হাওর, বাংলাদেশের একটি জলাভূমি, যা উত্তর-পূর্ব অংশে অবস্থিত। হাওর দেখতে অনেকটা একটি বাটি, গামলা বা পিরিচ আকৃতির অগভীর জলাভূমি। আবার অন্যভাবে হাওর হল বন্যা প্রতিরোধের জন্য নদীতীরে নির্মিত মাটির বাঁধের মধ্যে প্রায় গোলাকৃতি নিম্নভূমি বা জলাভূমি। হাওর শব্দটি উৎপত্তি মূলত "সাগর শব্দ থেকে।
হাওরের সাধারণ বৈশিষ্ট্য হলো, প্রায় প্রতিবছরই মৌসুমী বর্ষায় বা স্বাভাবিক বন্যায় হাওর প্লাবিত হয়, ১২ মাসের মাঝে সাত মাসই হাওরগুলো পানির নিচে অবস্থান করে এবং বর্ষা শেষে হাওরের গভীরে পানিতে নিমজ্জিত কিছু স্থায়ী বিল জেগে ওঠে। গ্রীষ্মকালে হাওরকে সাধারণত বিশাল মাঠের মতো মনে হয়, তবে মাঝে মাঝে বিলে পানি থাকে এবং তাতে মাছও আটকে থাকে। শুষ্ক মৌসুমে হাওরের পুরো প্রান্তর জুড়ে ঘাস গজায়, গবাদি পশুর বিচরণক্ষেত্র হয়ে উঠে।
হাওরে যখন পানি আসে তা প্রচুর পলিমাটি বয়ে আনে, যা ধান উৎপাদনের জন্য অত্যন্ত উপকারী। ভূ-তাত্ত্বিক অবস্থান বা এলাকার বৈশিষ্ট্যের ভিত্তিতে হাওরকে ৩ ভাগে ভাগ করা হয়:
১. পাহাড়ের পাদদেশে বা পাহাড়ের কাছাকাছি অবস্থিত হাওর
২. প্লাবিত এলাকার হাওর
৩. গভীর পানিতে প্লাবিত এলাকার হাওর।
আমরা এখন যে হাওরটির দৃশ্য দেখছি এটি হলো কিশোরগঞ্জ জেলার মিঠামইন (Mithamoin) হাওর। যা কিশোরগঞ্জের একটি উপজেলাও বটে।
মিঠামইন এর উত্তরে ইটনা ও আজমিরিগঞ্জ উপজেলা, দক্ষিণে অষ্টগ্রাম উপজেলা, পূর্বে বানিয়াচং ও অষ্টগ্রাম, পশ্চিমে করিমগঞ্জ ও নিকলী উপজেলা। হাওর এলাকা হলেও এটি একটি প্রাচীন জনপদ। মিঠামইনকে অন্যান্য নামেও ডাকা হয় তার মধ্যে মিঠামন, মিটামইন বা মিটামন বলে উচ্চারণ করে থাকেন। শহর থেকে যোগাযোগ ব্যবস্থা ভালো ও কম সময়ে ঘুরে আসা যায় আর এই জন্যেই মিঠামইন হাওর এলাকা মানুষের কাছে খুবই প্রিয়।
এবার আসা যাক আপনি মিঠামইন হাওরে আসবেন কিভাবে। প্রথমে আপনাকে আসতে হবে কিশোরগঞ্জ জেলা সদরে। যদি ঢাকা থেকে আসতে চান তাহলে আপনি বাসে অথবা ট্রেনে করে কিশোরগঞ্জ আসতে হবে। তারপর কিশোরগঞ্জ রেলস্টেশন বা বাস স্টেশন থেকে থেকে রিক্সা/ইজিবাইক দিয়ে একরামপুর বাস/সিএনজি স্ট্যান্ড, তারপর লোকাল সিএনজি/অটো অথবা রিজার্ভ গাড়ি নিয়ে বালিখলা ঘাট। সেখান থেকে ঘন্টা অথবা সারাদিনের জন্যে ছোট ইঞ্জিন নৌকা ভাড়া করে মিঠামইন হাওরের চারপাশ ঘুরে দেখতে পরবেন। বিকল্পভাবে আপনি বালিখলা ঘাট হতে মিটামইন যাওয়ার লোকাল নৌকা সার্ভিসও ব্যবহার করতে পারেন।
মিঠামইনের হাওরে ভ্রমণ ছাড়াও দেখার মত আছে ঐতিহ্যবাহী নানা স্থাপনা, তার মধ্যে উল্লেখযোগ্য হলোঃ মালিকের দরগা, দিল্লির আখড়া, রাষ্ট্রপতি আবদুল হামিদের বাড়ি। এছাড়াও আছে অনেক বছরের পুরোনো ঐতিহ্যবাহী মসজিদ।
মিঠামইনে থাকার জন্যে সবচেয়ে ভালো জায়গা প্রেসিডেন্ট রিসোর্ট। উপজেলা পরিষদের ডাক বাংলোতে রাত্রিযাপনের সুযোগ রয়েছে। মিটামইন বাজারের স্থানীয় খাবার হোটেলে হাওরের বিভিন্ন তাজা মাছের পদ পাবেন। উল্লেখযোগ্য খাবার হোটেলের মধ্যে রয়েছে কাচা লংকা, সেলিম রেস্টুরেন্ট ও হোটেল চাঁনপুর।
মিঠামইন ছাড়াও কিশোরগঞ্জ জেলায় রয়েছে নিকলী হাওর, ইটনা হাওর, শহরের নরসুন্দা লেক, বাংলার প্রথম মহিলা কবি চন্দ্রাবতীর মন্দির, মানব বাবুর জমিদার বাড়ি সহ আরও অনেক দর্শনীয় স্থান। হাতে সময় আর সুযোগ বুঝে পরিকল্পণা করে ফেলুন আপনার ভ্রমণ পরিকল্পনা।
Also Find us:
/ @bohemiankitchenette
/ kitchenetteb. .
/ @bohemian.product...
/ @bohetravelogged
/ @mhkayesh
** ANTI-PIRACY WARNING **
This content is Copyright to Bohemian Productions . Any unauthorized reproduction, redistribution, or re-upload is strictly prohibited of this material. Legal action will be and must be taken against those who violate the copyright of the following material presented!
All rights reserved by Bohemian Productions. This Visual and Audio Element is Copyrighted Content of Bohemian Productions. Any Unauthorized Publishing is Strictly Prohibited.
Note: If you wish to share this video, please make sure you embed the link and share the original source. Please avoid other methods of copying or duplicating the video, and help us support anti-piracy measures in any way you can. Thank you - Bohemian Productions Team.
12 окт 2024