Тёмный

ধ্যান মুক্তির দুয়ারে প্রবেশ করার প্রথম এবং মোক্ষম হাতিয়ার কি এবং কেন || December 22, 2023 

মুক্তির সোপান
Подписаться 3 тыс.
Просмотров 7 тыс.
50% 1

ধ্যান মুক্তির দুয়ারে প্রবেশ করার প্রথম এবং মোক্ষম হাতিয়ার কি এবং কেন || December 22, 2023
Sufi Shamsul Huda Chisti Momin master, Mobile phone number 📳+8801780402619
• 10 Ekattor TV News ab...
১০৬. মানুষের নফসের নিকট মুক্তিলাভের এই বিষয়টি বিশেষ প্রকার আপদ ব্যতীত নয়। কারণ ইহা ধ্যানমার্গে বা ধ্যানজগতে কঠোর পরীক্ষাস্বরূপ রাখা হইয়াছে। বিশিষ্ট আপদ কথার উপর বড় মদ স্থাপন
করিয়া সাধনার মধ্যে এই আপদের সার্বজনীনতা বুঝান হইতেছে। এই আপদ অর্থাৎ পরীক্ষা অতিক্রম করা ব্যতীত কেহই মুক্তি অর্জন করিতে পারে
না। এই আপদ প্রকাশ্যভাবে জ্ঞাতব্য একটি বিষয়।
১০৭. ‘জিবহিন আজিম' অর্থ আজমতওয়ালা একটি শুদ্ধিক্রিয়া। যেইরূপ আত্মশুদ্ধি করিলে পরিপূর্ণ আত্মিক শক্তি অর্জন করা যায় । এই অর্জন
উপরওয়ালা হইতে প্রাপ্তব্য মহা দান। ইসমাঈলকে দেহের বন্ধন হইতে যেই, মুক্তি দেওয়া হইল তাহাও এইরূপ শুদ্ধিক্রিয়ার মাধ্যমেই করা হইয়াছিল।
তাঁহার এই শুদ্ধিক্রিয়াটি তাঁহার জন্য মুক্তির পণস্বরূপ ছিল । শুদ্ধিক্রিয়ার মূল উৎস হইল আত্মদর্শনমূলক সালাত। সম্যক গুরু হইতে ইহা শিক্ষণীয়।
‘বে জেব্‌হুন্ আজিম’ অর্থ আজমতওয়ালা একটি শুদ্ধি দ্বারা । ‘আজমতওয়ালা শুদ্ধি' অর্থাৎ মানসিক শুদ্ধি, যাহা দ্বারা মানসিক তথা আত্মিক শক্তি অর্জিত হয় । সালাতের সাহায্যে বিষয়রাশির মোহ মন হইতে উচ্ছেদ করিতে পারিলে শক্তিশালী যে মননশক্তি উৎপন্ন হয় তাহা দ্বারা বিষয়-বিশ্ব জয় করা যায়। এইরূপ মানসিক শুদ্ধি যিনি করিতে পারেন তিনিই মুক্তপুরুষ বা মহাপুরুষ।
১০৮. ‘আখেরাত’-এর দুইটি অর্থ। (ক) পরবর্তী কাল বা পরবর্তী জীবন কাল৷ ভাল মন্দ সবাই এইরূপ আখেরাতপ্রাপ্ত হইয়া থাকে । (খ) এলহাম
প্রাপ্তি হইতে আরম্ভ করিয়া মুক্তির পূর্ব পর্যন্ত জীবনের সকল স্তরকে আখেরাত বলে। এইরূপ আখেরাত অর্থ জান্নাতের জীবনকাল। ইহা মানব জীবনের শেষ কাল। কোরআনে এই দুই অর্থের বাহিরে তৃতীয় কোন অর্থ নাই। এই বাক্য দ্বিতীয় অর্থটি বহন করিতেছে। শব্দটি হইল ‘আখেরীন’ অর্থাৎ আখেরাতে অবস্থানকারীগণ। এইখানে সর্বস্তরের জান্নাতবাসীগণ ৷ ইসমাঈল
(আঃ) একজন নবীর বিশেষ জাত সন্তান। সুতরাং তিনি জান্নাতী বা আখেরাতবাসী।
আখেরাতবাসী ব্যতীত অর্থাৎ গুরুর আশ্রিত জান্নাতবাসী ব্যতীত অন্য কেহই আল্লাহর নিকট উৎসর্গিত অর্থাৎ কোরবানী হইতে পারে না। সত্যদ্রষ্ঠা না হইয়া আল্লাহর সেবাকার্যে নিয়োজিত হওয়া যায় না। হযরত ইব্রাহীমের (আঃ) দ্বারা ইসমাঈলের (আঃ) মুক্তিলাভের এই মহান আদর্শ সকল আখেরাতবাসীগণের মধ্যে আদর্শরূপে রাখা হইল । আর আমাদের জন্য মহামানবগণের জীবনের বিশেষ ঘটনাগুলির কোন কোন বিষয় আদর্শরূপে
চিরস্মরণীয় করিয়া রাখা হইয়াছে, যেন আমরাও উক্তরূপ আমল করিয়া সেইরূপ একটি আশীর্বাদলাভে জীবন সার্থক করিয়া তুলিতে পারি।দ্রষ্টব্য : এইখানে কথাটি হইল ‘আখেরীনদের মধ্যে’ ‘আখেরীনদের জন্য' নয় ৷ ‘জন্য’ থাকিলে তাহাদের মধ্যে এই আদর্শের উপস্থিতির নিশ্চয়তা বুঝায়
