আসসালামু আলাইকুম আমার বিয়ের পর থেকে দেখে আসছি যে , যখনই আমার husband অসুস্থ হয়( বিশেষ করে যখন তাকে emergency তে নেয়ার প্রয়োজন হয় তখনই সে অসুস্থ অবস্থায় ই আলমারি খুলে সেখান থেকে তার চেক বই, দলিল ইত্যাদি যা কিছু আছে সব বের করে আমাকে, আমার বাচ্চাদের হাতে দিয়ে বলে -- যত্ন করে রাখো। যদি আমার কিছু হয় অর্থাৎ যদি আমার মৃত্যু হয় তাহলে তোমরা যেনো সমস্যায় না পড়ো। আমরা তখন তাকে বলি---------এসব এখন রাখেন। সুস্থ হয়ে আসেন তারপর দেখা যাবে। এই ঘটনা একবার দুইবার না প্রতিবারই হয়। এমনকি যখন সে একা কোথাও বেড়াতে বা কাজে যায় তখনও সে এই একই কাজ করে। আমাদের বিয়ের ৩০ বছর হয়ে গেছে। আমি মাঝে মাঝে দুষ্টামি করে বলি ---- ৩০ বছর ধরে আপনি সবকিছু গুছিয়ে দিয়ে বিদায় নেন আবার ফিরে আসেন। তখন সে বলে --- এমন করতে করতে একদিন সত্যি সত্যিই চলে যাবো। তখন মনে করবা। আরেকটা মজার বিষয় --- আমার আব্বা সেই ছোটবেলা থেকেই আমাদের সাথে একটা খেলা খেলতেন ----- বিছানায় সোজা হয়ে শুয়ে চোখ বন্ধ করে বলতেন --- আমি মরে গেলাম!!! আমরা তখন আব্বার গায়ের উপর উঠে চোখ টেনে খোলার চেষ্টা করতাম। কান্নাকাটি শুরু করে দিতাম। তখন আব্বা ফিক করে হেসে দিতেন আর বলতেন ---- এমন করতে করতে সত্যি সত্যিই একদিন চলে যাবো। আব্বা বেঁচে ছিলেন প্রায় ৮৫ বছর। গত তিন বছর আগে আব্বা মারা যান। আমাদের বাবা,মা যারা এই পৃথিবী ছেড়ে চলে গেছেন , আল্লাহ তাদের সবাইকে ক্ষমা করেন আর জান্নাতুল ফেরদৌস দান করেন। আমীন আমার মেঝ ভাই ------- বয়স ৬৪ বা ৬৫ হবে । একদিন দোকান থেকে হঠাৎ দুপুরে বাসায় চলে আসে। এসে বললো আমার খুব অস্থির লাগছে। আমাকে হাসপাতালে নিয়ে যাও। আমার ভাবী আর তার বড় ছেলে তাকে ইবনে সিনায় নিয়ে যায় তারপর আবার ঢাকা মেডিকেল হাসপাতালে নিয়ে যায়। কিন্তু তার অবস্থা স্বাভাবিক হয় নাই দেখে পরের দিন সকালে বাংলাদেশ মেডিকেল হাসপাতালে নিয়ে যায়। সেখানে নেয়ার সাথে সাথেই তারা ভাইয়া কে CCU তে নিয়ে যায় আর ঠিক মাগরিব এর সময় তারা বলে -- উনার অবস্থা খুবই খারাপ। আমাদের করার কিছু নাই। আপনারা চাইলে অন্য কোথাও নিয়ে যেতে পারেন। তখন Ambulance এ করে ভাইয়াকে বারডেম হাসপাতালে নিয়ে যাওয়া হয়। সেখানে তারা ভাইয়াকে মৃত ঘোষণা করেন। অর্থাৎ Ambulance এ ই ভাইয়ার মৃত্যু হয়। অথচ ভাইয়া একটা বারের জন্যও কাউকে বলে নাই তার কেমন লাগছে বা তার স্ত্রী, সন্তানদের ও কিছু বলে যায় নাই। আমরা কেউই বুঝতে পারলাম না আমাদের ভাই সে সময় মৃত্যুর ফেরেশতার সাথে ব্যাস্ত। আল্লাহ আমাদের ভাইকে ক্ষমা করেন আর জান্নাতুল ফেরদৌস দান করেন। আমীন সত্যিই মৃত্যু বড় রহস্যময়। কখন কার দরজায় কড়া নাড়বে কেউ জানে না। শুরুতে বলছিলাম আমার husband এর কথা। দোয়া করি আল্লাহ তাকে ক্ষমা করেন আর নেক হায়াত দান করেন। যাতে যতদিন সে বেঁচে থাকে ঈমানের সাথে, সম্মানের সাথে বেঁচে থাকে আর মৃত্যুও যেনো হয় ঈমানের সাথে, সম্মানের সাথে। আল্লাহ আমাদের সবাইকে ক্ষমা করেন আর হেফাজত করেন মানুষ ও শয়তানের ধোঁকা থেকে। দুনিয়ায় এমনভাবে বসবাস করি যাতে মৃত্যুর পর তা আমাদের জন্য কল্যান বয়ে আনে। আমীন আমীন
