খোলা হাতে, খোলা কলমে জবাবঃ বনি আমিন
----------------------------------------------------------------------------
সালমা আক্তার@আপনার এই কমেন্টে আমি সরাসরি উত্তর দিচ্ছি, আমার অন্য ৪জন কো অ্যাডমিন ক্ষিপ্ত উত্তর দিতে চেয়েছিল, তাদের দুজনের তাড়নায় এখন আমাকেই আপনার কমেন্টের প্রতিউত্তর দিতে হচ্ছে। আমি দ্বার্থকণ্ঠে ব্যাক্ত করছি যে "পুরো বাংলাদেশের সিংহভাগ এখন অঘোষিত একটি বেশ্যাখানা, দেশের ১টি টানবাজার বন্ধ হয়েছে বটে, পুরো দেশটিই যেন আজ টান বাজারে পরিণত হয়ে গেছে"। অতি ক্ষুদ্র ১টি উদাহরণঃ সাধারণ ১টি স্মার্ট ফোন বা বিদেশী ১টি উপহার দিয়ে অথবা কোনো তারকা খচিত হোটেলে ১বেলা খাইয়ে বাংলাদেশের অনেক ভালো পরিবারের যুবতী, বিশ্ববিদ্যালয়ের শিক্ষিকা বা সুন্দরী ছাত্রী, টিভি নিউজ কাস্টার, নারী সাংবাদিক এমনকি কোন ডাক্তার, ইঞ্জিনিয়ার বা আর্মি অফিসারের অনুর্ধ ৩০ বয়েসী অতৃপ্ত বা উচ্চাকাঙ্খী সুন্দরী স্ত্রীকেও সহজে একান্তে কাছে পাওয়া যায় এখনকার বাংলাদেশি-যৌন-বাজারে। সামাজিক এই অনাচার ও ব্যাভিচার কাজটি ১৯৬০ থেকে ১৯৯০এর দশকে প্রতিবেশী শহর কলকাতায় বেশ চলেছিলো, ভারতের সেই বারবনিতা ব্যাধি ওরা আমার জন্মদেশে বহু আগে পাচার করে দিয়েছে, ওরা এখোন গা'ঝাড়া। কোলকাতা - শিলিগুঁড়ি সামাজিকভাবে সংশোধন হচ্ছে আর তার বিপরীতে ঢাকা বা চট্টগ্রাম সামাজিকভাবে নিচে নামছে, সবকিছু আল্লাহর খেলা। (দেশের আর্থ সামাজিকঅবস্থা এর জন্যে দায়ী, তার চেয়ে বেশি দায়ী ধর্মান্ধতা এবং নিশিরাত জাগা গগনবিদারী কাফেরীও ওয়াজ।) বারবার বলেছি, বলছি: আমি জ্ঞানী নোই, আমি চোখে দেখা অভিজ্ঞ একজন সাধারণ ব্যাক্তি। আমার এই কমেন্টে আমি যা বলছি তা একটি 'পরীক্ষিত' সত্যবাণী, [Personal Experience, I hope you understand it], আমাকে আশাকরি আর মুখ খুলে নাঙ্গা করতে চেষ্টা করবেন না, আমার ব্যাক্তিগত 'পরীক্ষিত' তথ্য থেকেই এই মন্তব্য করলাম। আমি 'বারো ঘটে'র জল খাওয়া পাবলিক এবং চৌদ্দ ঘাটে নৌকা ভেড়ানো বোহেমিয়ান এক 'দুষ্ট মাঝি'। বাংলাদেশের যৌন-বাজারের অবস্থা এখন পৃথিবীর যেকোন যৌন-পর্যটন শহরের চে অনেক খারাপ। বাংলাদেশের সংসদ ভবনের বিশেষ রুম, বিশাল ভবনের সিঁড়ির আবছা অন্ধকারের বা আড়াল স্থানগুলো এমনকি নির্বাচিত সাংসদদের হোস্টেলগুলো এক একটি 'নির্বাচিত পতিতালয়' (Designated RED LIGHT area)। আমি আবারো বলছি "এগুলো আমার বেশ ভেজে খাওয়া আছে, বয়সতো কম হয়নি। আমার মুখ খোলাবেন না।" মনে রাখবেন বাংলাদেশের সাংসদদের আবাসভবন (M.P Hostels) ঢাকার ন্যাম ভবনগুলো ১৯৮০ দশক থেকেই বেশ্যালয় হিসেবে কাজ করছে। আগে কম ছিলো, কিন্তু গত দুই/তিন