আল্লাহর নিজ আকৃতিতে আদম তৈরি আল্লাহর একটি আকৃতি আছে, যেমন সূরা সাদের ৭৫ নং আয়াতে উল্লেখ আছে, আল্লাহর হাত আছে, সূরা কালামের ৪২ নং আয়াতে উল্লেখ আছে- আল্লাহর পা আছে এবং সূরা কাসাছ এর ৮৮ নং আয়াতে উল্লেখ আছে, আল্লাহর চেহারা ধ্বংস হবে না এবং সূরা সেজদার ৪ নং আয়াতে উল্লেখ আছে, ৬ দিনে পৃথিবী তৈরি করে আল্লাহ আরশে আজীমে সমাসীন হলেন। যেখানে দাঁড়ানো এবং বসা উল্লেখ থাকে সেক্ষেত্রে অবশ্যই আল্লাহর একটি আকৃতি আছে বলে প্রতীয়মান হয়। আর আল্লাহর সেই আকৃতিটাই হচ্ছে অতি উত্তম আকৃতি। আল্লাহ বলেন, আদমকে অতি উত্তম আকৃতিতেই তৈরি করা হয়েছে। (সূরা-তীন, আয়াত-৪নং এবং সূরা-মমিন, আয়াত ৬৪) এবং সূরা-রুমের ৩০ নং আয়াতে উল্লেখ আছে, আল্লাহর প্রকৃতি অনুসারেই মানুষ তৈরি। সূরা-ইনফিতর এর ৮ নং আয়াতে উল্লেখ আছে, আল্লাহ বলেন, 'আমি যেমন তেমন আকৃতিতে মানুষ তৈরি করেছি, এইজন্য যে, যেন ইচ্ছামত ঐরূপে আহরণ করতে পারি।' এখানে উল্লেখ্য যে, এই আয়াতে 'আইয়ু' সূরত শব্দ এসেছে। আইয়ু শব্দের আপেক্ষিক অর্থ হচ্ছে যেমন তেমন (আরবি অভিধান পৃ. ৬৩৮) ইংরেজিতে 'অং ষরশব ধং' আইয়ু শব্দের সাথে যে শব্দ ব্যবহৃত হবে সেই শব্দের অর্থের সাথে আইয়ু শব্দের অর্থ নির্ভর করে, যেমন তুমি আমাকে যেমনটা ধাক্কা দিলে আমিও তোমাকে তেমনটা ধাক্কা দিলাম। এই আয়াতে আইয়ু সূরত শব্দ এসেছে বিধায় আল্লাহর যেমন সূরত, তেমন সূরতেই আল্লাহ মানুষকে সৃষ্টি করেছেন। এই আয়াতে 'রাক্কাবাকা' শব্দ এসেছে, 'রাক্কাবাকা' শব্দের অর্থ হচ্ছে আহরণ করা (আরবি অভিধান, পৃ. ১৩৭৪)। যেন ইচ্ছামত আল্লাহ মানব রূপে আহরণ করতে পারে। উপরিউক্ত আলোচনায় বুঝা যায় যে, আল্লাহ পাকের নিজ আকৃতি ও প্রকৃতি অনুসারে মানুষ তৈরি করেছে
এবং (আম্বিয়া, ৩৫ আয়াত) আর অপরটি হচ্ছে রুহ সত্তা। আর রুহু সত্তাই হচ্ছে প্রভু সত্তা (বনি ইসরাইল, ৮৫ আয়াত)। এই মর্মে আল্লাহ বলেন, আমি দুইটি দরিয়া পাশাপাশি প্রবাহিত করি, মাঝখানে একটি অবেধ্য অন্তরাল যা অনতিক্রম্য ব্যবধান (আররহমান, ১৯ আয়াত) এবং (ফুরকান, ৫৩ আয়াত)। এখানে উল্লেখ্য যে, উপরিউক্ত আয়াতে একই মানব দেহে দুটি প্রবাহ, একটি হচ্ছে নফ্স, আর অপরটি রুহুকে বুঝানো হয়েছে। নফস্ এবং রুহের মাঝখানে একটি অনতিক্রম ব্যবধান রয়েছে, যার ফলে নফস্ কখনো তা অতিক্রম করতে সক্ষম হবে না বিধায় নফস কখনো রুহ সত্তার দাবিদার নয়। এটাই হচ্ছে আল্লাহর কৌশল, যে কৌশলে তিনি তাঁর সৃষ্টির সাথে অবস্থান