প্রিয় আমেনা (তানু) তোমার ভালোবাসার উছিলায় আল্লাহ তায়ালা আমাকে নতুন জিবন দিয়েছেন।তোমার ভালোবাসায় আজও আমি পৃথিবীর আলো বাতাস দেখতে পাই। আল্লাহু আকবার! ছোটবেলায় তুমি বুজতে পেরেছিলে যে, আমি তোমাদের জিবন থেকে চলে যাচ্ছি। আর কখনও ফিরে আসবো না। তাই তুমিও সবকিছু ছেড়ে আমার সাথে চলে যেতে হাত বাড়িয়ে ছিলে। আল্লাহু-আকবার কিন্তু আমি ভুল বুজেছিলাম ও তোমার খালার প্ররোচণায়, তোমার বান্ধবী হেনার নেশায় পড়ে; তোমাকে কষ্ট দিয়েছিলাম। আমি মনে করেছিলাম নায়ক-নায়িকারাতো দুইজনে মিলেই নাচে। ঘরের ভিতরে যেহেতু নাচি নি, তাই তুমি হাত বাড়িয়েছো এখন বাহিরে গিয়েই আমার সাথে নাচবে!.. অথচ আমি বিগত দিনে নেচে-গেয়ে টাকা এনে দিতে পারি নি। তাই টিভি ওয়ালীর মা এক সপ্তাহ যাবত আমার সাথে কথা কয় না। যার পাঠানো খবর বা ডাক শুনে নিজ ঘরে মায়ের হাতে দুধমাখা ভাত রেখে দৌঁড়ে আসতাম। আজ! সেই টিভি ওয়ালীর মা-ই আমার সাথে কথা কয় না! আমি মনের দুঃখে আয়নার সামনে নেচে নেচে টেষ্ট করছিলাম যে, আমাকে কেমন দেখায় লাল-প্যান্ট লাল শাটে। এবং নিজেকে এই বলে ধিক্কার দিচ্ছিলাম যে, হায়! এই বালের নাচানাচি কেনো আমি টিভি দেখে শিখছিলাম!..সেদিন আমার পিকনিকে গিয়ে নাচ-গান করার দাওয়াত ছিলো। আচ্ছা বল দেখি তানু, আল্লাহ না করুন! আমি যদি তোমাকে পিকনিকে নাচ-গান করার জন্য সাথে করে নিয়েই যেতাম! তাহলে কি আমি তোমার সতিত্ব ও ইজ্জত আব্রু রক্ষা করতে পারতাম? শতাধিক পুরুষ পালের সামনে যখন তুমি নাচ-গান করে রাতের বেলায় নৌযানে বাড়ি ফিরতে। তখন কি ওরা তোমার কুমারিত্ব নষ্ট করে ফেলতো না?! আমি কি একা বড় একদল পুরুষ পালের সাথে পেরে উঠতাম? তুমি কি গণধর্ষণের স্বীকার হতে না? এর কি কোন গ্যারান্টি ছিলো?!.. এমনকি তুমি খুনও হয়ে যেতে।... (নাউজুবিল্লাহ!) তখন এর দায়ভার কে বহন করতো? সাকির না শফিক? লিটা না জেসমিন? তারচেয়ে বরং তুমি আমার হাতের একটু ভুল শাসনে কষ্ট পেয়ে, ধ্বংস হওয়া থেকে বেঁচে গেলে। এটা কি উত্তম নয়?! আমিও বেঁচে গেলাম এ উছিলায়। এটা কি আমাদের উপর আল্লাহর দয়া নয়? বড় বিপদে ধ্বংস হওয়া থেকে বাচাঁনোর জন্য আল্লাহ তায়া’লা মানুষকে দুনিয়াতে ছোট বিপদ দিয়ে থাকেন। তাই ফিরে এসো তানু, আমরা দুইজনে মিলে এক লা-শরীক আল্লাহর ইবাদত করি। পরকালে বড় বিপদে ধ্বংস হওয়া থেকে বাঁচি। তুমি যে একলা ঘরে আমার সাথে কোন্ নাচন নাচতে এসেছিলে! আমি তো সেটা বুজি নি। ভুল