আমরা মতো অনেক গুরুদেব আশ্রিত ভক্ত মায়েদের একটি প্রশ্ন মনের মধ্যে উঁকি দিয়ে থাকে। আর সেটা হলো আমরা কিভাবে গুরুদেবের প্রতি আমাদের বিশ্বাস আর শ্রদ্ধা আরো বেশি করে গভীর করবো ?। আমাদের গুরুদেবের প্রতি আন্তরিক ভালোবাসা কিভাবে আরো আরো গভীর করতে পারবো। ?
এই প্রশ্নের উত্তর খুঁজতে গেলে প্রথমে আমাদের নিজেদেরকেই জিজ্ঞেস করতে হবে যে, সত্যি কি আমরা সঠিক ভাবে গুরুদেবের উপদেশ অনুযায়ী নাম করছি ? যদি আমাদের মনে হয় না তাহলে তার প্রধান কারণ হলো আমাদের ভিতরের যে পবিত্র আমি আছে তাকে আমরা সঠিকভাবে জাগিয়ে তুলতে পারিনা । আমরা আমাদের বাইরের আমি নিয়েই ব্যাস্ত থাকি। জানেন ? আমাদের এই ভিতরের আমি কিন্তু খুব নির্মল আর পরিষ্কার। কিন্তু , শত চেষ্টা করেও আমরা আমাদের ভিতরের পবিত্র আমিকে কিছুতেই জাগিয়ে তুলতে পারিনা। আমরা আমাদের বাইরের আমিকে এতো বেশি বেশি প্রাধান্য দিয়ে ফেলছি যে আমরা আমাদের ভিতরের অমিকে জাগিয়ে তোলা আমাদের কাছে অসম্ভব কঠিন হয়ে উঠছে। আর এর জন্য আমাদের ভিতরের পবিত্র আমি বার বার হেরে যাচ্ছে। একটা ছোট্ট উদাহরণ দি। মা আর স্ত্রী , এই শব্দ দুটি প্রচণ্ড পবিত্র। এর মধ্যে লুকিয়ে আছে একশভাগ নির্ভেজাল ভালোবাসা। এই ভালবাসার জোর এতটাই যে , আমাদের মা আর স্ত্রী-রা তাদের স্বামী আর সন্তানের কল্যাণের আশায় সারাদিন ভগবানের কাছে প্রার্থনা করে কাটিয়ে দিতে পারেন। কিন্তু মা এটাও তো সত্য যে আপনি যার নাম করছেন তিনি তো এই জগতের সবার চিন্তা করছেন। আর সে যদি একবার সবার চিন্তা করতে শুরু করেন তাহলে কি আপনার আর আপনার স্বামী সন্তানের চিন্তা করার দরকার পড়ে। তাই , মা নাম নেওয়ার সময় খালি গুরুদেবের কথা চিন্তা করুন আর নিজেকে সম্পূর্ণ গুরুদেবের কাছে সমর্পন করুন। কারো চিন্তা করবেন না নাম নেওয়ার সময় খালি গুরুদেবের চিন্তা করুন । মন থেকে সব চিন্তা বার করে দিন। গুরুদেব সব দেখবেন। তিনি সব জানেন। নাম নেওয়ার কোনো সময় নেই। সব সময় বিনা চিন্তায় নাম করে যান। ফল ঠিক পাবেন।
আমাদের মনে রাখা উচিত , নামই হলো আমাদের আধ্যাত্বিক জীবনের শেষ কথা। গুরুদেবের দেওয়া পবিত্র নাম জপ করেই আপনি আর আমি সব কিছু পাবো। নাম করার সময় আমাদের প্রত্যেককে মনে রাখতে হবে আমাদের গুরুদেবই আমাদের পরম পিতা। তিনি স্বয়ং ভগবান। আমাদেরকে সম্পূর্ণভাবে গুরুদেবকে বিশ্বাস করতে হবে। তার দেওয়া নাম নিয়ে পড়ে থাকতে হবে। আর সেটা যদি আমরা করতে পারি তাহলে গুরুদেবকে আমরা আমাদের কাছে সারাক্ষন ধরে রাখতে পারবো। আমাদের যখন যা কিছুর প্রয়োজন হবে , গুরুদেব আমাদের জন্য সব করবেন। গুরুদেবকে আমাদের নিজের করতে হবেই। কারণ তিনি যে আমাদের পরম পিতা। তিনি আমাদের একমাত্র সহায় ও আশ্রয়। আমাদের মনে রাখতে হবে আমাদের পরমপিতা আমাদের জীবনের প্রথম ও শেষ কথা।