করেন। আল্লাহ বলেন, তোমরা আল্লাহর কৌশলকে ভয় কর, তা না হলে তোমরা হবে ক্ষতিগ্রস্থ। (আরাফ-৯৯) তাই মানব যখন ঘুমায় তখন একটি সত্তা দেহের বাইরে অবস্থান করেন (যুমার, ৪২ আয়াত)। তখন নফস সত্তা দেহের বাইরে অবস্থান করে (ইসলামিক ফাউন্ডেশন-এর আল-কুরনুল কারিম-এর টিকা নং ১৫০১) মানব রসূলের মধ্যে আল্লাহ পাকের যে অবস্থান ছিল, সেই আল্লাহকেই আল্লাহ বলতে বলা হয়েছে (আলফাতহের ১০ আয়াত) বিধায়, মানব রসূলকে আল্লাহ সাব্যস্ত করা হয় নি বরং রসূল এর দেহের মধ্যে আল্লাহর সত্তা রুহের উপস্থিতি আছে, সে সত্তাকেই আল্লাহ বলা হয়েছে বিধায় রসূলের হাত আল্লাহর হাত বলা, রসূলকে আল্লাহ সাব্যস্ত করার শামিল হয় নি বিধায় রসূলের হাত, আল্লাহর হাত বিশ্বাস করা কখনো বাকারার ২২ আয়াতের পরিúন্থী হবে না। তারপরও যদি কেউ এমনটি বলেন, মানব রসূলের মধ্যে দুইটি স্বত্বা, কিন্তু দেহতো দুটি নয়, দেহ তো একটি, যেটি মানব দেহ। মানব আকৃতিতে যদি কেউ আল্লাহ স্বীকার করে, তাহলেতো মানব আকৃতিটা আল্লাহর উপমা হয়ে যায়। যা নহলের ৭৪ আয়াতের পরিপন্থী হয়। বিধায় এখানে উল্লেখ্য যে, এই আকৃতিটা মানুষের নিজস্ব আকৃতি নয়। কারণ মানব আকৃতিটা আল্লাহর সুন্দর আকৃতি ও প্রকৃতির অনুকরণে তৈরি (ত্বীন, ৪ আয়াত) এবং (রুম, ৩০ আয়াত)। যেহেতু আল্লাহর নিজ আকৃতির অনুকরণেই মানব তৈরি, সেহেতু মানব আকৃতির প্রকৃত মালিক হচ্ছে আল্লাহ। মানব হচ্ছে এই দেহ নামের ঘরে সাময়িক মেহমান। কাজেই মানব আকৃতি হচ্ছে আল্লাহর শায়ের। শায়ের অর্থ চিহ্ন (আরবি অভিধান পৃ. ১৫৩০) মানব আকৃতি যেহেতু আল্লাহর নিজস্ব আকৃতির অনুকরণে তৈরি, এখানে উল্লেখ্য যে প্রত্যেক মানুষের চেহারা আল্লাহর নিজ চেহারা। কারণ পৃথিবীতে এক মানুষের চেহারার সাথে অবিকল আর একটি মানুষ নেই, এই জন্য আল্লাহর চেহারা এক এবং অভিন্ন এবং আল্লাহ যে এক এটা তারই নিদর্শন। সেহেতু মানব আকৃতিতে আল্লাহ বিশ্বাস করা আল্লাহর উপমা দেওয়ার শামিল হবেনা। আল্লাহ বলেন, শায়ের আল্লাহতে দৃষ্টি দেওয়া তো আল্লাহরই তাকওয়ার সঞ্জাত। (হজ, ৩২ আয়াত)। রসূল সুরত যেহেতু আল্লাহর শায়ের, সেহেতু রসূল সুরতে আল্লাহ বিশ্বাস করা, আল্লাহর উপমা দেওয়ার শামিল নয় বিধায় রসূলের হাত আল্লাহর হাত বিশ্বাস করা কখনো নহলের ৭৪ আয়াতের পরিপন্থি হবে না। বরং রসূলের হাত, আল্লাহর হাত বিশ্বাস করাই প্রকৃত মমিনের পরিচয়। সম্যক গুরুগণই রসূল, সম্যক গুরুর সঙ্গ ধারণ করে আল্লাহ পাকের পরিচয় লাভ করাই মানব মুক্তির উপায়।
