প্রিয় ওসামা সাহেব আপনার কথার মধ্যে উত্তর খুঁজে পাই।যেমন আপনি বলেছেন সাহাবীগণ ঈমানের (Model) অর্থাৎ রুপ দেওয়া।এখন প্রশ্ন হল রুপ কিসের থেকে দিবেন? উত্তর (Ideal) অর্থাৎ আদর্শ থেকে।এখন আমরা আপনার সাথে এই জায়গায় ১০০% একমত যে আমরা সাহাবীগণকে Model হিসেবে মেনে নিতে আমাদের কোনো রকমের অভিযোগ নেই।কিন্তু আমরা Ideal হিসেবে অন্য কাউকে মেনে নিতে পারবো না কষ্মিনকালেও না।কারণ Ideal একজন প্রিয় নবী হযরত মুহাম্মাদ (স)।ধন্যবাদ❤❤❤❤
ভাই আমরা কোনো মানুষের পূজারী না। সুতরাং মানুষ হিসেবে মদুদী সাহেবের ভুল হতেই পারে, এটা নিয়ে সমালোচনা করা যেমন অনুচিত তেমনি উনার ভুলগুলো সঠিক বলে প্রতিষ্ঠা করাও অনুচিত। আল্লাহ আমাদের শিরকমুক্ত ইবাদতের তাওফিক দান করুন। আমিন।
আপনার সঙ্গে আমি একমত। মাওদুদী (র) তো একজন মানুষ। তিনি ভুলের উর্ধ্বে নয়। তিনি সাহাবী (র) এর সমালোচনা করে থাকলে সেটা অবশ্যই ভুল করে গেছে এটা নিয়ে আমার কোন প্রশ্ন। এবং মওদুদী (র) এর পথ অনুসরণ করে যদি কোন আলেম বর্তমান সময়ে সাহাবী (রা) এর সমালোচনা করে তাহলে অবশ্যই সে গোমরাহীর মধ্যে আছে,তার ইমান পরিপূর্ণ হয়নি। মওদুদী (র) আবার একজন সংঘঠক হওয়ার পাশাপাশি ইসলামিক কোরআন হাদীসের ব্যাখ্যা করতে গিয়ে কিছু ভুল করা অস্বাভাবিক নয়। আবার এমনও হতে পারে, তিনি মৃত্যুর আগে হয়তো তার ইচ্ছেকৃত,অনিচ্ছাকৃত ভুলের ক্ষমা চেয়েছেন রবের কাছে। কিন্তু তার লেখাগুলো সংশোধন হয়নি। তবে এসব নিয়ে বাড়াবাড়ি বেশি হয়ে যাচ্ছে। সাহাবীদের সমালোচনাকারীদের আমি ব্যক্তিগতভাবে পছন্দ করিনা। কারো মধ্যে ভালো খারাপ দুইটায় থাকতে পারে,কিন্তু আমরা চেষ্টা করি ভালোগুন গুলো গ্রহণ করা এবং খারাপ গুলো পরিত্যাগ করি। কেউ আবার মওদুদী (র) বলায় আমাকে কোন দলের প্রোডাক্ট বানাবেন না। মুফতি রেজাউল করিম আবরার (হাফি) কে দেখলাম,মওদুদী (র) কে সন্মান দিয়ে কথা বললো। আমি, ব্যক্তিগতভাবে জেনারেল শিক্ষিত, শুধু কট্টর পন্থী, সালাফী আর বেদায়াত পন্থী মিঠা সুন্নী ব্যতীত সকল আলেম,ওলামা,পীর মশায়েখ, ইসলামি দলগুলোকে ভালো বাসি।
আবু জাহেলের উত্তরসূরীদের মুখোশ উন্মোচন করার কারনে যদি নাস্তিকরা খুশি হয় তবে তাই ভালো।। কারন, নাস্তিকরা প্রকাশিত দুশমন, আর আবু জাহেলের উত্তর সুরীরা গোপনীয় দুশমন।।।।
السلام عليكم ورحمة الله وبركاته وبعد. جزاك الله خيرا شيخ علي حسن أسامة حفظه الله ما احسن كلامك موعظتك. بارك الله في علمك وعملك وفي حياتك وجزاك الله خيرا..
