স্যার মনে কিছু নিবেন না,দেহ,চিন্তা,ভাষা। এই বিষয় গুলোর মধ্যে,কোনটা আগে,পরে,এই গুলো জানা কি জ্ঞান?শিক্ষা নিয়ে মন্তব্য চরম বিষাদ, অসহায় হরিণের মতো বাস্তবতা।
1:44:08 - 1:49:21 লালন দেরিদা ও আল্লাহ, "আল্লার কোনো নাম নাই" 50:00 - 50:10 "আল্লার যেকোনো বুদ্ধিবৃত্তিক নির্মাণই পৌত্তলিকতা।" 51:08 - 52:50 "আমি পোস্টমডার্নিস্ট না", কেন না ইতি আদি 52:50 - 53:30 "মনোথিজমের পাঠ দরকার, হেগেল হাইডেগার হয়ে এসে কোরানের একটা পোস্টমডার্ন স্টাডি হতে পারে।"
@@banan7171 ল্যাংগুইস্টিক ফোনেটিক ট্রি বা টোন ট্রি' আছে। যেখানে কিছু স্বীকার্য মেনে নিতে হয়। এবং হাতে নাতে ফল পাওয়া যায়। কোন চিন্তক এই ট্রি'তে ডুব দিলে অটোতেই ধ্যানমগ্ন হয়ে যাবেন। তার কর্ণ অসাড় হয়ে আসবে। জগতের বাস্তবতার প্রেক্ষিতে তাঁর কনসাসনেস বা হিউম্যান সেন্স প্রখর হবে। কিন্তু ইন্দ্রীয় নির্জনতায় তার সময়ের ধারনা টা থাকে না। কয়েক ঘন্টা কে মুহূর্তের মতো মনে হবে। আর আপনি ট্রি'টির ডালে ডালে- পাতায় পাতায়- শিরায় - উপশিরায়- গ্রন্থিতে গ্রন্থিতে বিচরন করবেন। এ এক বাস্তব অভিজ্ঞতা! অপূর্ব সে আনন্দ!! কি তাঁর মহিমা! এটা কি আমাদের ভারতীয় পদ্ধতি? বোধের এ ত্বত্ত্বে- ভাষার বাক্যের যেমন একটি অর্থ থাকে তেমনি টোটাল বাক্যের সমষ্টিতে একটি গল্প বলা হয়। আবার বাক্যের প্রতিটি শব্দের আলাদা অর্থ থাকে। শব্দের উচ্চারনে প্রতিটি বর্নের বা ধ্বনির বা সেলেবলের বা দলের আলাদা আলাদা অর্থ বা মোটিভ থাকে। এই মোটিভ গুলো সার্বিক ও সার্বজনীনভাবে সকল ভাষায় বিদ্যমান। এর নজির কিন্তু আল কোরানেও আছে। যেমন- কয়েকটি সুরার শুরু তে ক'টি ধ্বনির ব্যবহার। আপনি 'তুলনামূলক ভাষা বিদ্যা'- পড়লে দেখা যায় এসব ধ্বনির প্রায়োগিক দক্ষতা কতটা নিপুনভাবে করা হয়েছে। একজন অনায়াসেই চিন্তার সাগরে অবগাহন করতে পারে আর মুগ্ধ হয়। এ এক আশ্চর্য ব্যাপার। এটা শিখতে কো স্কুল - কলেজে লেখা পড়া করা লাগে না। যদি হরফ বা লেটারের ধ্বনিগত মোটিভ কোন মানুষের কানে মুখে বলে শিখিয়ে দেওয়া যায় - তবে পুস্তিকার জ্ঞান ছাড়াই একজন নিজ ভাষায় জগতের তাবত পাঠ পড়তে পারবে। জীবনের বেড়াজাল টপকাতে পারবে। তার কাছে জাল- জৈয়ব- হাসান বলে কিছু থাকবে না। বিষয় টি কেমন? বাংলায় স,ষ ও শ তিনটি অক্ষর আছে। দন্ত-স। মূর্ধন্য- ষ। আর তালব্য শ। এ খানে কিন্তু তিনটি অক্ষরই আলাদা অর্থের তিনটি শব্দ হয়ে গেছে। এমন করে কটি 'অক্ষর শব্দে'র মোটিভ জানলেই বর্তমান ও অতীতের সকল গাল- গল্পকে অবলম্বন করে যে কেউ নতুন - আনকোড়া গল্প কহিতে পারে। সকল শব্দ এবং সকল ঘটনা- কাহিনীতে একেকটা শিক্ষনীয় বিষয় আছে- তা' স্পষ্টই বুঝা যায়।। এ এক মহা প্রলয়ের নৃত্য তাল। যা অসীম হইতে ধমকে ধমকে স্ব- সিমানায় এসে ল'য় হচ্ছে।আপনি তা'র সুর শুনতে পারবেন। পুনশ্চঃ আপনাদের কথা গুলোর নতুন ডাইমেনশন আছে। তাই কোরানের সুরা বাকারার গাভীর গল্পটির শিক্ষনীয় বিষয় বলছি। এখানে ঘোটা কয়েক শিক্ষনের মধ্যে একটি এমন যে - কেউ যদি তাঁর জীবীকার জন্য দাসত্বের শৃংখলে আবদ্ধ আছেন বলে মনে করেন যা ইসলামের পরি- ভাষায় 'শিরক'- তিনি কখনই "সত্য স্বাক্ষী " দিতে পারবে না।নিজ জীবনে সত্যকে উদযাপন করতে পারবে না। শব্দের উচ্চারন গত অর্থের সুনির্দিষ্ট এ বোধটা বুঝানো যায় না আসলে।আপনারা যেহেতু চিন্তক তাই আমার অভিজ্ঞতায় লব্ধ সকল বাস্তব চিন্তার একটা স্থানীয় এবং সার্বিক ডাইমেন আছে- নিশ্চিত ভাবেই আছে।আর আমি এটাই বলতে চাচ্ছি। এটা আপনাদের কাছে নুতন বা ভ্যজিটেবল হতে পারে। এই যা।
যদি কোন এক সময় হিন্দু ধর্ম বলে কিছু না থাকে তবে তার আগে বাঙ্গালী বা তার ধর্ম সংস্কৃতি সভ্যতা কিছু ছিল না। যা হয়েছে আর্য সভ্যতার পরেই। খোদ বাংলা ভাষা নিজেই আর্য ভাষার থেকে এসেছে। আর্য আক্রমন বলে কিছু হয়নি..বরং যেটা হয়েছে ক্রমান্বয়ে আর্য সভ্যতার বিকাশ। আর্য সভ্যতার বিকাশের পরেই বঙ্গ একটা ধর্মীয় সাংস্কৃতিক বিকাশে বিকশিত সভ্যতা হয়, সেটাই হিন্দু ধর্ম বৌদ্ধ ধর্ম ইত্যাদি ধারা... এগুলোই বাংলার আদি ও আসল ধর্ম.....@@himsagar4005