আরে ভাই আল্লার ক্ষমতা সম্পর্কে তোমার ধারণা নেই, আল্লাহ বলছেন তোমরা যেখানেই থাকোনা কেন আমি তোমাদের সাথেই আছি মানে এই নয় যে আল্লাহ আমাদের সাথেই ঘুরে বেড়াই, আল্লাহর সৃস্টি মাখলুক যেখানেই থাকুক না আল্লাহর এরিয়ার বাইরেকেউ যেতে পারবে না, তুমি যদি অন্তর থেকে আল্লাহ কে ডাকো আল্লাহ সঙ্গে সঙ্গে শুনতে পাই তুমি যেখানে যাই করোনা কেন আল্লাহ সরাসরি দেখতে পাই, আল্লাহর দৃষ্টিশক্তি আল্লাহর শ্রাবন শক্তি সম্পর্কে তোমার ধারণা নেই, আল্লাহ নিজে বলছেন আমি আরসে আজিমে আছি আল্লাহ ওখান থেকে দুনিয়া পরকাল সবকিছু পরিচালনা করেন, আল্লাহ হচ্ছেন মহান তিনি থাকেন আরসে, তোমার চোখ আর নাখ যত কাছে আল্লাহ তার চেয়েও কাছে, তারমানে এই নয় যে তিনি আমার ভেতরে থাকেন আল্লাহ র দয়া রহমত সবসময় মানুষের সাথে, আসা করি বুঝতে পেরেছো।
একটা কথা সবসময় মনে রাখবে যে আমার আল্লাহ এই সৃষ্টি জগতে হাজির নন বরং আমাদের এই সৃষ্টি জগতটাই আল্লাহর কাছে হাজির এটা মাথায় রাখবে সবসময় । আল্লাহর দেওয়া জ্ঞান ইলম সব জায়গাতে হাজির
আল্লাহু হাজির, আল্লাহু নাজির, আল্লাহু সাইন,আল্লাহু মাইন। আল্লাহুপাক সব সময় বান্দার কাছে থাকেন। আল্লাহুপাক বলেন আমি বান্দার সিহ রগের নিকটে থাকি বান্দা যা করে আমি আল্লাহু সব কিছু দেখি ও শুনি, সে প্রকাশ্যে করুক আর গোপনে করুক সব কিছু আল্লাহুপাক জানেন।
Tue Suwor Marka Hojur Tur Chahara Dakla Manush yar khoti Hoy Tue Na stick Tur Eman Nai Tura Monafack Jahan name Kafar Tura Nobi Beddashe Tudarr Eman Taktay Parana Karon Allah Ka Manar Nam Eman Noy NOBI Ka MANAR NAM EMAN Amin
আল্লাহর আকৃতি আছে ও তিনি প্রকাশ হতে সক্ষম অনেকেই আল্লাহ সম্পর্কে তর্ক করে বলেন, আল্লাহর কোনো আকৃতি নেই। কিংবা আল্লাহ আকৃতি ধারণ করেন না। আল্লাহর কোনো আকৃতি বা চেহারা নেই এমন কোনো আয়াত পবিত্র কোরআনে নেই। বরং আল্লাহর আকৃতি বা চেহারা সম্পর্কে আয়াত আছে। সাদ, ৭৫ আয়াতে বলা হয়েছে, আল্লাহর হাত আছে। অনেকেই বলে আল্লাহর সেই হাত নাকি কুদরতি হাত, কিন্ত যে হাত আদমের দেহ তৈরীতে ব্যবহৃত যেহেতু আদমের দেহ মাটি দিয়ে তৈরী অর্থাৎ বাস্তব বস্তু দিয়ে তৈরী যে হাত দিয়ে আদমের দেহটা তৈরী সে হাতটা নিশ্চয়ই বাস্তব. আল্লাহ বলেন, আমি নিজ হাতে আদম তৈরি করেছি (সাদ-৭৫)। বিধায় আল্লাহর হাতটা বাস্তব। কালাম, ৪২ আয়াতে বলা হয়েছে, আল্লাহর পা