না। "মধ্যে' কথা দ্বারা বুঝায় যে, এই আমল তাহাদের মধ্যে আদর্শরূপে রহিয়াছে। জান্নাতবাসীগণ অধঃগতির দিকে কখনও যান না। তাহারা ব্যতীত
কোরআনে উল্লিখিত এইরূপ মহান কোরবানী অন্য কেহ করিতে পারে না।
উক্ত বাক্য কয়টির উপর মন্তব্য হিসাবে বলা যাইতে পারে যে, নবী-রসুল এবং অলীগণের কোরবানী অর্থাৎ ত্যাগ-সাধন ক্রিয়ার মধ্যে জীবহত্যা নাই ৷
তাঁহাদের কোরবানীর এই আদর্শকে সমাজে সাধারণ স্মৃতিপটে স্মরণীয় রাখিবার জন্য আনুষ্ঠানিক কোরবানীর প্রয়োজন আছে। আনুষ্ঠানিক কোরবানীর মধ্যে পশুহত্যা অত্যন্ত সীমিতভাবে রাখা হইয়াছে যদিও মানুষ সেই সকল সীমা লংঘন করিয়া যদেচ্ছা পশুহত্যা করিয়া থাকে।
জ্ঞানী লোকের নিয়ন্ত্রণের অভাবেই এইরূপ হইয়া থাকে। অনুষ্ঠান সর্বাবস্থায়ই মূল আদর্শের ক্ষুদ্র প্রতীক। যাহারা কোরআনের সার্বজনীন ধর্মদর্শন হইতে বিচ্যুত ভাব বহন করেন তাহাদের এক দলের মতে ইসমাঈলের (আঃ) এই কোরবানী স্থগিত করিয়া
রাখিয়াছিলেন হযরত হোসাইন (আঃ), আপন আত্মবলির বিনিময়ে । আবার অন্য মতে ইসমাঈলের পরিবর্তে স্বর্গ হইতে আনীত একটি দুম্বা জবাই হইয়া
গিয়াছিল বলিয়া যে প্রবাদ বাক্য চলিয়া আসিতেছে তাহা মোটেই সত্য হইতে পারে না। নবী ইসমাঈলের তুলনায় একটি দুম্বা কেমন করিয়া আজমতওয়ালা মহান হইতে পারে তাহা চিন্তা করা যায় না। পশু সাধারণ মানুষের জন্য অহরহ জবাই হইয়া ধন্য হইয়া থাকে, আর একজন মহাপুরুষের তুলনায় একটি পশু অধিক গুরুত্বপূর্ণ হওয়ার তো কোন প্রশ্নই
উঠিতে পারে না ।
প্রকৃতপক্ষে পশু জবাই হওয়ার কোন উল্লেখ নাই । মানুষ ব্যতীত কোন নিম্নমানের জীব আল্লাহর জন্য উৎসর্গিত হইতে পারে না। বিশিষ্ট কয়েকজন নবীর উপরে সালামের যে উল্লেখ ১০৯ হইতে পরবর্তী
বাক্যসমূহে দেখা যায় তাহা দ্বারা আল্লাহ তাঁহাদিগকে আশীর্বাদ করিতেছেন মনে করিলে ভুল হইবে। আনুগত্যের মাধ্যমে জনগণকে তাঁহাদের নিকট
ঝুঁকিয়া পড়িবার জন্য আদেশ করিতেছেন। নবীগণের উপর আজীবন আনুগত্যে ঝুঁকিয়া পড়া আশীর্বাদস্বরূপ রাখা হইয়াছে। ছোট মদ এই ইঙ্গিত
বহন করিতেছে। গুরুর নিকট আত্মসমর্পণ করা শান্তির উৎস। তারপর গুরুর নির্দেশ মত দেহের ভিতরে ভ্রমণ করিবার সাধনার সাহায্যে সত্য প্রত্যক্ষ
করিয়া উহার গভীরতায় পৌছিলে সালামত বা শান্তির মূলে পৌঁছা যায়। এখানে ইসমাঈলের কোরবানী সম্পাদন ক্রিয়া দ্বারা পিতা-পুত্র উভয়ে আপন
আপন কর্তব্য পালন করিয়াছিলেন। তাঁহাদের এইরূপ মনোভাব এবং আচরণকে পরবর্তী লোকদের জন্য আদর্শরূপে ঘোষণা করিলেন উচ্চতম পরিষদ।
রসুলাল্লাহ (আঃ) বলিয়াছেন : “যাহার প্রচেষ্টা গ্রহণ করিবার একটা সুযোগ আছে কিন্তু কোরবানী করে না তাহা হইলে সে আমাদের মুসল্লার নিকটে আসে না। ” (অর্থাৎ আসিতে পারে না)। ‘মুসল্লা’ অর্থ সালাতী ব্যক্তির দাঁড়াইবার স্থান । কোরবানী করিবার প্রচেষ্টা
গ্রহণ ব্যতীত উচ্চতম পরিষদের ব্যক্তিগণের দাঁড়াইবার স্থানের অর্থাৎ মর্যাদার স্তরের নিকটবর্তী হওয়া যায় না।
#কোরবানি_দর্শন-
সদর উদ্দিন আহমদ চিশতী খাজা বাবা 🌹🙏🌍

Опубликовано:

 

20 дек 2023

Поделиться:

Ссылка:

Скачать:

Готовим ссылку...

Добавить в:

Мой плейлист
Посмотреть позже
Комментарии    
Далее