চৌধুরী ময়েজ উদ্দিন বিশ্বাস জন্ম গ্রহণ করেন ১৮৪০ সালে এবং মৃত্যু বরণ করেন ১৯২৩ সালে। তার বাবা ছিলেন চৌধুরী মুকিমুদ্দিন বিশ্বাস। তিনি ফরিদপুরের চাঁনপুর এস্টেট এর জমিদার ছিলেন।
তাদের পূর্বপুরুশরা ছিলেন তুরস্কের। তারা ১৩ শতকের শুরুতে উত্তর ভারতে তুর্কী থেকে আগত সামরিক বাহিনীর অংশ হিসাবে। তারা মূলত ১৬ শতকের শুরুতে উত্তর ফরিদপুর ও বর্তমান রাজবাড়ি জেলার একটি বড় অংশের জমিদারী নিযুক্ত হন। এই জমিদার বাড়ি প্রতিষ্ঠিত হয় ১৮৮৫ সালে।
চৌধুরী ময়েজ উদ্দিন বিশ্বাসের পূত্র ইউসুফ আলি চৌধুরী মহন মিয়া ছিলেন তৎকালীন ভারত উপমহাদেশের একজন প্রভাবশালী রাজনৈতিক ব্যক্তিত্ব।
তিনি অভিভূক্ত ভারতে মুসলমানদের উন্নয়নের জন্য বিশেষ অবদান রেখেছেন। তার পিতা চৌধুরী ময়েজ উদ্দীন বিশ্বাস ছিলেন জমিদার। তিনি জমিদার হয়েও নির্জাতিত প্রজাদের
জন্য ব্রির্টিসদের বিরুদ্ধে আন্দলন করেন। এবং প্রজাদের পাশে দাড়ান।
চৌধুরী মহন মিয়ার জন্ম গ্রহন করেন ১৯০৫ সালের ২৯ ডিসেম্বর এবং মৃত্যুবরণ করেন ১৯৭১ সালের ২৬ নভেম্বর।
১৯৫৪ সালে যুক্তফ্রন্ট নির্বাচনে অংশ নিয়ে তিনি পূর্ব পাকিস্তানের প্রদেশিক পরিষদের সদস্য নির্বাচিত হয়েছিলেন।
চৌধুরী মহন মিয়ার পূত্রদয়ের মধ্যে দুই পূত্র চৌধুরী কামাল ইবনে ইউসুফ এবং চৌধুরী আকমাল ইবনে ইউসুফ। তারা পরবর্তী কালে স্বাধীন বাংলাদেশের জাতীয় সংসদের সদস্য নির্বাচিত হন।
পরবর্তী কালে চৌধুরী কামাল ইবনে ইউসুফ রাজনৈতিক ভাবে সক্রিয় ভূমিকা রাখেন এবং তিনি একাধিকবার ফরিদপুর থেকে জাতীয় সংসদ নির্বাচনে জয়ী হন।
তিনি ১৯৯১ সাল থেকে ১৯৯৬ সাল পর্যন্ত তৎকালীন সরকারের স্বাস্থ্য মন্ত্রী এবং ২০০১ থেকে ২০০৬ সাল পর্যন্ত ত্রান ও পূর্ণবাসন মন্ত্রীর দ্বায়ীত্ব পালন করেন।
ইউসুফ আলী চৌধুরী মহন মিয়া ফরিদপুর ঈষান স্কুল থেকে ১০ শ্রেণী পর্যন্ত শিক্ষা লাভ করেন। তৎকালীন সময়ে তিনি ছাত্র আন্দলনে নিজেকে নিয়োজিত করেন।
পাকিস্তান আমলে মুসলিম লীগ গঠনে তিনি বিশেষ অবদান রাখেন। ১৯৩৭ সালে তিনি বঙ্গিয় আইন পরিষদের সদস্য নির্বাচিত হন। চৌধুরী মহন মিয়া ছিলেন ফরিদপুর জেলা মুসলিম লিগের সভাপতি ( ১৯৪১---১৯৫৩ সাল পর্যন্ত)।
এবং পূৃর্ব পাাকিস্তানের মুসলিম লীগের সাধারণ সম্পাদক ছিলেন। এরপর তিনি কৃষক শ্রমিক পাটিতে যোগ দেন।
১৯৫০ সালে গন পরিষদ এবং ১৯৫৫ সালে জাতীয় পরিষদের সদস্য নির্বাচিত হন। ১৯৫৪ সালে তিনি যুক্তফ্রন্টের প্রার্থী হিসাবে তিনি প্রদেশিক আইন পরিষদের
সদস্য নির্বাচিত হন। এরপর এ,কে,ফজলুল হকের মন্ত্রী সভায় কৃষি,বন ও পাট মন্ত্রী নিযুক্ত হন।
ইউসুফ আলী চৌধুরী মহন মিয়া ১৯৫৪ সালে যুক্তফ্রন্টের মাধ্যমে বিভিন্ন দল গুলোর মধ্যে ঐক্য প্রচেষ্টা এবং ১৯৫৭ সালে এ,কে, ফজলুল হকের নেত্রীত্ব কৃষক প্রজা পাটির গোড়াপর্তন করেন। পরবর্তী কালে তিনি পিডিএম এবং পিডিপি প্রতিষ্টায় বিশেষ অবদান রাখেন। এরপর তিনি নুরুল আমিনের নেত্রীত্বে পাকিস্তান ডেমক্রিক পাটিতে যোগ দেন।
১৯৭০ সালে তিনি পিডিএম এর সহ-সভাপতি ছিলেন।
এবং পরবর্তীতে ১৯৭০ সালের নির্বাচনে তিনি আওয়ামী লীগের প্রার্থির কাছে পরাজিত হন। পরবর্তী কালে তার দল প্রধান নুরুল আমিনের আহবানে তিনি ১৯৭১ সালের ১৮ই নভেম্বর তিনি পাকিস্তানের করাচিতে যান এবং ১৯৭১ সালের ২৬ নভেম্বর পাকিস্তানের করাচিতে মৃত্যুবরণ করেন।
ইউসুফ আলী চৌধুরী মহন মিয়া ফরিদপুরে অনেক স্কুল মাদ্রাসা প্রতিষ্ঠিত করেন। হালিমা গার্ল্স স্কুল, ময়েজউদ্দিন হাই স্কুল, চৌধুরী মহন মিয়া উচ্চ বিদ্যালয় সহ বেশ কিছু শিক্ষা প্রতিষ্ঠান নির্মান করেন। তিনি ফরিদপুরে শিক্ষা ক্ষেত্রে ব্যপক অবদান রাখেন। এরই ধারাবাহিকতায় তারই সুযোগ্য পূত্র মরহুম চৌধুরী কামাল ইবনে ইউসুফ পরবর্তী সময়ে ফরিদপুরের উন্নয়নে ব্যপক অবদান রাখেন। এরই ধারাবাহিকতায় আজও তারই সুযোগ্য কন্যা চৌধুরী নায়াব ইউসুফ ফরিদপুর বাসির উন্নয়নের জন্য যথেষ্ট অবদান রেখে চলেছেন।
ভিডিওটি ভাললাগলে চ্যানেলটি Subscribe করবেন,,,
/ @alauddintravels
20 апр 2022