আছে। আল্লাহর যে পা প্রকাশ হবে সে পা নিশ্চয়ই বাস্তব। সে দিন আল্লাহর পা প্রকাশ করা হবে (সূরা কালাম-৪২) এবং বাকারা, ১১৫ আয়াতে বলা হয়েছে, আল্লাহর চেহারা আছে। কাসাস, ৮৮ আয়াতে বলা হয়েছে, সকল কিছু ধ্বংস হবে আল্লাহ চেহারা ব্যতীত। অতএব যে চেহারা ধ্বংশ হবে না মর্মে উল্লেখ আসছে, তাতে প্রমাণ হয় আল্লাহর সেই চেহারাটা নিশ্চয়ই বাস্তব। ছয় দিনে পৃথিবী তৈয়ারি করে আল্লাহ আরশ আজীমে বসলেন। সেজদা, ৪ আয়াত। যেহেতু আল্লাহ আরশে বসলেন যেক্ষেত্রে দাঁড়ানো ও বসা উল্লেখ আসছে তাহলে অবশ্যই তাঁর ধড় বা দেহ আছে। এই সকল আয়াত বিশ্লেষণে জানা গেল, আল্লাহর আকৃতি আছে বা আল্লাহ আকৃতি ধারণ করে থাকেন। আর সেই দিন আল্লাহ আকৃতি ধারণ করেই প্রকাশ হবে। আর তাই সুরা হাদিদ, ৩ আয়াতে বলা হয়েছে, আল্লাহ প্রকাশ্য বিদ্যমান। তাহলে দেখা যাচ্ছে আল্লাহ আকৃতিগতভাবে প্রকাশ হবে এটা নিশ্চিত।
@@MOKBULMOLLIK-nz9np, কোরআন হলো আইন ( Law) আর সুন্নাহ হলো বিধি (Rules).আইন বাস্তবে প্রয়োগ হলো বিধি। আল্লাহর আইন রাসুল সঃ বাস্তবে পালন করেছেন আর সাহাবী রাঃ গণকে বাস্তবে শিখিয়ে দিয়ে ইসলামের পরিপূর্ণতা দিয়েছেন। কোরআন ও সুন্নাহ একে অপরের পরিপূরক। একটিকে অন্যটির উপরে তোলা ঠিক হবে না। কোরআন সঠিক ও নাজাতপ্রাপ্ত দলের নাম মুমিন মুসলিম। আহলে হাদিস নয়।
@@MOKBULMOLLIK-nz9np, কোরআন আইন (Law) আর সুন্নাহ বিধি ( Rules). আল্লাহর হুকুম কোরআন রাসুল সঃ এর সুনাহ বা নিয়মে পালন করতে হবে। কৌশলে আহলে হাদিস প্রচার থেকে বিরত থাকুন।
TUR Eman Nai T.ura Nobi Beddashe Tura Monafack Jahanname Kafar Tura Ibnathyaba Albans Kafar Tue Tar Mutti Khaiso Tura Lilla ha Tabor Jahanname KAFAR Tudar EMAN Nai
আরে গরু, এটা আল্লাহর আদেশ। লজিক যদি বলি, হজ্জ উমরাহ হলো মানুষকে বুঝানোর ইবাদত যে আল্লাহর কাছে ধনী গরীব, রাজা -ফকির, সাধারণ -ভিআইপি কোন পার্থক্য নেই । সবার জন্য দুটো কাপড় যার কোন গ্রেড ভেদাভেদ বোঝার কিছু নেই,। সুতরাং মানুষের বিন্দু মাত্র অহংকার করার সুযোগ নেই।
সেদিনের তাৎক্ষণিক বিশ্বাস কবুল করা হবে না এবং সেদিন তারা আল্লাহর পায়ে সেজদাও দিতে পারবে না মানুষকে যখন বলা হলো মানব আকৃতিতে আল্লাহর সাক্ষাতে বিশ্বাসী হও। তখন এক শ্রেণির মানুষেরা বলিল, আল্লাহ গায়েব নয়, এটা বিশ্বাস করলাম, আল্লাহ অদৃশ্য নয়, এটাও বিশ্বাস করলাম। আল্লাহর আকৃতি আছে এটাও বিশ্বাস করলাম, আল্লাহ আকৃতিগতভাবে