Тёмный
No video :(

নওদা বুরুজ (Naoda Buruj) রহনপুর, চাঁপাইনবাবগঞ্জ: যেখান থেকে সূচিত হয়েছিল বাংলাদেশে মুসলিম শাসন 

Rusmila's Caravan
Подписаться 20 тыс.
Просмотров 1,3 тыс.
50% 1

#নওদা_বুরুজ
নওদা বুরুজ বাংলার ইতিহাসে একটি গুরুত্বপূর্ণ পুরাকীর্তি; যদিও খুব কম লোকই আছেন, যারা এর ইতিহাস জানেন। এর অবস্থান বাংলাদেশের চাঁপাইনবাবগঞ্জ জেলার গোমস্তাপুর থানার রহনপুরে, একেবারে ভারতের সীমানা ঘেঁষে। রাজা লক্ষণ সেনের সময়ে নদীয়ার নবদ্বীপ ছিল বাংলার রাজধানী। আর রহনপুর ছিল তৎকালীন নদীয়ার একটি গুরুত্বপূর্ণ বাণিজ্যিক নগরী। ক্রমেই রহনপুরের বাণিজ্যিক গুরুত্ব বৃদ্ধি পেতে থাকে। গড়ে উঠে জনবসতি, অসংখ্য সুরম্য অট্টালিকা, মন্দির ও রাজা লক্ষণ সেনের প্রাসাদ। আজকের নওদা বুরুজখ্যাত পুরাকীর্তিটি মূলত রাজা লক্ষণ সেনের রহনপুরের প্রাসাদেরই ধ্বংসাবশেষ। রাজা লক্ষণ সেন রহনপুরের এই প্রাসাদে প্রায়ই অবস্থান করতেন বলে জনশ্রূতি আছে। যেকারণে নওদা বুরুজ একসময় শাহ বুরুজ নামে পরিচিত হয়ে উঠে। শাহ শব্দের অর্থ বাদশাহ আর বুরুজ শব্দের অর্থ অট্টালিকা; যা পরবর্তীতে স্থানীয়দের মাঝে ষাঁড়বুরুজ নামে খ্যাতি লাভ করে।
ভাগ্যান্বেষণে ব্যতিব্যস্ত ইখতিয়ার উদ্দিন মুহম্মদ বখতিয়ার খলজি নিজেকে গুছিয়ে নিয়ে আনুমানিক ১১৯৭ সালের দিকে ভারতীয় উপমহাদেশে তাঁর সামরিক অভিযান শুরু করেন। মিনহাজ-ই-শিরাজের তবকাৎ-ই-নাসিরী অনুযায়ী তিনি বিহারের ওদন্তপুরী বিহার ধ্বংস করেন আনুমানিক ১১৯৯ থেকে ১২০৬ সালের মধ্যবর্তী কোন এক সময়ে। বিহারের প্রায় সর্বত্র তাণ্ডবলীলা চালিয়ে বখতিয়ার দিল্লীতে উপস্থিত হন এবং বিপুল পরিমান উপঢৌকনসহ সুলতান কুতুব উদ্দিন আইবকের সাথে সাক্ষাত করেন। সুলতান আইবক বখতিয়ারকে সম্মানিত করেন ও নীতিগতভাবে তাঁর সামরিক অভিযানের প্রতি সমর্থন প্রদান করেন। দিল্লী থেকে ফিরে বখতিয়ার বাংলার দিকে অগ্রসর হন এবং আনুমানিক ১২০৬ সালে পারতপক্ষে বিনা বাঁধায় তৎকালীন বাংলার রাজধানী নবদ্বীপ দখল করে নেন। বখতিয়ার যখন বাংলা আক্রমণ করেন, তখন রাজা লক্ষণ সেন রাজধানীতেই অবস্থান করছিলেন। কথিত আছে, রাজসভার কিছু জ্যোতিষী রাজা লক্ষণ সেনকে আগেই সতর্ক করে দিয়েছিলেন যে, কোন এক যবন এসে তাঁর রাজ্য দখল করে নিয়ে যাবে। বখতিয়ারের বিহার জয়ের খবর রাজা লক্ষণ সেনের কাছে পৌঁছানোর