মূলধারা ৭১ মঈদুল হাসান Muldhara 71 Maydul Hasan|| পর্ব ১/৩ 

🙏❤️

হ্যাঁ সুহৃদ, অনেক ধন্যবাদ আপনাকে। অত্যন্ত গুরুত্বপূর্ণ বই এটি। আরো গুরুত্বপূর্ণ বই পড়া বাদ হয়ে থাকলে বা শুনতে চাইলে আমাকে জানাবেন।

অনেক ধন্যবাদ সুহৃদ। নেতা ও পিতা তাজউদ্দীন আহমদ বইটি সামনেই আসছে।

Very thought provoking point.

কোন সন্দেহ নাই

❤️🙏

ধন্যবাদ ভাই

🙏❤️

ভাই, আমি হন্যে হয়ে দুজন বাচিক শিল্পী খুজঁছি। কিছু বইকে শ্রুতিনাট্যে রুপ দেবার এক্সপেরিমেন্ট করতে চাই আমি। কথা হচ্ছে কয়েক জনের সাথে... দেখা যাক।

Always welcome brother.

অনেক ভালোবাসা ভাই🙏❤️

হ্যাঁ, আমার একটি ত্রৈমাসিক অডিও বই প্রকাশের সিডিউল করা আছে। তবে মাঝে মাঝে কিছু সময়ে পরিস্থিতি অনুযায়ী বই দু একটি বাড়ে কমে।

মাঝে মাঝে উপন্যাস পাঠ করলে ভালো হয়।। একটানা প্রবন্ধ শুনতে মাঝে মাঝে একটু কষ্ট হয়ে যায়।। আর এখন আমার সবথেকে পছন্দের অডিওবুক চ্যানেল এইটা।। তাই দাবিও বেশি আপনার কাছে।

হ্যাঁ, আমারও উপন্যাস পড়তে ইচ্ছা হয়। তাছাড়া ভবিষ্যতে শ্রুতি নাটক নিয়ে কিছু এক্সপেতিমেন্টের চেষ্টা যেটা উপন্যাস ছাড়া সম্ভব হবে না।