প্রকাশ হবেন এটাও বিশ্বাস করলাম। মানুষের সাথে আল্লাহর সাক্ষাৎ ঘটবে এটাও বিশ্বাস করলাম। আল্লাহ নিজ প্রকৃতিতে মানুষ তৈরি করেছেন এটাও বিশ্বাস করলাম। আল্লাহর সেই সুন্দর আকৃতিতে মানব তৈরি এটাও বিশ্বাস করলাম। আল্লাহর রুহ মানব আকৃতিতে প্রকাশ হয়েছে এটাও বিশ্বাস করলাম। মুসার সাথে আল্লাহর সাক্ষাত হয়েছে এটাও বিশ্বাস করলাম। মোহাম্মদ (স.) আল্লাহর সাক্ষাত লাভ করেছে এটাও বিশ্বাস করলাম। মৃত্যুর পরে 'মানুষের' সাথে আল্লাহর সাক্ষাত হবে এটাও বিশ্বাস করলাম। কিন্তু সেদিন আল্লাহ মানব আকৃতি ধারণ করে সাক্ষাত দিবে এটা বিশ্বাস করতে পারছি না। কারণ মানব আকৃতিতে সেদিন আল্লাহ প্রকাশ হবে বিশ্বাস করলে, মানব আকৃতিতে আল্লাহ এটা বিশ্বাস করা লাগে আর এই বিশ্বাস করলেই আদম কাবায় সেজদা দেওয়া লাগে। কিন্তু আমরা আদম কাবায় সেজদা দেওয়া বৈধ মনে করি না। আর তাই আল্লাহকে প্রত্যক্ষ না করা পর্যন্ত, আল্লাহ যে মানব আকৃতিতে প্রকাশ হবে এটা বিশ্বাস করিব না। যে দিন আল্লাহ আসবেন সেই দিন আমরা আগে দেখে নিব যে আল্লাহর আকৃতি কেমন। যেমন আকৃতিতে সেদিন দেখিব তেমন আকৃতিই আল্লাহর তখন সেই আকৃতিতে আল্লাহকে বিশ্বাস করিব। তার আগে আমরা এখন তোমাদের কথায় মানব আকৃতিতে আল্লাহ এই কথা বিশ্বাস করতে পারছি না। তাদের উদ্দেশ্যে আল্লাহ বলেন তোমরা প্রতিক্ষায় আছ তোমাদের কাছে আল্লাহ আসবে, যেদিন সত্যই আল্লাহ আসবে সেদিন তোমরা আল্লাহকে বিশ্বাস করবে। কিন্তু সেদিনের সেই তাৎক্ষণিক বিশ্বাস আনয়ন কবুল করা হবে না। কারণ তারা পূর্ব থেকে বিশ্বাস করে নি। আনআম ১৫৮ আয়াত। এই জন্য আল্লাহ সেই সকল মানুষকে সতর্ক করে বলেন সেই দিবস আসার পূর্বেই তোমরা আল্লাহর আহ্বানে সাড়া দাও। সূরা-শুরা, ৪৭ আয়াত। কারণ সেদিনের তাৎক্ষণিক বিশ্বাস কবুল করা হবে না। সেজদা ২৯ আয়াত। আর সেদিন তোমরা বিশ্বাস অনুসারে সেজদাও দিতে পারবে না। কালাম ৪২ আয়াত। যখন তারা নিরাপদ ছিল তখন তো তাদের বলা হয়েছিল সেজদা করিবার। (কালাম-৪৩)। ঠিক একই ভাবে ইবলিশকে আহবান করা হয়েছিল আদম কাবায় আল্লাহকে সেজদা করিতে (আরাফ-১১) (হিযর-২৯)। সেই সময় আদম কাবায় আল্লাজহকে সেজদা করে নাই (বাকারা-৩৪)। আর তাই আজ যারা দুনিয়াতে আদম কাবায় আল্লাহকে সেজদা না করে ইবলিশের অনুসারী ছিল তারা সেদিন আদম আকৃতি বিশিষ্ট (বি. দ্র. সেদিন আল্লাহ প্রকাশ হবে কোন ছুরতে অধ্যায়ে বিস্তারিত দেখুন) প্রকাশ্য আল্লাহর পায়ে সেজদা দিতে সক্ষম হবে না।