্র নৃগোষ্ঠী-বাঙালি, মুক্তিযোদ্ধা, সাধারণ- পরিবার নির্বিশেষে এরা প্রত্যেকেই মেধাবী এবং চাকরি পাওয়ার যোগ্য নয় কি? আমি জোর দিয়ে বলতে পারি, লিখিত পরীক্ষায় উত্তীর্ণ এই ৯ হাজার ৮৪০ জনের একজনও কম মেধাবী বা অযোগ্য নয়। সে মুক্তিযোদ্ধা পরিবারের হোক বা না হোক, নারী হোক বা না হোক, প্রতিবন্ধী হোক বা না হোক, আদিবাসী হোক বা না হোক। মনে রাখবেন, একজনকেও যদি কোটায় নিয়োগ দেওয়া নাও হয়, তবু প্রায় ১০ হাজারের এই তালিকা থেকে মেধাবী ৭ হাজার ৬৭৭ যোগ্য প্রার্থী সরকারি চাকরি পাবে না। আপনারা যারা কোটাভুক্তদের অযোগ্য বলে, মেধাহীন বলে অসম্মান করছেন, তারা ঠিক বুঝে বলছেন তো?
... মাননীয় প্রধানমন্ত্রী, এই কোটা আন্দোলনের মধ্যে দিয়েই, আপনার জনপ্রিয়তা শেষ...কি করলেন ❓... দ্রুত কোটার পক্ষে সিদ্ধান্ত নিন... এটা ন্যায়, যৌক্তিক...
💥আরে বেটা চোর সরকার বসিয়ে চোরের কাছ থেকে বিচার চাইছিস লজ্জা করে না? আগে চোর সরকার সরা।আর এই দাবি মেনে নিলেও তোরা স্বার্থ পরের মতো থামিস না কারণ তোর অধিকার হয়তো পেয়ে যাবি কিন্তু তোর আমার মা-বোন, বাপ-ভাইয়ের পরিশ্রম দূর্নীতি করে মাটি করে দিচ্ছে এটার জন্য আলাদা ভাবে কে দাঁড়াবে?তোর আমার মতো ছাত্রদেরই দাড়াতে হবে। তো এতগুলো কথা বলার কারণ হলো "সরকার পতন হলো মুল সমাধান" তোরা তোদের একটি দাবির অধিকার পেয়ে মাঠ ছেড়ে দিসনা স্বার্থপরের মতো।শুধু ছাত্র নয় সব মানুষের উচিৎ এগিয়ে আসা
সবার রক্ত গরম কেউ ঘরে বসে থাকবে না ইনশাল্লাহ জয় আমাদের হবে যারা প্রচুর পরিশ্রম করে যাচ্ছে সাধারণ মানুষ এবং সাধারণ জনগণের জন্য আপনারা সবাই মাঠে আসেন এদের সাথে আপনার একতা পোষণ করেন