বুজে আমি তোমাকে প্রহার করে কষ্ট দিয়েছিলাম। আজ আমিও তোমার মা-খালা নানি ও মামুদের দ্বারা হাজারও প্রহারের আঘাতে কষ্ট পেয়েও--সব দুঃখ-বেদনা ভুলে তোমার মনের আশা-আকাঙ্ক্ষার কথা ভেবে তোমার দিকে ভালোবাসার মুহাব্বতে আমার 'মধুমাখা আদর মাখা' দুটি হাত বাড়িয়ে দিয়েছি। আয় আমেনা (তানু) আয়, জালেমদের জনপদ ছেড়ে আমার বুকে আয়। বিয়ের পিঁড়িতে বসে আমার বুঁকে আয়। সারাটা জীবন এই হাত দিয়ে তোর মুখে লোকমা তুলে তুলে খাওয়াবো। আর আদর সোহাগ করবো। কোনদিন তোকে মারবো না। আয় আমার বুঁকে আয়। বিয়ের পিঁড়িতে বসে, আমার বুঁকে আয়... তোমার বাবা-মায় তো গ্রামের সকল নারী-পুরুষকে সাক্ষী রেখে, রাজী ছিলো আমার হাতে তোমাকে তুলে দিবার। তুমিও রাজী ছিলে আমার সাথে বিবাহ বন্ধনে আবদ্ধ হবার। কিন্তু আমি বুজি নাই। আজ বুজেছি, তাই তোমার দাদি-বা ফুফুর মোহর পরিমাণ মোহর ধার্য্য করে আমি তোমাকে কবুল করলাম। আলহামদুলিল্লাহ! কবুল আলহামদুলিল্লাহ কবুল। বিয়ে হয়ে গেছে...... ------------০-------
কালিন্দীবাসীর প্রতি খোলাচিঠি.. বিসমিল্লাহ হির রাহমানির রাহীম বরাবরঃ--- সুবিচারক হাজী মুহাম্মদ আবুল হোসেন সাহেবঃ----গ্রাম-বিলকালিন্দী, কেরানীগঞ্জ ঢাকা। পত্রে আমার সালাম ও দোয়া নিবেন। আশাকরি বাপ-বেটি ভালো আছেন। পরসমাচারঃ--বিনীত আরজ এই যে...….... হযরত আবু হুরাইরা (রাঃ) থেকে বর্ণিতঃ রাসূলুল্লাহ (সাল্লাল্লাহু ‘আলাইহি ওয়া সাল্লাম) বলেছেন, মুসলমান মুসলমানের ভাই। সে তার উপর যুলুম করবে না এবং তাকে যালিমের হাতে সোপর্দ করবে না। যে কেউ তার ভাইয়ের অভাব পূরণ করবে, আল্লাহ তা‘আলা কিয়ামতের দিন তার বিপদসমূহ দূর করবেন। যে ব্যক্তি কোন মুসলমানের দোষ ঢেকে রাখবে, আল্লাহ কিয়ামতের দিন তার দোষ ঢেকে রাখবেন। (বুখারী পর্ব ৪৬ অধ্যায় ৩ হাদীস নং ২৪৪২; মুসলিম পর্ব ৪৫, অধ্যায় ১৫, হাঃ ২৫৮০) তো আমেনাদের বাড়ির সবুজ পাতায় ভরা পেয়ারা গাছটিও ফারুকের চোখের সাময়িক দোষটুকু ঢেকে রেখেছিল। কিন্তু ওরা মানুষ হয়েও কেনো সেই দোষ প্রকাশ করে আমেনাকে লজ্জা দিয়েছিলো?!! এখনও কেনো তারা সেই দোষে একে-অপরে চোখ টিপিয়ে মুচকি হেসে চোখ উঁচিয়ে লজ্জা দেয়?!!... "জনাব বিচারক সাহেব! আমার চোখে দোষ ছিলো বলেই-তো সুন্দরকে অসুন্দর দেখতাম। আপনার কন্যা আমেনার চোখে তো কোন দোষ নেই। সে কি দেখে পাগল হয়েছিলো? আগে সেটার জবাব দিন। তারপর আমার মাথা ভাঙার চিন্তা করুন। মাথায় বাড়ি দিলে তো আপনার