পর রাজ জ্যোতিষীদের এই ভবিষ্যতবাণী তিনি বেশ গুরুত্বের সাথে নেন। তাঁর মনে ভীতির সঞ্চার হয় এবং রাজধানী সুরক্ষার ব্যবস্থা গ্রহণ করেন। তিনি নদীয়ার প্রবেশপথ- রাজমহল ও তেলিয়াগড়ের নিরাপত্তা জোরদার করেন। কিন্তু তিনি ঝাড়খণ্ডের ঘন জঙ্গলের ভিতর দিয়ে নদীয়া আসার যে পথ, সেখানে নিরাপত্তা জোরদার করেননি। লক্ষণ সেন ভেবেছিলেন, ভিনদেশী এক সেনাপতির পক্ষে ঝাড়খণ্ডের অচেনা শ্বাপদশংকুল অরণ্য দিয়ে নদীয়া আক্রমণ করা সম্ভব নয়। আর ভুলটি হয় সেখানেই, বখতিয়ার এই শ্বাপদশংকুল অরণ্য দিয়েই নদীয়া আক্রমণ করেন। নদীয়া আক্রমণের সময় বখতিয়ার ঝাড়খণ্ডের ঘন জঙ্গলের মধ্য দিয়ে এত দ্রুতগতিতে ঘোড়া ছুটিয়েছিলেন যে তাঁর সাথে মাত্র আঠারোজন (মতান্তরে সতের) সৈনিকই তাল মেলাতে পেরেছিলেন। বখতিয়ার সোজা রাজা লক্ষণ সেনের প্রাসাদে উপস্থিত হন এবং প্রহরীদের হত্যা করে প্রাসাদের ভিতরে প্রবেশ করেন। এসময় রাজা লক্ষণ সেন দ্বিপ্রহরের ভোজনে ব্যস্ত ছিলেন। হয়তো তিনি রাজ জ্যোতিষীদের ভবিষ্যতবাণী অমোচনীয় ভেবে নিয়তিকেই মেনে নিয়েছিলেন, তিনি বখতিয়ারের আক্রমণের কোন প্রতিরোধই গড়ে তুলতে পারেননি। তিনি আহার ত্যাগ করে নবদ্বীপের প্রাসাদ থেকে পালিয়ে রহনপুরের শাহ বুরুজে আশ্রয় নেন। পরবর্তীতে এই প্রাসাদ থেকেই নৌকাযোগে বিক্রমপুরের দিকে পালিয়ে যান। সেই থেকেই এটি নওদা বুরুজ নামে পরিচিতি লাভ করে। কারো কারো মতে, বখতিয়ারের নদীয়া আক্রমণের সময় রাজা লক্ষণ সেন এই রহনপুরের প্রাসাদেই অবস্থান করছিলেন।
নদীয়া দখলের এক পর্যায়ে বখতিয়ার রহনপুরে এসে উপস্থিত হন এবং বর্তমান বাংলাদেশের ভূখণ্ডে আনুষ্ঠানিকভাবে প্রথমবারের মতো কোন মুসলিম শাসকের অনুপ্রবেশ ঘটে। এরপর তিনি বাংলার গুরুত্বপূর্ণ নগর গৌড় দখল করেন এবং সেখানে রাজধানী স্থাপন করেন। যতদূর জানা যায়, বখতিয়ার এই রহনপুরে কিছুদিন অবস্থান করেন। তারপর তিনি তিব্বত অভিযানের অভিপ্রায়ে বাংলাদেশের উত্তর দিকে অগ্রসর হন।
প্রসঙ্গত উল্লেখ্য, ইখতিয়ার উদ্দিন মুহম্মদ বখতিয়ার খলজি সংক্রান্ত যত তথ্য আজ আমরা পাই, তার প্রায় পুরোটাই মুসলিম ঐতিহাসিক মিনহাজ-ই-শিরাজের তবকাৎ-ই-নাসিরী গ্রন্থের বদৌলতে। এই গ্রন্থ বখতিয়ারের মৃত্যুর প্রায় ৩০-৪০ বছর পর লিখিত এবং লোকমুখে প্রচলিত কাহিনী নির্ভর। যদিও এই গ্রন্থ বখতিয়ার খলজির বাংলা জয়ের উপর লিখিত একমাত্র দলিল, তথাপি এই গ্রন্থের সকল তথ্যকে শতভাগ সঠিক বলে ধরে নেয়া যায়না।