সাহাবীগণের উপর আমাদের খুশি হওয়ার দরকার নেই কারণ আল্লাহ সুবহান আল্লাহু তা’য়ালা খুশি হয়েছেন আল্লাহ নিজেই ঘোষনা করেছেন।আমরা সাহাবীগণকে অনুসরণ করি মনে-প্রাণে এটা আপনাকে দেখিয়ে করার দরকার নেই।””অনুসরণ”” শব্দের অর্থ ভালো করে জানা না থাকলে দয়া করে বুঝে নিবেন।আর আপনাকে একটি পরামর্শ দিচ্ছি ছোট ভাই হিসেবে - আমি ব্যক্তিগত ভাবে রেজাউল করিম আবরার সাহেবের কথা শুনি উনি যথেষ্ট সম্মান দিয়ে অন্যদের সমালোচনা করেন ।আপনি নিজেও এই বিষয়টি লক্ষ্য করবেন দয়া করে অন্যথায় আপনি অন্যের কাছ থেকে সম্মান আশা করতে পারবেন না।ধন্যবাদ
. Alhamdulillah. This conversation is so much important for young.I greatly appticiate honourable spoke man for his valuable speech and pray to Almighty Allah to keep him stay for ever as his believes.
আলোচনার মূল পতিপাদ্য পরের সমালোচনা করা । শুধু তাই নয় যে যা বলে না তা ও অতিরঞ্জিত করে একটি দল বা গোষ্ঠী কে ঘায়ের করে কথা হয়েছে। যার ওয়াজে মানুষ হেদায়েত পাবে তো দূরে থাক সমাজে বিষোদঘার উসকে দেয়া হচ্ছে । এগুলি বন্দ করতে হবে।
সত্যের মাপকাঠি বা মিয়ারে হক্ব কে? ---মাওলানা আব্দুল হাই জেহাদী (কওমী আলেম) ১. শরীয়তের বিষয়ে ফায়সালার মাপকাঠি কোরআন- সুন্নাহ- সুরা নিসা ৫৯ ২. কোরআন-সুন্নাহ আঁকড়ে ধরলেই ভ্রান্ত থেকে বাঁচা যাবে---আল হাদীস ৩. সাহাবায়ে কেরামের ব্যক্তিগতভাবে নির্ভুল নাও হতে পারে কারণ তারা ভুলের উর্ধ্বে নয়--ইমাম সারাখসী (রঃ) ৪. আল্লাহ ও রাসূল ( সাঃ) এর কথার সমান কারো কথা হতে পারে না---ইমাম আহমদ ইবনে হাম্বল (রঃ) ৫. সাহাবায়ে কেরাম নিস্পাপ হওয়ার দলিল নেই। তাই তারা মিয়ারে হক্ব নয়---ইমাম গায্যালী (রঃ) ৬. সাহাবায়ে কেরামের ব্যক্তিগত দলিল শরিয়ত নয়। তাই তারা সত্যের মাপকাঠি নয়---ইমাম শাফেয়ী (রঃ) ৭. কোরআন সুন্নাহ ছাড়া সাহাবায়ে কেরাম কে যারা সত্যের মাপকাঠি মনে করেন তারা প্রাণহীন কথা বলেন---ইমাম শওকানী (রঃ) ৮. রাসুল (সাঃ) ছাড়া আর কারো কথা একজনের জন্য অপর জনের দলিল নয়। তাই সাহাবায়ে কেরাম সত্যের মাপকাঠি নয়-- শাহ অলিউল্লাহ মুহাদ্দীস দেহলভী (রঃ) ৯. সাবাবায়ে কেরামের একক মত শরীয়তের দলিল নয়। তারা সত্যের মাপকাঠি নয়--আল্লামা আলুসী রঃ মুফতি শফী (রঃ) ১০. রাসুল (সাঃ) ছাড়া আর কেউ সত্যের মাপকাঠি নয়- কুতবে আলম হোসাইন আহমদ মদনী (রঃ) ১১. আল্লাহর রসুল (সাঃ) ছাড়া আর কারো কাছে অহী নাযিল হয়নি। তাই কোরআনের আলোকে সাহাবায়ে কেরাম সত্যের মাপকাঠি নয়। দেওবন্দের সাবেক মোহতামীম--- হাকিমুল ইসলাম কারী তায়্যিব (রঃ) ১২. অহীপ্রাপ্ত রাসুল ( সাঃ) ছাড়া কেউ সত্যের মাপকাঠি নয়--- ইমামুল হিন্দ আবুল কালাম আজাদ (রঃ) ১৩. নবী ছাড়া অন্য কাউকে যারা মিয়ারে হক মানে তাদের ঈমান প্রশ্নবিদ্ধ--আল্লামা বাইয়মপুরী (রঃ)। فتح الكريم ১৪. কলিমার ২য় অংশ মুহাম্মাদুর রাসুলুল্লাহ ( সাঃ)। তাই রাসূল (সাঃ) ছাড়া অন্য কাউকে সত্যের মাপকাঠি মানা যাবে না--- জাফর আহমদ উসমানী (রঃ) ১৫. হাদীস শাস্ত্রবিদদের রাবীর তানকীদে যেভাবে সাহাবায়ে কেরামের মানহানী হয়না, তেমনি সাহাবায়ে কেরামকে মিয়ারে হক্ব না মানলে সাহাবায়ে কেরামের শানে ঘাটতি হয় না---আব্দুল মাজেদ দরিয়াবাদী (রহ.)।
لَّقَدْ كَانَ لَكُمْ فِى رَسُولِ ٱللَّهِ أُسْوَةٌ حَسَنَةٌۭ لِّمَن كَانَ يَرْجُوا۟ ٱللَّهَ وَٱلْيَوْمَ ٱلْـَٔاخِرَ وَذَكَرَ ٱللَّهَ كَثِيرًۭا ٢١ Indeed, in the Messenger of Allah you have an excellent example for whoever has hope in Allah and the Last Day, and remembers Allah often.