কন্যাকে নিয়েই মাথা গুজার ঠায় হতো ঘরের ভিতর। খুব-তো গর্ব-উল্লাস করে বলেছিলেন "মাইয়্যা পছন্দ হয় না, বাড়ি পছন্দ হয়! বাড়ি দিয়া দিছি।" আমি আপনার কন্যাকে সহধর্মিণী হিসেবে ঠিকই পছন্দ করি। কিন্তু নাচ-গান করার জন্য নৃত্য-নাচের নর্তকী হিসেবে পছন্দ করি নি। আল্লাহ ও তাঁর রাসূল (সাঃ)ও ইহা পছন্দ করেন না। তাই নিরক্ষর নবীর উম্মতের হাতে বারি দিলে 'ব' বিন্দু 'র' দিয়ে বারি দিবেন। 'ড' এ শুন্য 'ড়' দিয়ে এমন অশুদ্ধ বাড়ি দিলে সাঁপও মরে না, লাঠিও ভাঙ্গে না। বংর শিক্ষিত বাড়ি ওয়ালার ইজ্জত নষ্ট হয়।.......... তানজিনা দুই হাত দিয়ে কি নিয়ে খেলা খেলে হেসেছিলো? আর তানিয়া কি দেখে পাগল হয়ে কেঁদেছিলো? এখনও কেনো সারা জীবন কাঁদে? 'হাসি ও কান্না' এই দু'টি প্রশ্নের উত্তরঃ-পারজোয়ার স্কুলে পড়ুয়া ছাত্রী তানিয়া, তানজিনা ও তাঁদের আপন শুভাকাঙ্ক্ষী সুহাদাগণ কেনো আমাকে লিখে দেয় না? তাঁদের স্কুলের শিক্ষক ও শিক্ষিকাগণ কি তাঁদেরকে লেখা-পড়া শেখায় নি? তাঁরা কি লিখতে জানে না? পড়তে পারে না? তাঁদের মা-বাবা কি লেখা-পড়া করে মানুষ হওয়ার জন্য তাঁদের হাতে খাতা-কলম বই-পুস্তক তুলে দেন নি? স্কুলে কি শুধু নাচ-গান শেখায়?! নাকি অশুদ্ধ বাড়িওয়ালাদের ঘরে টিভি দেখে নাচ-গান সুটিং ও মিথ্যা-প্রেম ভালোবাসার নাটক অভিনয় শিখে? তাদের গর্ভ-ঔরসে কি বানানে শুদ্ধ লিখে, এমন কোন আলোকিত সুপুত্র তানভীর জন্ম হয় নি? কিম্বা কোন শিক্ষিতা সু-কন্যা তানজিন? সত্যিই কোরআন-হাদীসের সু-শিক্ষা, নেক আমল ও নেক লোকের সহবত ছাড়া মানুষ কখনও আত্মশুদ্ধির 'শুদ্ধতায়' প্রকৃত খাঁটি-মানুষ হতে পারে না। সমস্ত জগতের প্রতিপালক মহান আল্লাহ তায়া’লার মহত্ত্ব ও বড়ত্বের পরিচয়হীন পরিবারে, সমাজে ও রাস্টের সবকিছুতেই ভুলভ্রান্তির অশুদ্ধতা থেকে যায়!.…. ----------------------------------০------------------------------
Tafsir suna Valo but Kuranhadiser hukumer waz kora Oti Uttam so let us know the foroj wajib haram halal kobira Guna as per Kuranhadis which will help us to meet our lord the only creator of the universe, would you please let us know the hukum of Kuranhadis in a tips form????
@@nijamwaztv আমি শুনে ই আমার মতামত দিয়েছি, উনি ওলি আললাহ কাকে বলে তাও জাননা , পুঁথিগত এলেম দিয়ে ওলির সংজ্ঞা দিয়ে মানুষ দের কে বিভ্রান্ত করার জন্য অপচেষ্টা করছে তিনি,