আমাদের সব সময় এই চেষ্টাই থাকবে যে , আমরা আমাদের গুরুদেবকে সবসময়, আমাদের সুখে -দুঃখে তাঁকে স্মরণ করবো। এরকম যেন না হয় যে খালি দুঃখের সময় তাকে ডাকবো আর সুখের সময় আমরা আমাদের পরিবারকে নিয়ে আনন্দ করবো। আর যদি এটা হয় তাহলে কিন্তু সব বৃথা। কারণ আমাদের প্রয়োজন তিনি সব জানেন সব বোঝেন। আমাদেরকে মনে রাখতে হবে আমাদের দুঃখ খালি গুরুদেবের জন্যই হবে আবার আমাদের সমস্ত সুখ গুরুদেবের জন্যই হবে। আমাদেরকে আমাদের সব সুখ দুঃখ গুরুদেবের সাথে ভাগ করে নিতে হবে নামের মাধ্যমে । তাই আমাদের একমাত্র প্রধান কাজ হলো , তাঁর নাম করে যাওয়া। গুরুদেবের সাথে আমাদের কথা বলা। আমাদের জীবনের প্রতিটি কাজ , সে সেটা ছোট হোক বা বড় , আমাদের সাধ্যমতো আন্তরিক ভাবে চেষ্টা করা আর বাকিটা গুরুদেবের উপর ছেড়ে দেওয়া। আমাদের বুকের মধ্যে চলুক অবিরাম গুরুনাম । তিনি যে আমাদের পরমপিতা । তাহলে আমাদের কিসের ভয়! তিনি যে আমাদের পথপ্রদর্শক। আমাদের সব প্রয়োজন তিনি জানেন। তার কাছে কিছু অজানা নয়।
মনের শান্তি খোঁজার জন্য আমাদের প্রথম খুঁজে বার করতে হবে আমাদের মনের ভিতরের অমূল্য রত্ন। যা আমাদের জীবনকে করবে সমৃদ্ধ আর ঐশর্যময়। আর সেটা আর কিছুই না। সেটা হলো গুরুদেবের দেয়াও মহামন্ত্র। যার নামই হলো নাম। তাই নাম নামক এই শক্তিকে কখনো অসম্মান করা উচিত নয়। যদি এই নামকে আমরা অসম্মান করি তাহলে আমরা আমাদের নিজের ধংস নিজেররাই ডেকে আনবো। আবার উল্টো দিকে আমরা যদি গুরুদেবের দেওয়া নামকে সন্মান জানাই তাহলে গুরুদেব প্রসন্ন হন। আর যদি একবার গুরুদেব প্রসন্ন হন তাহলে মানব সম্প্রদায়ের পরম কল্যাণ হয়। গুরুদেব আমাদেরকে অভীষ্ট বর প্রদান করেন।
মা। গুরুদেবের বাণী মনে আছে তো ? " আপনাগো কোনো ভয় নাই। আশ্রয় যখন পাইয়াছেন , আমি আপনাগো ছাইড়া যামু কই ? আপনার দেহ আমার মন্দির হয়। আপনার গৃহ আমার আশ্রম হয়। আর আমি সেই মন্দিরের সেবক। খালি এই গরিব বামুনের একটি কথা মনে রাইখেন। নাম করেন নাম। কামনা বাসনা ত্যাগ কইরা অভিমান মুক্ত হইয়া নাম করলে সব হইবো। আর এইটা যায়না রাখেন নাম যখন পাইছেন , আমি আপনাগো নিত্যনন্দধামে নিয়ে যামু। জয় রাম। জয় গোবিন্দ।
ডিসক্লেইমার :
আমি এই ভিডিওটি করেছি ইন্টারনেট ও গুরুদেবের নানারকম বই পড়ে। বিশ্বাস এবং অবিশ্বাস যার যার নিজের উপরে। আমার ভিডিওটিকে একটি নিছক প্ৰয়াস হিসাবেই ধরতে আপনাদের অনুরোধ করবো।
মিউজিক : Music by Soulmusic from Pixabay
পিকচার : সমস্ত পিকচার এডিটেড করা হয়েছে এবং সমস্ত পিকচার ইন্টারনেট হইতে সংগৃহিত করা হয়েছে।
আমাদের এই ভিডিও তৈরী করার একমাত্র উদ্দেশ্য হইলো গুরুদেবকে সন্মান জানবার। কোনো ধর্মকে আঘাত করিবার উদ্দেশ্য আমাদের নয়। ঘটনাটি শ্রুতিমধু করিবার জন্য মূল ঘটনাটির কিছু পরিবর্তন করিয়া সম্পূর্ণ ভাবে ব্যাখ্যা করা হইয়াছে। এবং এই ব্যাখ্যার জন্য আমরা ব্যাতিত আর কেউ দায়ী নয়। এই গল্পটিতে কোনো পশু ,পাখি অথবা কোনো জীবের ক্ষতি বা হত্যা করিবার কথা উল্লেখ করা হয় নাই। এই ঘটনাটিতে কোনো ধর্মকে আঘাত করা হয় নাই। এই লেখনীটি সম্পূর্ণ আমার। জয় রাম। জয় গোবিন্দ।
12 сен 2024