পিতা মাতার সাথে সবচেয়ে উত্তম আচরণ করতে হবে তারা উভয়ই বৃদ্ধ হয়ে গেলেও। এর ভিতর একটি প্রজ্ঞা হলো, আমরা যখন ছোট থাকি তখন পিতামাতা রা আমাদের অনেক ভালো বুঝেন। আমরা কিছু বলার আগেই তারা বুঝে যান কি দরকার আমাদের। কিন্তু বৃদ্ধ অবস্থায় এই বুঝ অনেক কমে যায়। তখনি আমরা তাদের প্রতি অনেক খারাপ আচরণ করে ফেলি বা মনে বিরক্ত নিয়ে চলি তাদের সাথে। এমন অবস্থা তেও কোরআন আমাদের শেখায় তাদের সাথে 'ঊফ' শব্দটাও যেন না বলি। প্রজ্ঞা নিয়ে আচরণ করি।
আল্লাহ এক ও অদ্বিতীয়,এটি মেনে নেওয়া এবং শুধুই আল্লাহর ইবাদাত করা। শুধুই আল্লাহ তাআলার ইবাদত করার জন্য কিছু নির্দেশ আল্লাহ তাআলা উল্লেখ করেছেন।এগুলো মেনে চলার মানে হলো আমরা আল্লাহ তায়ালার ইবাদত করছি, আর এগুলো না মেনে চলার মানে হল আমরা অন্য কাউকে মানছি। এই নির্দেশ গুলোর মধ্যে একটি হল - পিতা - মাতার সাথে সর্বোত্তম আচরণ করা। আমরা পিতামাতার প্রতি বিরক্ত হতে পারবো না, তবে অধিক প্রয়োজনে পিতা- মাতার থেকে আলাদা থাকা যাবে। তবে পিতা মাতার ভরণপোষণ এবং সেবার বিষয়টি অবশ্যই খেয়াল রাখতে হবে।
এসব নির্দেশের আরো একটি হলো -কৃপণতা না করা এবং অপব্যয়ীও না হওয়া। কারণ রিজিক আল্লাহ তায়ালা নির্ধারণ করে দেন। তাই আল্লাহ তা'আলা যে কোন সময় এটি কমিয়ে দিতে পারেন এবং এটি বাড়িয়েও দিতে পারেন। এগুলো কুরআনে উল্লেখ করা আছে।
চুরি করা বিষয় নিয়ে বলা হয়েছে, তোমরা পৃথিবিতে দম্ভ নিয়ে চলো না। মানে এই খানে যে শুধু বাসা বাড়িতে চুরির কথা বলা হয়েছে তাই না, সকল কিছুর কথাই চলে আসছে এক লাইনে। এই বিষয় নিয়ে প্রজ্ঞা অর্জন করে চলতে হবে আমাদের।
আল্লাহ তায়ালার ইবাদত করার জন্য, এই নির্দেশ গুলো মানা সবার জন্য একই রকম নয়। তাই এগুলো প্রজ্ঞা। তাই আমরা এগুলো মেনে অন্যদেরকে একইভাবে এগুলো মেনে চলার উপদেশ দিতে পারবো না।
এসব নির্দেশের আরো কিছু হলো- সঠিকভাবে পরিমাপ করা। এই নির্দেশ শুধুমাত্র মুদি দোকানদারদের জন্যই না, শাকসবজি বিক্রেতাদের জন্যই না, বরং সকলের জন্য। কেউ যদি কোন কাজ দেয়, তার সময়, মূল্য ইত্যাদি নিয়ে তাকে মিথ্যা বলা যাবে না বা ঠকানো যাবে না। এটিও সঠিক পরিমাপের মধ্যেই পড়ে। আরেকটি হল ব্যভিচারের ধারে কাছেও যেওনা। ব্যভিচারের ধারে কাছে যেও না বলতে বোঝানো হয়েছে, ব্যভিচার হতে পারে, এমন কোন মাধ্যমই অবলম্বন করো না।যেমন: বিপরীত লিঙ্গের সাথে দেখা করা, কথা বলা ইত্যাদি।
বাইবেলের দশ আজ্ঞার একটি হল, মা বাবার সাথে সর্বোত্তম আচরণ করা, এবং কুরআনে আল্লাহ তায়ালা একই আদেশ দিয়েছেন।এখানে আল্লাহ তাআলা পাখির সাথে তুলনা করেছেন আমাদেরকে, অর্থাৎ পাখির সাথে পাখির বাসার সম্পর্ক যেমন হয়, আমাদের সাথেও আমাদের পিতা-মাতার সম্পর্ক তেমনই।