কল্লোল, আমার জন্ম ভাংগাতে। আমার দাদাবাড়ী নানাবাড়ি দুইই সেখানে। আব্বা, তার বড় ভাইরা সবাই সেখানে পড়েছেন। আমার থাকা হয়নি। কিন্তু ৮০ দশকে স্কুল ছুটি হলেই আব্বা আম্মা আমাদের নিয়ে ঢাকা থেকে বেড়াতে যেতেন। আমার দেখা ভাংগা স্কুল, বাজার, সদরদী গ্রাম, কুমারনদ, বর্ষা কালে দুকুল প্লাবিত চরাচর সবই যেন নরেন্দ্রনাথ এর লেখায় আমার জন্মভুমির ছায়াছবি। এই গল্প আমাকে বিশেষ ভাবে আপ্লুত করেছে যে কারনে তা হচ্ছে গল্পের শেষে নরেন্দ্রনাথ তাক মা'কে স্মরণ করেছেন। সে মা কে তা আমাদের জানা হবে না। কেননা নরেন্দ্রনাথ এর মা তার বাবার দ্বিতীয় পক্ষের স্ত্রী। প্রথম পক্ষের স্ত্রী পরপর ছয়জন মৃত কন্যা সন্তান প্রসব করেন। তার পরে উনার বাবা দ্বিতীয় বিয়ে করেন।।সেই মায়ের কোলে নরেন্দ্রনাথ যখন মাত্র ৪ বছর তখন তার মা মারা যান। প্রথম পক্ষের সেই স্ত্রীই নরেন্দ্রনাথ এবং তার ভাইকে মায়ের আদরে মানুষ করেন। মায়ের স্মৃতি তাই নরেন্দ্রনাথ এর কাছে হয়তো একটা অদ্ভুতভাবে অনুভব হতো। আমার মাথায় একটা গল্প ঘুরছে। নরেন্দ্রনাথ এর সাথে আমার দাদার সাক্ষাৎ। আমার ধারনা দাদার সাথে তার দেখা হয়েছিলো, কেননা দাদারা ভাংগার নামকরা পরিবারগুলির একটা ছিলেন ২০ শতকের শুরুতে। দেখা হবার কল্পিত একটা গল্প আমি লিখবো, কিন্তু আপনাকে কিভাবে দিব?
আজ এই গল্পের শেষের কথাগুলো শুনে মনে হল , প্রবাসে বসে এই গল্প পড়ার সময় আপনার অবচেতন মনও যেন ঠিক পল্টুর মতোই ভাবছে । ভালো থাকুক আমাদের সবার বাবা-মা এপারে আর ওপারে
মা - তোমার সন্তান বয়সী সকল ছেলে মেয়েরাই তোমার সন্তান ॥ তুমি দোয়া করো পৃথিবীর সকল সন্তানের জন্য ॥ মা - তুমি ভালো থেকো পৃথিবীর সকল সন্তানকে নিয়ে॥ কল্লোল , অফুরান ভালোবাসায় - কঠিন
