বিষাদের ষষ্ঠী, মা দুর্গার বাক্যবাণ: রচনা ও পাঠে-সঞ্জীব চট্টোপাধ্যায়।
দুর্গাপূজোর সবচেয়ে বড় আতঙ্ক বিজয়া দশমী। দশমী বাদ দিয়ে যদি পুজো হত, তাহলে মন্দ হত না। অর্থাৎ মা আসবেন, মা যাবেন না। নবমী পর্যন্ত এসে মাইকেলের প্রার্থনা : 'যেও না নবমী নিশি, লয়ে তার দলে', শুনে মা আমাদের দোলাই হোক, গজই হোক আর নৌকোই হোক, তার বাহক/ মাহুত / মাঝিদের ডেকে বলবেন, পুজো কমিটির পাণ্ডাদের খুঁজে বের করে, ভাড়া বুঝে নিয়ে সোজা চলে যাও, আমি আর ফিরছি না। আমার হিমালয়ান কিংডামে গিয়ে বলে দাও, বছরে একবার এসে চারদিন থাকলে, সামলানো যাবে না। এ দেশ আর সে দেশ নেই। কেস সিরিয়াস। লাগাতার মহিষাসুর মারতে হবে। ডেলি অন্তত এক ডজন করে। অসুরের প্রভাব টেরিফিক বেড়ে গেছে। সুরা সেবন করে, জিনস্ পরে দেশ কাঁপিয়ে বেড়াচ্ছে। কোথায় লাগে আমার মহেশ্বরের নন্দী- ভৃঙ্গী!
মাতা দুর্গাদেবী এমন সিদ্ধান্ত নিলে, আমরা যারা না অসুর না দেবতা, একত্রে একটি নতুন শব্দ 'নাসুর নাদেব', তারা দু'হাত তুলে নৃত্য করব আর বলব জয় মা, জয় মা। কারণ?
প্রথম কারণ, বিভিন্ন বাহনে মায়ের আগমন আর গমনে নানা রকম দুর্যোগের সম্ভাবনা। হোক বা না হোক, মানুষ বড় দুশ্চিন্তায় থাকে। আমরা এক অদ্ভুত জিনিস। আমরা হলুম প্রিমিটিভ মডার্ন। মানে সোনার পাথর বাটি বা কাঁঠালের আমসত্ত্ব। ঈশ্বর হয়তো মানি না। সাজে পোশাকে আহারে বিহারে আচারে আচরণে, অ্যাংলো- অ্যামেরিকান-অস্ট্রাল-হাঙরো-রাশিয়ানো-জার্মান। সিন্নি খাই, শূকর খাই, অশৌচ অবস্থায় হবিষ্য করি, মুণ্ডিত মস্তকে চুল না গজাতেই চিকেন বা রেশমী চালাই। দীক্ষা নিয়ে মালা জপ করি, বেবিফুডে ভেজাল মেশাই। শনিবার শনিবার কালীঘাট কি দক্ষিণেশ্বরে গিয়ে মা, মা করি। নিজের মাকে শুকিয়ে মারি। যুক্তি দেখাই, বিলেতের সভ্য মানুষের ধারায় : ওয়াইফ ফার্স্ট, মাদার নেকস্ট। সূর্যগ্রহণে পৃথিবী উলটে যাবে ভেবে উত্তেজনায় ছটফট করি।...
Apurba Chatterjee, apuch1964@gmail.com , apurba.chatterjee.313?mibextid=ZbWKwL,@apurba1964।
★ Subscribe to us: sanjibani sudha,
10 окт 2024