ACI Pharma - Health & Life নিবেদিত মেডিলাইভের ১২৮৩ তম পর্বে প্রচারিত হবে নারী স্বাস্থ্য বিষয়ক ধারাবাহিক অনুষ্ঠান "সুসাস্থ্যে নারী - পর্ব ১০", আজকের বিষয়ঃ "বন্ধ্যাত্বের চিকিৎসাঃ কখন ল্যাপারোস্কপি দরকার?, " এ নিয়ে কথা বলতে সাথে থাকছেনঃ
ইনফার্টিলিটি স্পেশালিষ্ট ও গাইনোকোলজিস্ট
সহযোগী অধ্যাপক ডা. শারমিন আব্বাসি
আনোয়ার খান মডার্ন মেডিকেল কলেজ হাসপাতাল
চেম্বারঃ ইনফার্টিলিটি কেয়ার, আনোয়ার খান মডার্ন মেডিকেল কলেজ হাসপাতাল, ধানমন্ডি, ঢাকা ১২০৫ // সিরিয়ালঃ 01796674096
যে চিকিৎসায় দূর হবে বন্ধ্যত্ব
সন্তান এক স্বর্গীয় উপহার। কোলজুড়ে একটি শিশু আর ঘরজুড়ে তার ছুটোছুটি প্রত্যেক দম্পতির স্বপ্ন। তবে মানুষের আরো অনেক অপূর্ণ স্বপ্নের মত এই স্বপ্নটিও হয়তো কারো কারো পূরণ হয় না। আর শুধু তারাই জানেন স্বপ্নভঙ্গের এ বেদনা কতটা অসহনীয়। এই সমস্যা প্রভাব ফেলে দাম্পত্য জীবনে। শুধু দাম্পত্য জীবনেই নয়- এর প্রভাব পড়ে শারীরিক, মানসিক এবং সামাজিক ক্ষেত্রেও।
একটা সন্তান প্রাপ্তির জন্য মানুষ কত কিই না করে! অনেক দম্পতির হতাশা এমন পর্যায়ে পৌঁছায় যে তারা বন্ধ্যত্বকে অভিশাপ ভাবতে শুরু করেন। আসলে এটি কোনো অভিশাপ না। চিকিৎসার মাধ্যমে দূর করা যায় বন্ধ্যত্ব। আর এ বিষয়ে পরামর্শ দিয়েছেন বারডেমের স্ত্রী ও প্রসূতি বিভাগের চিফ কনসালট্যান্ট অধ্যাপক ডা. টি এ চৌধুরী।
বন্ধ্যত্ব নিয়ে আমাদের সমাজে বেশ কিছু ভুল ধারণা আছে। প্রাচীন কালে এসব ধারণা অনেক বেশি থাকলেও বর্তমানে অনেকটাই দূর হয়েছে। কিছু নিয়ম ও অভ্যাস পরিবর্তন করলে বন্ধ্যত্ব থেকে অনেকটাই মুক্তি পাওয়া যায়। কিন্তু এখনও আমাদের সমাজে বন্ধ্যত্ব এবং স্ত্রীরোগ নিয়ে খোলাখুলি আলোচনা চান না অনেকেই। কিন্তু অন্য আরও ৫/৭টি শারীরিক সমস্যার মতোই এগুলিও একটি সমস্যা।
বন্ধ্যত্বের বেশ কিছু কারণ আছে। সেই কারণগুলো দূর করতে পারলে বা চিকিৎসা করতে পারলে যাদের সন্তান হয় না তাদের সন্তান হওয়ার সম্ভাবনা থাকে। এই চিকিৎসার খরচও খুব বেশি না। ৫০-৬০ হাজার এর মধ্যে এই সমস্যা সমাধান করা যায়। এই চিকিৎসা বিদেশে করলে এর দ্বিগুণ টাকা লাগে। বর্তমানে বাংলাদেশেই এর চিকিৎসা হচ্ছে।
বন্ধ্যত্ব স্বামী স্ত্রী দুজনের কারণে হতে পারে। দেরি করে বিয়ে করা, দেরি করে সন্তান নেওয়া। আগে যেমন বয়স বেশি হওয়ার আগেই দম্পতিরা বাচ্চা নিত এখন সেটা হচ্ছে না।
বন্ধ্যত্বের কিছু কারণ আছে যা আল্ট্রাসনোগ্রাম এবং অন্যান্য সাধারণ পরীক্ষায় ধরা পড়ে না। এই সমস্যাগুলো ল্যাপারোস্কপিতে সরাসরি দৃশ্যমান হয় এবং একই সাথে রোগের চিকিৎসাও সম্ভব। বন্ধ্যত্বের জন্য এই ২টি পরীক্ষাই খুব জরুরি।
অ্যালট্রাসোনোগ্রাফি: এই পরীক্ষা দ্বারা পেটের জরায়ু, টিউব ও ওভারির কি অবস্থা আছে সেটি দেখা যায়। এই পরীক্ষার মাধ্যমেই যে সব বুঝা যাবে তা নয়। এই পরীক্ষার মাধ্যমে কিছুটা সমস্যা ধারনা করা যায়।
২। ল্যাপারোস্কপি: এই পরীক্ষার মাধ্যমে খুঁজে পাওয়া যায় বন্ধ্যত্বের কারণ। ল্যাপারোস্কপি এক ধরনের সার্জিক্যাল চিকিৎসা পদ্ধতি যার মাধ্যমে পেট কাটা ছাড়াই শুধুমাত্র কয়েকটি ছিদ্র করে ক্যামেরা এবং অন্যান্য যন্ত্রপাতি প্রবেশ করিয়ে সরাসরি রোগ নির্ণয় করা যায়। বন্ধ্যত্বের চিকিৎসা ল্যাপারোস্কপি সব রোগীর দরকার হয় না। যারা দীর্ঘদিন ধরে বাচ্চা নেবার চেষ্টা করে যাচ্ছেন এবং বাচ্চা গর্ভধারণ না করার তেমন কোন কারণ খুঁজে পাওয়া যাচ্ছে না তাদের ক্ষেত্রেই প্রধানত ল্যাপারোস্কপি করা হয়।
আধুনিক চিকিৎসা বিজ্ঞান বন্ধ্যত্ব নিরাময়ের অনেক উপায় এসেছে। তবে সন্তান ধারণ একটি প্রাকৃতিক প্রক্রিয়া। তাই প্রকৃতির বিরুদ্ধাচরণ না করে সঠিক খাদ্যাভ্যাস, স্বাস্থ্যকর লাইফস্টাইল এবং দুশ্চিন্তা মুক্ত জীবনযাপন করলে এই সমস্যাকে অনেকটাই প্রতিরোধ করা সম্ভব। এই চিকিৎসার জন্য ধৈর্য ধরতে হয়। সেই সাথে ডাক্তারের উপর বিশ্বাস থাকতে হবে।
19 сен 2024