বই এর নাম👉 ইসলাম এট দা ক্রস রোড (islam at the crossroads). এইটি ইংরেজি তে প্রকাশিত হয়েছে। নেট এ খোজ করলে হইত বাংলা পিডিএফ ভার্সন পেতে পারেন। জাজাকাল্লাহ খাইরান ❤️
ইন্জিনিয়ার হুজুর যা বলেন মানে ঘর থেকে বের হওয়ার সময় অনেকের মৃত্যুর কথা মনে পড়ে না বা ভাবে না, কিন্তু হুজুর সাহেব কি আসলেই কুরআন ভালোভাবে ধীরগতিতে বুঝে পড়েছেন কি?কারণ কোরআনে আল্লাহ স্পষ্ঠ ভাবে বলেছেন আল্লাহ ইচ্ছা না করলে কেউ ইচ্ছা বা চিন্তা করতে পারে না
ভালোভাবে রেফারেন্স দিয়ে আপনার মন্তব্য উল্লেখ করুন।আল্লাহ আপনাকে ইচ্ছাশক্তি দিয়েছেন বলেই আপনি চিন্তা করতে পারেন।ধরুন,আপনার আগামীকাল এক্সাম আছে,এখন পরীক্ষার আধঘন্টা আগে বলছেন যে আমি ভুলে গেছি।এটাতো পাগলের আলাপ।হ্যা! একটা কেইস আছে যখন আপনি ভুলে যেতে পারেন,সেটা হচ্ছে আপনার কাছে যখন পরীক্ষার কোন গুরুত্বই থাকবেনা তখন। আপনাকে গাড়ি দেয়া হয়েছে,চাবিও দেয়া হয়েছে,সাথে কোন পথে যাবেন তার একটা স্পষ্ট বইও দেয়া হয়েছে,এখন আপনি যদি wrong সাইডে গাড়ি চালিয়ে দুর্ঘটনা ঘটান,তখন সেজন্য আপনার আইনগত শাস্তি হওয়া যুক্তিযুক্ত।এখানে আপনি হলেন নফস,গাড়ি হচ্ছেন সমস্থ শরীর,গাইডলাইন হচ্ছে,কুরআন ও হাদীস।
অবশ্যই আপনি যেভাবে বুঝেছেন কুরআন সেভাবে বলেনি না অনেকেই পরীক্ষায় বসার আধ ঘন্টা আগে বা পূর্ব মুহূর্তে চিন্তাই করতে পারে না বা ঐ চিন্তা চিন্তাতেই আসে না আর আল্লাহ কুরআনের কোথাও বলেননি এক জন মানুষের জন্ম থেকে মৃত্যু পর্যন্ত সব চিন্তা বা ভালো/মন্দের একটা চার্ট তার হাতে ধরে দিয়েছে যা দেখে তুলনামূলক তার জন্য ভালোটা পছন্দ করে নিবে বা ক্ষতিকরটা এড়িয়ে চলবে যেমন পৃথিবীর বহু রাজা বাদশাহ প্রধানমন্ত্রী বৈজ্ঞানিক ভাবে ডাক্তারি পরীক্ষা করে খাদ্য গ্ৰহনের পর বদ হজমে আক্রান্ত হয়ে হসপিটালাইজড হয়েছেন/ তা ছাড়া আল্লাহ কুরআনের সূরা আত তাকভিরের ২৯ নাম্বার আয়াতে বলেন আল্লাহ ইচ্ছা না করলে কেউ ইচ্ছা করতে পারে না। যার মানে আল্লাহ আগে খুন করার ডিজায়ার করেন পরে একজন মানুষের মধ্যে ইন্চপায়ার করেন অতঃপর মানুষটি অন্য আরেক জনকে খুন করে। কারণ আল্লাহ তাঁর সৃষ্টির সবকিছুকে নিয়ন্ত্রণ করেন
কিছু মানুষ আছে ভুল ধরার জন্য আলোচনা শুনে। এরকম হয় না জানার জন্য আমল করার জন্য আলোচনা শুনুন। ইসলামী দাওয়াত দেওয়ার জন্য মানুষের দৃষ্টিভঙ্গি বোঝা খুবই প্রয়োজন। হিটলারের দৃষ্টিভঙ্গি অনেকেই ধারণ করে।
আসসালামু আলাইকুম। অকাল মৃত্যু বলে কিছু নেই আসলে। আল্লাহ মানুষকে দুনিয়াতে পাঠানোর আগেই তার মৃত্যুর সময় লিখে রেখেছেন। এক চুল সময়ও এদিক সেদিক হবে না। সে ১০ বছর বাচলে ১০ বছরেরই হিসাব হবে। ১০ বছরই তার ফায়সালার জন্য যথেষ্ট। আর ৮০ বছর বাচলে ৮০ বছরের হিসাব দিতে হবে। আল্লাহ আমাদের মাফ করুন।