দশকে তা বেড়েছে অনেক। কারণ প্রতিবেশী ভারত ওগুলো ছেড়ে দিয়ে এখোন পরিশোধন হচ্ছে আর সেই সিন্দাবাদের বুড়ি এখন বাংলাদেশের কাঁধে ভর করছে। পৃথিবীর আর কোনো দেশের সংসদ ভবন বা সাংসদদের আবাসিক হোস্টেল [MP hostels] বেশ্যালয় নয় এবং সেক্রেটারিয়েট অফিসগুলোতে 'সুন্নি-মুসলিম বেশ্যাদের' অবাধ বিচরণের কথা আমি শুনি নি বা দেখিনি। আবারো বলছি "আমার প্রত্যক্ষ অভিজ্ঞাতার আলোকে" আমি দ্বের্থহীন কণ্ঠে এ কথাগুলো বলছি। মনে রাখবেনঃ প্রচুর বাংলাদেশী মুসলিম যুবতীরা এখন থাইল্যান্ড, মালয়েশিয়া, মধ্যপ্রাচ্য, ভারত এবং পাকিস্তান সহ বিশ্বের বিভিন্ন দেশে এমনকি আমার আবাসী দেশ অস্ট্রেলিয়ার সিডনী/মেলবোর্ন শহরে উল্লেখযোগ্য সংখ্যক বাংলাদেশী সুন্নি-মুসলিম ছাত্রীরা কলেজ বা ইউনির টিউশন ফী জোগাড় করতে দুর্দান্তভাবে দেহ ব্যবসা করে যাচ্ছে। উল্লেখ্য তাদের প্রায় সকলেই মুসলিম এবং সুন্নি ধারার। অস্ট্রেলিয়াতে এ বিষয়ে 'পতিতাখ্যাত প্রতিবেশী নেপালী প্রবাসী ছাত্রীরাও বাংলাদেশি নারীদের কাছে এক্কেবারে ফেল। কারণ নেপালী প্রবাসী ছাত্রীদের দৈহিক রেট বাংলাদেশিদের চেয়ে একটু বেশী। প্রবাসী বেশিরভাগ বাংলাদেশী দূতাবাস অথবা মিশনগুলো নারী/পতিতা এবং আদম ব্যাবসার সাথে সরাসরি জড়িত। ব্যাক্তিগতভাবে বেশিরভাগ বাংলাদেশী রাষ্ট্রদূত এবং উর্দ্ধতন বৈদেশিক মিশনের কর্মকর্তারা (সুন্নি মুসলিম) 'পার্টটাইম বিজনেস' হিসেবে বিদেশিদের কাছে নারী সাপ্লাই করে বাড়তি পয়সা উপার্জন করে থাকে। আশাকরি আমাকে আর মুখ খুলতে বলবেন না। আপনি শুনলে আরো আশ্চর্য হবেন যে বাংলাদেশী এই সুন্নি-মুসলিম দেহপসারিনীদের বেশিরভাগ হিজাবী লেবাসে চলে। মনে রাখবেন বাংলাদেশ ১টি তথাকথিত মুসলিম প্রধান দেশ (৮৯%)। আমি জগৎ ঘুরে যা দেখছি তা আমি বলছি, আর আপনি ঘরে বসেই তা শুনছেন এবং অতি দেশপ্রেমী হয়ে নাদান বা অবুঝের মত প্রতিবাদ করছেন। মনে রাখবেন প্রতিবেশী দেশ ভারতের ৬লক্ষ ব্যাক্তি (৯০%পুরুষ) বহু বছর ধরে বাংলাদেশের বিভিন্ন স্থানে কাজ করছে, তারা মাসের পর মাস পড়ে আছে বাংলাদেশে, তাদের বেশিরভাগ কিন্তু পরিবার ছাড়াই বাংলাদেশে মাসের পর মাস কাটাচ্ছে। তারা কিন্তু নপুংশক নয় বা হিজড়া নয়, আশাকরি বাকিটা বুঝে নেবেন। অনুরোধ আপনার কাছে: প্লীজ আমার এই কমেন্টের পিঠে বাজে মন্তব্য করার আগে একটু ভালো করে চোখ মেলে দেখুন, গবেষনা করুন এবং সত্যিকারের 'ইসলাম' কায়েম করুন, অমুসলিমদের গালি দেয়া বন্ধ করুন, তাদের ভালোবাসতে শিখুন, অবশ্যি গলাবাজ ও 'ইউটিউব হুজুর' বা 'ইউটিউব মোল্লা'দের ওয়াজ শোনা বন্ধ করুন, জ্ঞান বিজ্ঞানে মনোযোগী হউন। ধন্যবাদ। Boni Amin, Sydney, Australia
16 окт 2024