বি এন পির মনোনয়ন পত্র না পেয়ে বি এন পির রাজনীতি থেকে হাজার মাইল দূরে ছিলো , কন্ঠ যোদ্ধা হিসাবে প্রতিবাদী কন্ঠ হতে পারতো, যেমন অনেকে হয়েছে, মদন কুমার , বিপেন কুমার রাজশাহীতে গণ সংগীত গাইছিল *
মনির খানের নাম আগে শুনিনি, গানও শুনিনি। এই প্রথম উনার কথা ও গান শুনলাম। এক নম্বর - লিপস্টিক, আজগুবি কথা বলে সময় নষ্ট। দুই নম্বর - গানের কথায় আবেগ থাকতে পারে, কিন্তু বাস্তবতা নেই। আবেগ দিয়ে দুনিয়া চলে না। আবেগ নিয়ে বনে জঙ্গলে থাকলে ভালো। জীবন হলো সৎ কাজে কঠোর পরিশ্রম করা, নিজের ও দেশের মঙ্গল করা।
আমি গান খুবই পছন্দ করি। যে কোনো কারণেই হোক মনির খানের গান শুনা হয়নি। আরোও একবার ভালো করে শুনলাম। আট আনার জীবনকে উনি ভাগ করে দেখিছেন । চার আনা ঘুম, দুই না প্রেম ফাঁকি, দুই না বাকি। এই হলো মোট আট আনর হিসাব। গানটি আবার নতুন করে শুনলাম। প্রশ্ন: জীবনকে ধরতে হবে ১৬ আনা (১০০%)। তাহলে বাকি আট আনা অংশ কোথায় গেলো? আমার বয়স কত তা জানেন না। জানার প্রয়োজনও নেই। আমার এই দীর্ঘ জীবনে দিনের ২৪ ঘণ্টায় ৭ ঘন্টার বেশি কোনো দিনই ঘুমাই নি, এখনও ঘুমাই না। আমার জীবনের হয়তো আর আর দুই আনা বাকি আছে অথবা তাও নেই। কিন্তু একজন ১৬ বছর বয়স থেকে ২৪ বা ২৫ বছরের ছেলে ও মেয়ের জীবন ১৬ আনাই বাকি। ৬/৭ ঘন্টা ঘুমে সময় নস্ট নয়। শরীরকে সতেজ করে দেয়, এনার্জি ফিরিয়ে দেয় যা দিনের অবশিষ্ট অংশ দুর্দান্ত গতিতে কাজ করতে সাহায্য করে। প্রেম ফাঁকি নয়। প্রেম আছে বলেই জীবন আছে, জীবন আছে বলেই কর্মের মধ্য দিয়ে জীবনের জয়গান গেয়ে যেতে হবে। আর জীবনের জয়গান মানেই হলো প্রতিটি জীবনকে উপলব্ধি করা এবং তার পরিচর্যা করা। আপনি একটি বিষয় লক্ষ্য করেছেন যে মনির খান এত বড় একটা দামী স্টেজে উঠে প্রায় ৮০% সময়, লিপস্টিক, যন্ত্রীদের প্রশংসা, আয়োজকদের প্রশংসা ইত্যাদি করার পর আট আনার জীবন সম্পর্কে গানের দুই/তিন লাইন কি গেয়েছেন তা আপনিও শুনেছেন। উনার ভালো কামনা করি।
@@saroarrasel8687আমি ইউটিউব সার্চ করে দেখলাম মনির খান অনেক পুরানো শিল্পী, দীর্ঘ দিনই গান গাইছেন। সুনামও অর্জন করেছেন এবং ৩ টি পুরস্কারও পেয়েছেন। খুশি বিষয় অবশ্যই। হয়তো বাহিরে তার গান শুনেছি ( হতে পারে কোনো দোকানে তার নাম না শুনে গান শুনা) কিন্তু হয়তো আমার মন আকৃষ্ট করতে পারেনি। ৪০ বছরের বেশি হবে আমি সিনেমা হল এ সিনেমা দেখতে যাই নি, টিভিতেও সিনেমা দেখিনা। তবে আমি গান ভালবাসি। গান আমি শুনি । আমি ইউটিউবে খুঁজে খুঁজে দেখার চেষ্টা করছি মনির খানের কোনো গান আমাকে আকৃষ্ট করতে পারে কিনা ( কথায় এবং সুরে) । আমার এমন সময়/ দিন যায় আমি একই গান ২ বার ৩ বার শুনে থাকি। আমি নিজে গায়ক না তবে ঐ সব গান আমি গুণ গুণ করে গাওয়ার চেষ্টা করি। এগুলি একেবারেই মনের বিষয়, ব্যাক্তিগত বিষয়। নিশ্চয়ই বুঝতে পেরেছেন। আমি মনির খানের সমালোচনা করেছি। ঐ দিনই প্রথম তার গান তাকে না চিনেই শুনতে ইচ্ছে করেছে। কিন্তু যখন দেখলাম উনি প্রায় ৮০% সময় গান না গেয়ে অন্য আলোচনায় চলে গেছেন, তখনই আমি ধৈর্য্য হারা হয়েছি। শিল্পী যখন স্টেজে গান গাইতে উঠেন তখন শ্রোতারা গানই শুনতে চায়, এইটা প্রত্যেক শিল্পীরই মনে রাখা প্রয়োজন। বিখ্যাত বিখ্যাত কিছু শিল্পী গানের আগে হয়তো কিছু কথা বলেন, কিন্তু এত দীর্ঘ নয়। তারা গান গাওয়ার সময় বেশি নেন, কথা বলার সময় একেবারেই কম নেন। রাজনৈতিক বক্তৃতার মঞ্চ থেকে মানুষ বক্তৃতা শুনতে চায়, গান শুনতে চায় না । নাচের মঞ্চে নাচই দেখতে চায় । আপনার কথা আমার সঙ্গে share করার জন্য ধন্যবাদ।