কালের বিবর্তে বর্তমানে এই বুরুজ একটি বড় ঢিবিতে পরিণত হয়েছে। দেখে মনে হবে ছোটখাটো কোন পাহাড় বা টিলা। রাজা লক্ষণ সেনের এই প্রাসাদ আসলে কত বড় ছিল, তা এই বুরুজের আকার দেখেই সহজে অনুমান করা যায়। আশেপাশের ফসলী জমি থেকে এই বুরুজের উচ্চতা প্রায় ৫০-৬০ ফুটের মতো। স্থানীয় প্রবীণদের কাছ থেকে জানা যায়, এই ঢিবি আগে আরও উঁচু ছিল। এই উঁচু ঢিবিতে আগে একসময় একটি বড় শিমূল গাছ তাঁরা দেখেছেন। ১৯৭১ সালে মহান মুক্তিযুদ্ধের সময় পাক হানাদার বাহিনী এই ঢিবির উপর শিমূল গাছের নীচে তাদের বাঙ্কার তৈরি করেছিল, যাতে আশেপাশে অনেকদূর পর্যন্ত নজরদারি করা যায়। এই বুরুজের আশেপাশেও টিলাসদৃশ আরো অনেক ঢিবি চোখে পড়ে, যেগুলো দেখলে কাউকে বলে দিতে হয়না যে এগুলো একসময়কার সুরম্য অট্টালিকার ধ্বংসাবশেষ। তৎকালীন সময়ে রহনপুরের বিস্তৃত জায়গাজুড়ে নগরায়ন ঘটলেও বর্তমানে শুধুমাত্র ধ্বংসস্তূপই চোখে পড়ে। তবে পুরো এলাকাজুড়েই ইতস্তত ছড়িয়ে ছিটিয়ে রয়েছে সেই সময়কার অসংখ্য পুরনো ইট পাথর আর নানা ধরণের তৈজসপত্রের ভাঙ্গা অংশ। যে নদী দিয়ে রাজা লক্ষণ সেন একদিন নৌকা করে পালিয়ে গিয়ে জীবন বাঁচিয়েছিলেন, সেই নদীর মরা খাদ আজও ইতিহাসের সেই গুরুত্বপূর্ণ ঘটনার সাক্ষ্য দিচ্ছে।
যারা প্রত্নতাত্ত্বিক নিদর্শন ভালবাসেন, ভালবাসেন ঐতিহাসিক জায়গাগুলো ঘুরে বেড়াতে; তারা চাইলে আমাদের পরবর্তী গন্তব্যের সঙ্গী হতে পারেন। চাইলে যোগাযোগ করুন এই ঠিকানায়ঃ rejuanparag2017@gmail.com

Опубликовано:

 

29 авг 2024

Поделиться:

Ссылка:

Скачать:

Готовим ссылку...

Добавить в:

Мой плейлист
Посмотреть позже
Комментарии : 4   
@mhmtv3220
@mhmtv3220 3 года назад
Wow
@abhijitdasgupta7451
@abhijitdasgupta7451 3 года назад
অনেক কিছু জানলাম
@HistoricalmonumentofBangladesh
@HistoricalmonumentofBangladesh 3 года назад
Vai apnr Facebook link ta den
@rusmilascaravan4916
@rusmilascaravan4916 3 года назад
Rezwan Parag. facebook.com/Sir.Rejuan.Parag/
Далее
I Took a LUNCHBAR OFF A Poster 🤯 #shorts
00:17
Просмотров 9 млн
I Took a LUNCHBAR OFF A Poster 🤯 #shorts
00:17
Просмотров 9 млн