আরতী মুখোপাধ্যায় একজন অন্যতম গুণী শিল্পী, স্বর্ণযুগের শ্রেষ্ঠ শিল্পী দের মধ্যে উনি একজন, অসম্ভব ভালো গান করেন, বলিউডে উনি রাজনীতির শিকার হয়েছেন গানের জগতে।
শিল্পী হিসাবে উনি সেটা বলার অপেক্ষা রাখে না। মানুষ হিসেবে কেমন,আমার নিজ চোখে দেখা একটা ঘটনা বলবো। দিদি দমদমের দূর্গানগরে অনুষ্ঠন করতে এসেছিলে। অনুষ্ঠান স্থলের কাছাকাছি থাকতেন ওনার বহুদিনের পূর্ব পরিচিত একজন তবলা বাদক, নাম শ্রী শৈলেন মুখার্জি, অনেক প্রবীণ মানুষ। থাকতেন দূর্গানগরে। আরতি মুখোপাধ্যায় আসছেন শুনে উনি দেখা করতে গেছেন। আরতী মুখার্জি শৈলেন বাবুকে দেখে, প্রায় ছুটে এসে প্রণাম করলেন, পরস্পরের কুশল বিনিময় করলেন। এই দৃশ্য দেখে আরতি মুখোপাধ্যায় সম্পর্কে আমার শ্রদ্ধা বেড়ে গেল। দিদি কে আমার আন্তরিক প্রণাম জানাই।
এখনও! এই বয়সেও এত মিষ্টি গলার স্বর!!! ভাবা যায় না !! অতুলনীয়!! মন ভরানো , প্রাণ ভরানো অপরূপ আমাদের অনেক গর্বের এই শিল্পী আরতি মুখোপাধ্যায় কে শ্রদ্ধা ভরা শুভকামনা আর অভিনন্দন জানাই।
❤❤❤ আরতি দি আমি আপনার পাগল ফ্যান ! আমার জীবনের স্বপ্ন কি জানেন ? আপনার সামনে যেতে পারলে আপনার দু পায়ে চুমু খাব আর আপনাকে একটু ছুঁয়ে দেখবো । আপনি যতই রাজনীতির শিকার হন না কেন, বাংলার শ্রোতাদের মনের মনি কোঠায় আপনি চিরকাল উজ্জ্বল নক্ষত্র হয়ে থাকবেন । আপনার কন্ঠ থেকে গান নয়, মধু ঝরে ঝরে পড়ে । পৃথিবীর সমস্ত সন্মান, শ্রদ্ধা, ভালোবাসা ও আদর আপনার জন্য যথেষ্ট নয় । আমার সবচেয়ে প্রিয় শিল্পী আপনি । জীবনের খুব বড় ইচ্ছে আপনাকে একবার দেখি, কিন্তু শুনেছি আপনি বেশিরভাগ সময় বোম্বেতে থাকেন জানিনা আমার এই স্বপ্ন কিভাবে সফল হতে পারে !?.... আপনি আমার কাছে গানের সরস্বতী 🙏🙏..❤❤❤ 📌চ্যানেল কর্তাদের কাছে আমার অনুরোধ দয়া করে আমার এই কমেন্ট দিদির কাছে পৌঁছে দেবেন।।
বাংলা গানের স্বর্ণযুগের অনন্য এক শিল্পী আরতি মুখার্জি ভারতীয় বাংলা সঙ্গীতের কিংবদন্তি শিল্পী! প্রিয় শিল্পী আরতি মুখার্জি'র অসাধারণ গায়কীর কারণে চিরস্মরণীয় হয়ে থাকবেন। ভারতীয় বাংলা গানের স্বর্ণযুগের অবিস্মরণীয় এক শিল্পী কিংবদন্তি আরতি মুখার্জি'কে অভিনন্দন, শ্রদ্ধা ও শুভ কামনা রইলো💞
একদম ঠিক বলেছেন শিল্পী আরতি মুখোপাধ্যায় । সিনেমার গান করা সত্যি কঠিন । কারণ আমি যখন কিছু কিছু গান গুন গুন করি তখন বুঝতে পারি এই গান গুলোর মধ্যে ঐ গল্প অনুযায়ী একটা নাটকীয় ভাব থাকেই। তাই সেইরকম ভাবেই গানটা গাইতে হয়।আর সেজন্যই যখন আমরা গান শুনি তখন খুব ভালো করেই বোঝা যায় একজন অভিনেত্রী বা অভিনেতা যখন গানের লিপ দ্যান তখন যিনি গাইছেন তার সাথে কোথায় য্যানো মিলেমিশে এককার হয়ে যায় । সশ্রদ্ধা শিল্পী আরতি মুখোপাধ্যায়কে সশ্রদ্ধা প্রণাম জানাই এবং উনি আমাদের এই প্রজন্মকেও গান উপহার দিন। 🙏🙏🙏🙏🙏❤❤❤
