আমাদের দেশে চাল কুমড়া একটি জনপ্রিয় সবজি। শখের বশে অনেকে বাড়ির ছাদে অথবা টবে দুই-একটি চাল কুমড়া গাছের চারা লাগিয়ে থাকেন। কিন্তু সঠিক জাতের ভালো চারা তৈরি করতে না পারায় ভালো ফলন আসে না। এর ফলে অনেকেই ছাদ বাগান থেকে বিমুখ হয়ে পড়েন। চাল কুমড়া চাষের সর্ব প্রথম ধাপ হচ্ছে চালকুমড়ার চারা তৈরি । এই চালকুমড়া ভারত ও বাংলাদেশে চাল কুমড়া, জালি কুমড়া এই দুই নামে সবচেয়ে বেশি পরিচিত। চালকুমড়া চাষ এর ক্ষেত্রে সবচেয়ে বেশি জরুরি হচ্ছে সুস্থ সবল চারা তৈরি করা। কারন চাল কুমড়া চাষ করার সময় যদি ভালো জাতের ও সুস্থ সবল চারা রোপণ করা না হয় তবে পরবর্তী সময়ে ভালো ফলন আশা করা যায় না। এখানে চাল কুমড়ার বীজ থেকে চারা তৈরির সবচেয়ে কার্যকর একটি উপায় তুলে ধরা হয়েছে। এই পদ্ধতিটি মেনে আপনি চাল কুমড়া ছাড়াও বেশিরভাগ সবজি জাতীয় গাছের চারা তৈরি করতে পারবেন। বীজ থেকে চারা তৈরির এই পদ্ধতিটি ব্যাবহার করতে চাইলে আপনার প্রয়োজন হবে কিছু জিনিসের। এজন্য ব্যবহৃত জিনিস গুলো হচ্ছে টিস্যু পেপার, ছোট প্লাস্টিকের পাত্র যার মুখা লাগিয়ে বাতাস চলাচল বন্ধ করা যায়, এর সাথে আরো লাগবে চাল কুমড়ার বীজ এবং পানি। সাধারণত আমাদের সবার কাছেই এই উপকরণ গুলো থাকে। প্রথম ধাপে আপনার জালি কুমড়ার পেজ গুলো কে সুন্দর ভাবে পরিষ্কার করে ধুয়ে 10 ঘণ্টা পানিতে ভিজিয়ে রাখতে হবে। 10 ঘণ্টা ভিজিয়ে রাখার পর চাল কুমড়ার বীজ গজানোর জন্য পরিপূর্ণ ভাবে তৈরি। এবার কিছু টয়লেট পেপার, টিস্যু পেপার অথবা রুমাল এর মধ্যে বীজ গুলোকে একটা নির্দিষ্ট দূরত্ব মেনে সেট করে দিতে হবে। পরবর্তী কাজটি হল টিস্যু পেপার সহ সম্পূর্ণ সেটাকে একটা প্লাস্টিকের ছোট পটের মধ্যে রেখে দেয়া এবং এই প্লাস্টিকের পাত্রটি কে সম্পূর্ণ এয়ারটাইট করে বন্ধ করে রাখা । পাত্রটিকে এয়ারপোর্ট করার আগে ভেতরে কিছু পরিমাণে পানি দিয়ে নিতে হবে। পরবর্তী দুই থেকে তিন দিনের মধ্যে আপনার চাল কুমড়ার বীজ গুলো গজিয়ে যাবে। এরপর আপনি চাইলে বীজগুলোকে সরাসরি মাটিতে রোপণ করতে পারেন। অথবা বীজগুলোকে কোন চারা তৈরীর পাত্রে অথবা বীজতলায় যেকোনো স্থানে রোপন করে কিছুটা বড় করে নিতে পারেন গাছগুলোকে। এখানে দেখানো নিয়মটি মেনে যে কোন গাছের চারা তৈরি করতে চাইলে ভিডিওটি শুরু থেকে শেষ পর্যন্ত মনোযোগ দিয়ে দেখুন।
18 сен 2024