বরিশাল নগরীর ভেতর দিয়ে এককালে বহু খাল বয়ে যেত। ভাটার খাল দিয়ে নগরীর ভেতরে প্রবেষ করা যেত যা এখন কেবল ড্রেন। ব্যাপ্টিষ্ট মিশন চার্চের সমনে নৌকা ভিড়তো যা এখক কল্পনা করা যায় না। জিলা স্কুলের সমনের খাল তো আমরাই দেখেছি। বি. এম. স্কুলের সামনের খালও আমরা ছোট বেলায় দেখেছি। সদও গার্লস স্কুলের সামনেও খাল ছিল। ভবিষ্যতে এসব খালের বর্ণনা বই মারফতই যানা যাবে। উন্নয়ন দেখাতে দিয়ে এ নগরীর খাল ভরাট করা হয়েছে, আর এখন সামান্য বর্ষাতেই জলাবদ্ধতা দেখা দেয়। নগরীর পুকুর গুলোও এখন হুমকীর সম্মুখীন।
এত খাল-নদী থাকার পরেও বৃহত্তর বরিশালের গ্রামে-গঞ্জের প্রতিটি বাড়িতে যেন পকুর থাকতেই হবে। এখানকার কোন কোন গ্রামের বাড়িতে এখাধিক পুকুর দেখা যায়। প্রাচীন কাল থেকেই ধানক্ষেত, পুকুর কেটে পাসে উচু করে বানানো বসতভিটা ও উঠোন বরিশালের গ্রামাঞ্চলের একটি অন্যতম বৈশিষ্ট্য। বরিশাল নগরী ঘুড়ে দেখলে সেই বৈশিষ্ট এখনো বিদ্যমান। এখনো এই নগরীর পুরোনো বড়ি গুলোতে পুকুরের অস্তিত্ব আছে। নগরীতে পুকুর সংখ্যা শতাধীক, এই সংখ্যা অতীতে আরো বেশি ছিল। নগরায়নের কারনে ব্যাক্তিমালিকানাধীন পুকুর ভরাট হয়ে যাচ্ছে। কিছু প্রাচীন পুকুর সিটি কর্পোরেশন কর্তৃক পার মেরামত করে রাখা হয়েছে। তবে অধিকাংশ পুকুর অরক্ষিত অবস্থায় আছে। এই পুকুরগুলো অতিসত্তর সিটি কর্পোরেশনের আওতায় নিতে হবে। পরিবেশে ও ঘিঞ্চি নাগরিক জীবনে পুকুরগুলোর গুরুত্ত্ব অরিসীম।
এখন বর্তমান থাকা অকেন পুকুরই ভবিষ্যতে থাকবে না। আমি চেষ্টা করছি নগরীর পুকুরগুলোর ভিডিওচিত্র ডকুমেন্ট আকারে রেখে দিতে।
13 сен 2024