1967/68 সাল হবে হয়ত। বর্ধমান েএ এলেন আরতি মুখোপাধ্যায়। উনিশ কি কুড়ি বছরের তরুণী মাথায় ইয়া বড় খোঁপা প্রচুর ঘন কালো চুল ও সুন্দর কন্ঠে একেরপর এক গান শুনিয়ে শ্রোতাদের মাত করে দিলেন। আমার মা তখন কলেজ ছাত্রী। এবং ঐ দর্শকদের মধ্যে অন্যতম। সেই কন্ঠ সেই অত্যন্ত সুরেলা গায়কী ও এলোখোঁপার বাদবাকি জীবনে মা আমাদের বহু বার গল্প বলেছেন। আরতি মুখোপাধ্যায় যখন চুল কেটে ফেললেন মা খুব কষ্ট পেয়েছিলেন। আজ মা নেই। বহু বছর নেই। মা নিরুদ্দেশ। বর্ধমান ইউনিভার্সিটির প্রথম ব্যাচ ছিলেন মা। শিল্পী র কাছে অনুরোধ রইল অসংখ্য গুণগ্রাহী আমরা ওনার গান আজও শুনি। স্মৃতি সতত মধুর। 🙏 নিউ দিল্লি
আপনাদের সকলের আন্তরিক প্রার্থনা আমার জন্য শুভ প্রচেষ্টা। শিল্পী আরতি মুখোপাধ্যায় এর গান মায়ের হাতে লেখায় মায়ের পুরনো খাতায় ডয়রীতে আজও সযত্নে রাখা। সেকালে তো এমনি ভাবেই মানুষ প্রিয় গান কে ধরে রাখত আর শিল্পী র প্রতি অকুন্ঠ ভালো বাসা প্রকাশ করতেন সবাই। মা 1968 সালের বর্ধমান ইউনিভার্সিটির প্রথম ব্যাচ ঐ ইউনিভার্সিটি 1964 তে স্হাপিত এবং ঐ ইউনিভার্সিটির প্রোগ্রাম ে এ শ্রদ্ধেয় হেমন্ত মুখোপাধ্যায় ও আরতি মুখোপাধ্যায় অনেকে এসেছিলেন
আমার কাছে তিনি দেবী সরস্বতীর অবয়ব। পৃথিবীতে সামান্য পরিমাণ মানুষ এমন বিনয়ী হয়। সত্য ও সুন্দরের নিখুঁত মূর্তি আপনি। ভালোবাসা রইলো অমলিন.... আপনার জন্য। প্রণাম নিবেন।
খুব অসাধারণ ব্যক্তিত্ব সম্পন্ন আমার অন্যতম ভালো লাগা শ্রদ্ধার একজন সঙ্গীতের শ্রেষ্ঠত্বের আসনের রনি হবার মতো যথেষ্ট প্রতিভায় পূর্ন পরিপূর্ন প্রিয় শিল্পী। আমার বিনম্র প্রণাম জানাই।🇮🇳🌹🌿🌾 🦋🦢🦚🎸💃🕺👏👏👏👏👏 10:25
আমি তখন স্কুল ছাত্র 1980--10 ই মার্চ স্টীল টাউন দুর্গাপুর আর ই কলেজের মাঠে ওনার এবং মান্না দে, অংশুমান রায় প্রমূখ প্রথিতযশা শিল্পীদের সারা রাত ব্যাপি (সকাল হয়ে গিয়েছিল) সংগীতানুষ্ঠান চাক্ষুষ দেখেছিলাম, যা আজও স্মরণে মনের স্মৃতি কোঠায় সযত্নে তুলে রেখেছি, আমার সর্বাপেক্ষা প্রিয় গান "তখন তোমার একুশ বছর"!
খুব সুন্দর.... এইজন্যেই এনারা আজও কালজয়ী.... "স্বয়ং মা সরস্বতী" এঁদের কন্ঠে বিরাজ করছেন....... ওনারা দীর্ঘজীবী হোন, "পরমেশ্বরের" কাছে আমার এই প্রার্থনা রইলো...... একজন সঙ্গীত শিল্পী হিসাবে আমার সশ্রদ্ধ প্রণাম রইলো..... 💐🙏🥰🙏💐
কোন এক চেনা পথে যেতে যেতে একদিন - সুধীন দাশগুপ্তের সুরে এই গানটা আমার কাছে অত্যন্ত হৃদয় স্পর্শী। এই গানে অভিনয়ও আছে। এই মাসে মুম্বাই গিয়েছিলাম ভাবছিলাম দিদি কোথায় থাকেন, যদি একবার চোখের দেখা পাই আর ওনার পায় মাথাটা ঠেকাতে পারি। আমার কাকা অশোক রায়ের সুরেও দিদি অসম্ভব সুন্দর কয়েকটি গান করেছিলেন। তারমধ্যে 'কূল আর কলঙ্ক দুইয়ে' অন্যতম অসাধারণ এক গান। দিদি সুস্থ থাকুন এটাই প্রার্থনা।
দিদি, আপনার অতুলনীয় কণ্ঠ সম্পদ, নিখুঁত উচ্চারণ, গায়কী এই সবকিছু নিয়ে আমার মনে হয় আপনার কোন তুলনা নাই। আপনি সুখী ও দীর্ঘায়ু হোন। প্রনাম জানাই আপনাকে।
গানের কথার অর্থ ও অনুভূতি অনুভব করে স্বর পরিবর্তন করার বিশেষ ক্ষমতা , তা একমাত্র হেমন্ত মুখোপাধ্যায় ও ওনার মধ্যে দেখেছি , সেইসঙ্গে অদ্বিতীয় অপূর্ব কণ্ঠস্বর । ওনার গান যতবার শুনি , বার বার শুনতে ইচ্ছা করে ।
Madam আরতি মুখোপাধ্যায়র যখন মধগগনের শেষ লগ্নে তখন ওনার গান শোনা শুরু করি। ওনার contemporary যে কোন শিল্পীর প্রতি সন্মান রেখেই বলছি She is a trend setter.
