কষ্ট লাগে যখন এলাকার ছোটখাট প্রিন্ট-ফটোকপির দোকানে এসে নীলক্ষেতে দাম দিয়ে কাজ করাতে চায়। কিন্তু কেউ একবারো চিন্তা করে না যে এসব দোকানে এতো পরিমান কাজ হয় না।
ছোট দোকানগুলো তো ডাকাত পর্যায়ে চলে গেছে। নীলক্ষেতের রেটে দুরের কথা ৩-৪ গুণ বেশি টাকা নেয়। কালার প্রিন্টে ১০-২০ টাকা চায়। ১০টাকাই বেশিরভাগ দোকানে নেয়। তবে ডাকাতী হচ্ছে যখন কালার প্রিন্ট বলে ১০ টাকা নিয়েও অতিরিক্ত লো-কোয়ালিটি সিলেক্ট করে প্রিন্ট করায়। আমি দীর্ঘদিন এভাবে লোকাল দোকান থেকে প্রিন্ট করাইসি। ভাবতাম হয়তো এদের প্রিন্টার ভালো না। কিন্তু পরে একদিন জরুরী কাগজ খারাপ প্রিন্ট করাই জিজ্ঞেস করলাম এটা কেন এরকম ঝাপসা! পরে বলতেসে কোয়ালিটি বাড়িয়ে প্রিন্ট করে দিচ্ছি। ঠিকই আমাকে HD quality'র প্রিন্ট করে দিলো সেইম প্রিন্টার দিয়েই। মানে চুরি বাটপারি ঠগবাজি কোন পর্যায়ে নিয়ে গিয়েছে। একে তো কালার প্রিন্টে বেশি দাম নিচ্ছে। বেশি দাম নিয়েও মানুষকে ইচ্ছাকৃত লো কোয়ালিটির প্রিন্ট দিয়ে বাসায় পাঠিয়ে দিচ্ছে। মুনাফার ওপর ডাবল মুনাফা। এত ডাকাতি করে কতদূর যাবে এরা? মানুষ কষ্ট করে ১ টা পেইজ ১০ টাকা দিয়ে প্রিন্ট করে। যারা ৪০ টাকা দিয়ে ২ কালারের ৪ টা কালার প্রিন্ট করায় তারাই জানে এর জন্য কত কষ্ট হয়। কিন্তু ডাকাতগুলো এত টাকা নিয়েও লো কোয়ালিটির প্রিন্ট করে দেয়। এদের খরচ হয় ৫ টাকা। লাভ হয় ৩৫ টাকা। এত বেশি ডাকাতি ভালো না। যারা যারা কালার প্রিন্ট করেন অবশ্যই হাই কোয়ালিটি প্রিন্ট করার কথা বলে প্রিন্ট করবেন। ডাকাতগুলোকে জেলে দেয়া উচিত।
সেটা লেখকের পকেটে যাবেও না, এসব বই যে সব দেশের সেই দেশে সে কামাচ্ছে আমাদের দেশের টাকা তার পকেটে যাবেও না, আর এই দাম দিয়ে আমরা পড়তেও পারবো না। তাই এসব বিলাসী চিন্তাভাবনার দরকার নেই।
নীলক্ষেতে এসে বইয়ের মার্কেটে ঢুকলে কিছুক্ষণ খোঁজা খুঁজি করলে একসাথে অনেক প্রেসের দোকান পাবেন। আবার অনেক বইয়ের দোকানদাররাও বই ছাপিয়ে দেয়। একসাথে অনেক নিলে রেট কম পড়ে