হযরত ওসামা হাফিজাহুল্লাহ, আপনার পেরেশানি খুবই ভালো লাগছে। তবে আপনি ফিকাহ শাস্ত্রের পন্ডিত নন। তাই আপনাকে আরো অনেক সাবধানে কথা বলতে হবে ইনশাআল্লাহ।। আল্লাহ পাক সবাইকে ভাল রাখুন।।
আমি মনে করি আল্লাহ ও নবী রাসুলদের কোন ভুল নাই কারন উনারা ঐহীর মাধ্যমে পেয়ে থাকেন আর বাকীদের ভুল শুধ্য থাকতে পারে কারণ সবাই মানুষ এদের ঐহী আসেনা সে হেতু ভুল শুধ্য থাকতে পারে।
ব্যক্তি সাহাবাগণের ব্যাপারে বিদ্বেষ রাখে বা তাদের সমালোচনা করে, সে বস্তুতঃ আমার সাথে বিদ্বেষ পোষণ করল। (তিরমিযী শরীফ) নবী সাল্লাল্লাহু আলাইহি ওয়াসাল্লাম-এর ঘোষণার পরে কোন সাহসে ইসলামের নামে এ কথা বলা যায় যে, আল্লাহর রাসূল (সাঃ) ব্যতীত কাউকে সমালোচনার ঊর্ধ্বে মনে করবে না? আমাদের দায়িত্ব হক কথা পৌঁছে দেয়া। যাদের ভাগ্যে হেদায়েত আছে, তারা তা গ্রহণ করবে। আর কেউ সাহাবগণের ব্যাপারে সমালোচনা করে নিজেই নিজের ঈমান বরবাদ করলে, অন্যদের সুপথ দেখানো ছাড়া কিইবা করার আছে? [বিস্তারিত জানার জন্য পড়ুন আকীদাতুত তহাবী ১৪৬] Islami Jindegi App
আল্লাহ তায়ালার কাছ থেকে এলেম পাওয়া এটা বাস হওয়া বা কোনসি হওয়ার আলামত না । আল্লাহ যাকে ইচ্ছা এলেম ও হেদায়েত দান করেন। বড় ছোট বলে কোন কথা নাই। আল্লাহ তায়ালা আয়েশা সিদ্দিকা রাদিয়াল্লাহু তা'আলা আনহাকে হাদিস বিশারদ বানিয়েছিলেন। কিন্তু তিনি বয়সে ছোট ছিলেন। দাম্ভিকতা আলী হাসান ওসমান নয় ভি কথা আপনাদের সারা আলী হাসান ওসামা কে নিতে পারেন না। আপনারা দাম্ভিক ও অহংকারী ছোটকে ইলম থাকলেও মানতে পারেন না।
আপনার এই বক্ত্যব্যের দ্বারা আপনি স্কুল, কলেজ, ইউনিভার্সিটি ও মাদরাসার ছাত্রদের কাছে হেয় প্রতিপন্ন হচ্ছেন। কারণ ছাত্ররা যে কোন বিষয়ের শুদ্ধতা বের করার জন্য যুক্তির সাথে তুলনামূলক জাস্টিফিকেশন করেন।
আলী হাসান কাছে আমার একটা প্রশ্ন কোথা থেকে তুমি ইসলামের জন্য কি কি কাজ করে ফেলেছন কোন পর্যায়ে চলে গিয়েছে মনে করেন ছোট্ট এ জীবনের মানুষের ভুল ধরার চাইতে নিজের জীবনের ভুলটাকে সংশোধন করা সবচাইতে বড় উত্তম কাজ