খুদে মাছির অন্যতম প্রজাতি এপিস ফ্লোরিয়া বাংলাদেশের সর্বত্র দেখা যায়। এ প্রজাতির মৌমাছি ঝোপঝাড়ে চাক তৈরি করে। এদের চাকে মধু ও মোম উৎপাদন ক্ষমতা যৎসামান্য (২০০ থেকে ৮০০ গ্রাম)। চাক বা খোদল মাছি আবার এশীয় ও ইউরোপীয় এ দুটো গোষ্ঠীতে বিভক্ত। এশীয় গোষ্ঠীর অন্যতম প্রজাতি এপিস সেরানা (ইন্ডিকা) গাছের কাণ্ডের খোঁড়লে, মাটির দেয়াল বা পাত্রে চাক তৈরি করে। শান্ত প্রকৃতির এ মৌমাছি গৃহে পালন সম্ভব হলেও মধু ও মোম উৎপাদনের দিক থেকে ততটা লাভজনক নয়। প্রতি চাকে ৮-১০ কেজি মধু উৎপাদন হয়। খুদে গুচ্ছভুক্ত এবং ইউরোপীয় গোষ্ঠীর এপিস মেলিফেরা প্রজাতির মৌমাছি সহজে লালন-পালন করা যায় এবং এদের প্রতিটি চাকে মধু উৎপাদন ক্ষমতা ২৫ থেকে ৪০ কেজি। বিশ্বের বিভিন্ন দেশে এ প্রজাতির মৌমাছির বাণিজ্যিক খামার গড়ে উঠেছে।
6 май 2022