আরতি দির সর্বনাশ করেছে কুটিল এবং কুচক্রী দুই বোন লতা এবং আশা। এই দুজন নিজেদের বাজার ঠিক রাখার জন্য কোন উঠতি প্রতিভাবান গায়িকাকে মুম্বাইয়ে জায়গা করতে প্রতিষ্ঠা পেতে দিত না।
বাংলা গানের সর্বনাশ করেছে আশা। বাংলা উচ্চারণ করতে যে পারে না, বাংলা গান গায় কোন সাহসে? উচ্চারণ আবেগ কিছুই নেই ওদের বাংলা গানে,সেটা শুনলেই বোঝা যায়। আরতি দি অনেক দূরের কথা মিতা ম্যাডাম ও আশার থেকে বাংলা ভাষায় ভাল গান গান। সাফল্য দিয়ে সব বিচার হয় না। ভয়েস কোয়ালিটি আরতি ম্যাডাম এর far বেটার। সত্যি এটাই।
খুব ছোট বেলা থেকে ওনার গান শুনে আসছি অসাধারণ শিল্পী, ওনাকে প্রনাম, এখন গীতিকার কোথায়? আগে সিনেমার গান তৈরি হতো সিনেমার ঘটনা পরম্পরা অনুযায়ী গীতিকার সেই ঘটনা শুনে গান তৈরি করতেন, এখন বাঙালি ভাবতে ভুলে গেছে, তাই এই অধঃপতন,কালচক্র কবে শেষ হবে, সেই আশায় বসে আছি।
আমার মা এবং আরতি মুখার্জী দমদম কৃষ্ণ কুমার হিন্দু একাডেমীর মোতিঝিল স্কুলের সহ পাঠি ছিলেন। আমার দাদু ঐ স্কুলের ইংরেজি শিক্ষক ছিলেন। মা এর মুখে ওনার সর্বভারতীয় সঙ্গীত প্রতিযোগিতার প্রথম হওয়া কথা , পুরুষ বিভাগে মহেন্দ্র কাপুর প্রথম হয়েছিলেন। আমার মা ওনার গাওয়া "জানি এ ভুল গান টি খুব পছন্দ করতেন"।
আরতি একটি খুব গুরুত্বপূর্ণ কথা বলেছেন। নতুনদের নতুন গান গাওয়ানো হয় না। পুরনো গান নিয়ে বিখ্যাত হবার চেষ্টা করছেন। এমনকি অত্যন্ত প্রতিষ্ঠিত শ্রেয়া ঘোষাল এখনো অন্য শিল্পীদের পুরনো গানই রেকর্ড করছেন।নিজের বিখ্যাত কয়টি বাংলা গান আছে। অন্বেষা, অন্কিতা এরা পুরনো গান দিয়েই টেকার চেষ্টা করছেন। নিজের গান দিয়ে এদেরকে পরীক্ষা করা হচ্ছে না।
আপনার মত Versatile গায়িকা এবং শাস্ত্রীয় সঙ্গীত ও Pop music এ সমান পারদর্শী গায়িকা খুব কম এসেছেন৷ যাঁর debut সুবর্ণরেখায় ওই উচ্চতার গান দিয়ে, যিনি pitch perfect এবং বম্বে গিয়ে সব ধরণের গান সমান ভাবে গাইতে পারতেন তাঁকে নিয়ে রাজনীতি তো হবেই৷ এ দেশও তো আজ পর্যন্ত আপনাকে স্বীকৃতি দিল না, বম্বে শহরটিও সম্ভবত দেয় না৷ খারাপ লাগে৷ আপনার মত শিল্পী হবে না কখনও৷ একবার গান শোনানোর সুযোগ হয়েছিল আপনাকে৷ কত বিনয়ী একজন মানুষ আপনি দেখেছিলাম৷ প্রণাম জানাই৷ আমাদের অন্তরে আপনি সর্বদা থাকবেন৷