সৃষ্টির প্রারম্ভ থেকেই জগৎ পালক হরি নারায়ণ বিষ্ণু ও মাতালক্ষী বৈকুণ্ঠ ত্যাগ করে চার অলৌকিক ধামে ভ্রমণ করতেন। এই অলৌকিক চার ধাম হলো বদ্রিনাথ ধাম দারোকা ধাম জগন্নাথ পুরী ধাম এবং রামেশ্বরম ধাম। প্রভু বদ্রিনাথ ধামে স্নান করে দিন শুরু করতেন এবং তারপর দারোকাতে প্রভু তার বস্ত্র বদল এবং শৃঙ্গার করতেন এবং খাবার জন্য প্রভু এবং মাতালক্ষী আসতেন জগন্নাথ পুরীধামে সেখান থেকে ভোজন সমাপ্ত হবার পর মাতালক্ষী এবং প্রভু নারায়ন তাদের দিন শেষ করতেন ভারতের একদম দক্ষিণপ্রান্তে অবস্থিত রামেশ্বরম ধামে মহাদেব শঙ্করের পূজোর মধ্যে দিয়ে। এরপর সময় কাটতে থাকি এবং জগতের কল্যাণার্থে প্রভুর এই চার অলৌকিক ধাম লৌকিক ধামে পরিণত হয়। এরই মধ্যে একটি বিখ্যাত ধাম হলো জগন্নাথ পুরীধাম। পুরান পতন অনুযায়ী জগতের আদি সময় থেকে প্রভু এখানে ভজন করেন তাই যতই ভক্তসমাগম হোক না কেন পরীর প্রসাদ কখনো শেষ হয় না। এমন কোন দিন হয়নি যে কোন ভক্ত জগন্নাথের প্রসাদ পাননি।
এদিকে শ্রীকৃষ্ণের মৃত্যুর পর তার হৃদপিণ্ড জলে ভাসিয়ে দেওয়া হয়। সেই হৃৎপিণ্ড ব্রহ্ম পদার্থ বা নীলমণি বা নীলকান্ত মণিতে পরিণত হয়। এই নীলকান্ত মনি জোড়া নামক সেই সবর নিয়ে গিয়ে পুজো করেন। রোহিনী সরোবরের তীরে নীল পাহাড়ে এই মনি, নীলমাধব নামে সবরদের দেবতা রূপে পুজো পেতেন ।
শ্রীকৃষ্ণ সবর দেখা দিয়ে বলেছিলেন আজ থেকে সবর জাতির হাতে তিনি পূজিত হবেন।
#jagannath #purijagannadh #jagannathkotha #jagannathtemple #jagannathrathyatra #জগন্নাথ
4 июл 2024