মাধবকুণ্ড জলপ্রপাত, বাংলাদেশের সর্ববৃহৎ জলপ্রপাত ।
মাধবকুণ্ড জলপ্রপাতকে ঘিরে ২৬৭ একর ভূমিতে বাংলাদেশ পর্যটন কর্পোরেশন মাধবকুন্ড ইকোপার্ক প্রতিষ্ঠা করে।
পাথারিয়া পাহাড় (পূর্বনাম: আদম আইল পাহাড়) কঠিন পাথরে গঠিত; এই পাহাড়ের উপর দিয়ে গঙ্গামারা ছড়া বহমান। এই ছড়া মাধবকুণ্ড জলপ্রপাত হয়ে নিচে পড়ে হয়েছে মাধবছড়া। অর্থাৎ গঙ্গামারা ছড়া হয়ে বয়ে আসা জলধারা [১২ অক্টোবর ১৯৯৯-এর হিসাবমতে] প্রায় ১৬২ ফুট উঁচু থেকে নিচে পড়ে মাধবছড়া হয়ে প্রবাহমান।
সাধারণত একটি মূল ধারায় পানি সব সময়ই পড়তে থাকে, বর্ষাকাল এলে মূল ধারার পাশেই আরেকটা ছোট ধারা তৈরি হয় এবং ভরা বর্ষায় দুটো ধারাই মিলেমিশে একাকার হয়ে যায় পানির তীব্র তোড়ে। জলের এই বিপুল ধারা পড়তে পড়তে নিচে সৃষ্টি হয়েছে বিরাট কুণ্ডের।
এই মাধবছড়ার পানি পশ্চিম দিকে প্রবাহিত হতে হতে গিয়ে মিশেছে হাকালুকি হাওরে।
ঝর্ণা ছাড়াও রয়েছে অনেক জাতের উচু উঁচু গাছগাছালি। গাছের ফাঁকে দেখা মিলে নানান জাতের পাখি ও বানরের। পার্কের ভিতরে আছে শ্রী শ্রী মাধবেশ্বরের তীর্থস্থান, খাসিয়া পল্লী, পান ও সুপারী বাগান। ইকো পার্কে যাবার পথেই দেখা মিলবে চা বাগানের। বর্ষাকালে ঝর্ণায় সর্বাধিক পানি প্রবাহ থাকলেও শীতকালেও মাধবকুণ্ড
ঝর্ণায় পানি প্রবাহ চলমান থাকে, তবে পানির পরিমান কম থাকে।
মাধবকুন্ড কিভাবে যাবেনঃ
ঢাকা থেকে ট্রেনে যেতে চাইলে সিলেটগামী আন্তঃনগর পারাবত, উপবন কিংবা জয়ন্তিকা এক্সপ্রেস ট্রেনে মৌলভীবাজারের কুলাউড়া স্টেশনে নেমে কাঁঠালতলী বাজার হয়ে মাধবকুণ্ড যাওয়া যায়। কুলাউড়া রেলওয়ে স্টেশন থেকে সরাসরি সিএনজি রিজার্ভ নিয়ে মাধবকুণ্ড যেতে পারবেন।
যদি মৌলভীবাজার শহর থেকে মাধবকুন্ড যেতে চান তাহলে সিএনজি/মাইক্রোবাস রিজার্ভ করে নিতে পারেন কিংবা বড়লেখাগামী লোকাল বাসে কাঁঠালতলী বাজার নেমে সেখান থেকে রিজার্ভ/লোকাল সিএনজি নিয়ে মাধবকুন্ড যেতে পারবেন।
শ্রীমঙ্গল থেকে মাধবকুন্ড যেতে সিএনজি রিজার্ভ করে অথবা বড়লেখাগামী বাসে কাঁঠালতলী বাজার নেমে সিএনজি ভাড়া করে মাধবকুন্ড যাওয়া যায়।
সিলেট থেকে মাধবকুন্ড যেতে চাইলে শহরের কদমতলী বাস স্ট্যান্ড থেকে বড়লেখা এসে সিএনজি রিসার্ভ করে মাধবকুন্ড যেতে পারবেন অথবা বড়লেখা থেকে কাঠালতলী বাজার হয়ে অন্য সিএনজি নিয়ে মাধবকুণ্ড ইকোপার্ক যাওয়া যায়।
4 окт 2024