হায়য়ে মাহফিল। নাটক হচ্ছে মাহফিল মঞ্চে। ইসলামের নামে আরো কত কিছু দেখাবে ? বলতে পারেন শিক্ষণীয় নাটক। যদি আওয়ামীলীগ বিএনপি বা অন্য দলের লোকজন এইভাবে মাহফিল মঞ্চে শিক্ষাণীয় নাটক করতে চায় তাদেরকে কি বলবেন ? ১৪ শত বছর চলে গেছে ইসলাম বুঝতে নাটোকের প্রয়োজন হয়নি। জামায়াত ইসলামী তথা মাওদুদিপন্থীগণ ও তাদের মতাদর্শে প্রভাবিত কতিপয় লোক জন আমাদেরকে ইসলামের নামে আখের কোথায় নিয়ে যাচ্ছে ? স্মরণ রাখতে হবে ৭৩ দলের মধ্যে মাত্র একটি দল জান্নাতী।তারা হল যারা ما أنا عليه واصحابي অর্থাৎ রসূল সঃ সাহাবায়ে কেরাম রঃ এর অনুসরণ করবে। অন্য হাদীসে আছে সাহাবায়ে কেরাম তাবেঈন তাবয়ে তাবেঈন এই তিন যুগ সত্যের যুগ। অতঃপর মিথ্যার যুগ অতএব আমরা ঐ তিন যুগের অনুসরণ করবো। ইমামেয আজম আবু হানিফা রহঃ সরাসরি সাহাবায়ে কেরাম রঃ কে দেখেছেন। তাদের থেকে নামাজ রোজা হজ্ব জাকাত আমল আখলাক আকীদা আকায়েদ মাসয়ালা মাসায়েল স্বচক্ষে দেখে দেখে শিখে ৪০ জন বিশিষ্ট যুগ শ্রেষ্ঠ লক্ষ লক্ষ হাদিসের হাফেজ ওলামায়ে কেরামকে নিয়ে ফেকা বোর্ড গঠন করে মাসয়ালা-মাসায়েলের সমাধান করে গেছেন । ওনাদের অনুসরণ ছেড়ে দিয়ে আজকে গোমরাহির দ্বারপ্রান্তে পৌঁছে যাচ্ছে। ইদানিং ইসলাম নিয়ে গবেষক অনেক বেড়ে গেছে। ইমামে আহাম্মদ ইবনে হাম্বল রহঃ বলেছেন গবেষণা করে মাসআলা-মাসায়েল হাদিস কোরআন থেকে বের করতে হলে 5 লক্ষ হাদিস সনদ সহকারে মুখস্থ থাকতে হবে। বর্তমানে সিয়াহ সিত্তার ৩১000 হাদিস মুখস্ত আছে এমন লোক বর্তমানে নেই। যে কোরআন শরীফ সহি ভাবে দেখে পড়তে পারে না তারা এখন ইসলামী বড় স্কলার গবেষক। আল্লাহ আমাদের এই নব্য গবেষকগণ যেমন ডাঃ জাকির নায়েক, মুফতি আমির হামজা,ডঃ মিজানুর রহমান আজহারি, আঃ রাজ্জাক বিন ইউসুফ গং এদের ফেতনা থেকে হেফাজত করুক। আমিন
যেখানে ওয়াজ করা হয় সেটা রাসুলের মেম্বার হিসেবে বিবেচিত হয়। সেখানে জোকারি করা বন্ধ করতে হবে। শুধু আপনারাই নয় যে সমস্ত হুজুর ইসলাম প্রচার করত এসে শিক্ষার নামে জোকারি করে এগুলো বাদ দিতে হবে।
