আপনার পড়া শুনে মনে হয়, প্রতিটি চরিত্রেরই যেন ধরে ধরে প্রাণ প্রতিষ্ঠা করে দিচ্ছেন। সব কটা চরিত্রের আলাদা আলাদা কথা, আলাদা আলাদা ভাষা- টান। শুনতে বেশ লাগে। এই কাজটা ছোটবেলায় আমার মা খালারা করতেন। আর কোন ভাইবোন ছিল না, কাজেই মা আর খালা বসে বসে গল্পের বই পড়ে শোনাতেন। পাশাপাশি বাড়িতেই আমরা থাকতাম। খালা নানু, এরা সব রাতে এক ঘরে এসে বসে থাকতেন। গল্প করতেন। মাঝেমধ্যে বই পড়ে শোনাতেন। তখন একবিন্দুও টের পাই নি জীবনটা কত সুখের। এই যে সবাই একসাথে আছি। হাসছি, গল্প করছি। কিছুই টের পাই নি। টের পেতে পেতে সব কি করে যেন ভেঙ্গে গেল। বোজা চোখ খুলে দেখি, মোটামুটি সেই দিনের কেউই নেই। আমার খালা নেই তিন বছর। নানু এই কোভিডে গিয়েছেন। মা তো কত আগেই। আপনার গল্পপাঠগুলি শুনলে কেন যেন মনে হয়, সেই পুরোনো দিনের কোনওটাতে চলে গেছি। নস্টালজিক লাগে খুব। আপনাকে একটা অনুরোধ। এই গল্পপাঠ থামাবেন না কখনও। খুব বেশি ভিউ হবে না হয়ত, দেশের মাথা মাথা ইউটিউবারদের মত আহামরি সমাদরও পাবেন না। কিন্তু মনে রাখবেন, আপনি যা করছেন, খুব হাতে গোনা লোকেই তা পছন্দ করে। বিশেষ করে আমি। কেবল আপনার কারণেই আমার রাতে ঘুমাতে গিয়ে শুয়ে শুয়ে বেশ কটা বই পড়া হয়ে গিয়েছে। আপনাকে অনেক ভালবাসা কল্লোল ভাইয়া।