👆 ভারতীয় শাস্ত্রে বলা হয়, ইহলোক নিয়ে যে সাধনা, তার নাম সংস্কৃতি, আর অনন্তলোক নিয়ে যে সাধনা তার নাম ধর্ম। এই "ধর্ম" শব্দটি কিন্তু খুবই ব্যাপক অর্থে ব্যবহৃত হয়েছে। ভারতবর্ষের সংস্কৃতি ও ধর্ম এই দুই প্রবাহমান ধারায় যুগে যুগে বহু মানুষের নানা দান এসে উভয় ধারাকেই পরিপুষ্ট করেছে। সংস্কৃতি হতেও ধর্মেই প্রবর্তকদের পরিচয় সহজে পাওয়া যায়, তাতেও দেখা যায় ভারতবর্ষের সনাতন ধর্ম কোনো বিশেষ যুগে কোনো বিশেষ মহাপুরুষদের দ্বারা প্রবর্তিত হয় নি। এইজন্য সনাতন ধর্মকে এক হিসাবে অপৌরুষেয় ধর্ম বলা হয়েছে। ভারতবর্ষে যত সংস্কৃতি, যত মতবাদ, যত ধরনের আচার বিচার এসেছে, সবার দান একত্র মিলিত হয়েছে এই সনাতন ধর্মে, আর তা কিন্তু কোনো ব্যক্তিবিশেষের নামে পরিচিত না হয়ে ভারতবর্ষের ভৌগলিক পরিচয়েই সনাতন ধর্মের অঙ্গীভূত হয়েছে। ভারতের পূর্ব হতে পশ্চিম, উত্তর হতে দক্ষিণ; আর্য, দ্রাবিড়, শক, হুন, পাঠান, মোগল সব এক দেহে, হল লীন। ধর্মসাধনায় এটিকেই ভারতবর্ষের তপস্যা বলা হয়। এপথের সব মহাজনই ভারত পথিক। প্রাচীনকাল থেকে সকল বৈদিক, অবৈদিক চিন্তাশীল মুনি, ঋষি, সন্ত হতে পরবর্তী সময়ে বুদ্ধদেব, শ্রীচৈতন্য, রামানন্দ, কবীর, তুকারাম , নামদেব, রামমোহন রায়, শ্রীরামকৃষ্ণ, রবীন্দ্রনাথ প্রভৃতি মহাপুরুষেরা এই ভারতপন্থের সেবায় জীবন উৎসর্গ করে গেছেন। ভারতের সাধনার ও সংস্কৃতির উৎকর্ষতাকে যেসকল সভ্যতা আদিকাল হতে গতিময় করে গেছে তার একটি সংক্ষিপ্ত পরিচয় অবসরের কথা-বাসরের পরপর দুটি পর্বে তুলে ধরা হয়েছে। আজ ২১তম পর্বে নিবেদিত হলো অবৈদিক দ্রাবিড় সভ্যতার অবদানের কথা 🌷