❤️🙏

আপনাকেও ভালোবাসা ভাই

🙂

অনেক অনেক ভালোবাসা আপনাকে সুহৃদ। আপনি আমাদের প্রতিবেশী দেশ ভারত থেকে শুনছেন। গত ৭০/৭৫ বছরে ভূরাজনীতি, মানচিত্র আমাদের ধীরে ধীরে আলাদা করেছে কিন্তু ভাষা আমাদের যুগান্তর থেকে এক করে রেখেছে। আমি যতটুকু বুঝি, বাংগালীর সংগ্রামের ইতিহাসটা দীর্ঘ সময়ে আমাদের একই ছিলো। ষোড়শ মহাজনপদের যে বংগদেশের কথা শোনা যায় তা মূলত আজকে আমাদের বাংলাদেশে ও পশ্চিমবংগের কথা। প্রধানত এখানকার ইতিহাস, নিম্নবর্গীয় মানুষের ইতিহাস। ক্ষমতার কেন্দ্র থেকে অনেক দূরে ভৌগোলিক ভাবেই অবস্থান করতো এই কৃষিভিত্তিক মানব সমাজ। তাই বরাবরই শাসককে ভিত্তি করে লিখিত ইতিহাসগুলোয় অনুপস্থিত, উপেক্ষিত থেকে গেছে এই অঞ্চলের কথা। তবে এই জনগোষ্ঠীর শক্তিমত্তা অনুমান করা যায় তাদের শক্তিশালী সাংষ্কৃতিক নির্মানগুলি দেখে। বংগকে দুই ভাগ করা একটি বৃটিশ কূটকৌশল। এখানে এর আগে বাংগালী সমাজে হিন্দু মুসলমান উৎসব পার্বন একাকার হয়ে যেত। পুঁথি সাহিত্যে এখনো সেই সময় লিপিবদ্ধ করা আছে। ধর্ম কখনোই এখানে মূল ভূমিকায় অবতীর্ণ হতে পারেনি। এখন আমরা যেমন জানি, একটি জাতিকে অন্য ভাষা ও সংষ্কৃতিতে রুপান্তরিত করার প্রকৃয়াটি চালাতে হয় অতি ধীরে, পুরুষানুক্রমে, ৪৭ এর স্বাধীনতার পর পশ্চিম পাকিস্তানের জান্তারা সেটি বুঝতে পারতেননা। তাই ভাষার মতো নাজুক ও অনুভূতিপ্রবন বিষয়ের উপরে তাদের সরাসরি ও জবরদস্তি আক্রমনের মুখে পুর্ব বাংলার মানুষের জাতিস্বত্তা স্বরণকালের মাঝে সবচেয়ে গভীর ভাবে নাড়া দিয়েছিলো। প্রথমে ৪৭ সালে ধর্ম কেন্দ্রীক বিভাজন, যেটায় বাংলার সমাজ মোটেও অভ্যস্ত ছিলো না, এর দ্বারা করাচীর মুসলমানদের সাথে ময়মনসিংহের মুসলমানদের এক করা হয় এবং পরবর্তীতে পাকিস্তান প্রতিষ্ঠার পর দ্বিজাতিতত্ত্ব ( বাংগালী ও পাকিস্তানি দুই জাতি) এর ভিত্তিতে করাচীর মুসলমান ও ময়মনসিংহের মুসলমান যে আলাদা, সেটির প্রচার, বাংলাদেশের মানুষদের মনে গভীর আত্নপরিচয়ের সংকট তৈরি করে। এর ফলেই একে একে ৫২, ৬৯, ৭০ এবং ৭১ সংগঠিত হয়। এখানেই বাংলাদেশের জনগোষ্ঠী প্রবেশ করে এক অনন্য রাজনৈতিক বাস্তবতায়, আত্ন সচেতনতায়। যেখানে তারা ভাবতে পারে, তারা মুসলমান হয়েও বাংগালী, হিন্দু হয়েও বাংগালী, বৌদ্ধ হয়েও বাংগালী হওয়া যায়। ১৯৭১ সালের সৃষ্টি বাংলাদেশের নিজস্ব স্বাধিকার আন্দোলনের ইতিহাস। ৭১এ দিল্লীর দৃষ্টিভংগী দৃশ্যত মানবিক হলেও গভীরে ১৯৬৩ সালের পাক ভারত যুদ্ধের পরে তৈরি রাজনৈতিক ইন্ডিয়া ডক্ট্রিনের আওতায় অনুসৃত। ( ঠিক যেমনটা বাংলাদেশ এখন মায়ানমারের ২০লক্ষ রোহিংগা শরনার্থীদের ব্যাপারে মানবিক আচরন প্রদর্শন করে রাজনৈতিক স্বার্থের লক্ষ্যে ) তবে নির্দ্বিধায় বলতেই হয়, ভাষা ও সাংস্কৃতিক কারনে পশ্চিমবঙ্গের সাধারন জনগোষ্ঠী সম্পূর্ণ অরাজনৈতিক ভাবেই বাংলাদেশের সাধারন মানুষের সাথে ছিলেন। লক্ষ লক্ষ দেশত্যাগী পশ্চিমবংগ অভিমুখী মানুষকে নব গঠিত দিল্লী সরকার গ্রহন করতে রাজী না হলে সেই সরকারও কোলকাতার বাংগালীদের দ্বারা তীব্র বিরোধিতার স্বীকার হতেন, এটা ইতিহাস থেকে জানা যায়। সাধারণ কোলকাতাবাসীর এই মানবতাবোধ দিল্লীকে প্ররোচিত করেছিলো আরো দ্রুত তাদের ডকট্রিনের বাস্তবায়নে। এজন্য আমরা আপনাদের কাছে কৃতজ্ঞ। একটি দেশের সাথে আরেকটি দেশের সম্পর্কের বয়ান অনেকাংশে তৈরি করে রাষ্ট্রক্ষমতায় কোন এবং কেমন সরকার রয়েছে তার উপর। আমরা সাধারন জনগোষ্ঠী রাষ্ট্রের এই গ্রান্ডন্যারেটিভকে বিশ্বাস করি এবং দেশ, জাতি ও ধর্মেও গন্ডিতে আবদ্ধ থিওরীতে একে অপরের সাথে দ্বন্দ্বে জড়িয়ে পড়ি। বিজেপি বা কংগ্রেস কেউই নিরংকুশ নন। প্রত্যেকের সমালোচনা রয়েছে। মনে রাখবেন সুহৃদ, আজকের ভারতের সমালোচনা, সরকারের সমালোচনা। প্রতিটি ভারতবাসী যদি সেই সমালোচনা গায়ে মেখে নেন তবে অবশ্যই ব্যাপারটা ক্ষুদ্র গন্ডিতে আবদ্ধ হয়ে পড়বে। অপরপক্ষে, ভারতের প্রতি বাংলাদেশের কিছু মানুষের অনীহার ব্যাপারটিকেও দেখাতে হবে বাংলাদেশের সরকারের তীব্র সমালোচনার একটা গুরুত্বপূর্ণ বহিঃপ্রকাশ হিসাবে। ভালো থাকবেন আপনি সুহৃদ। আপনার কথার প্রেক্ষাপটে আজকে বেশ অনেক কথা লিখে ফেললাম। ক্ষমা করবেন ❤️🙏

৭১ এ রাষ্ট্র হিসেবে ভারতের সাহায্য সম্পূর্ণ রাজনৈতিক ও ভৌগলিক। চিরশত্রু পাকিস্তানকে ভেংগে ফেলার সুযোগ। তবে পশ্চিমবঙ্গের মানুষের উদারতা ছিল মানবিক কারণেই। এটা বিশ্বাস করতেই ভালোবাসি। অন্তরের খবর অন্তর্যামী জানেন।

@@michaelangelo2980 apni bolun amake... pakistan theke beriye bangladesh gathon kora ta Bangadeshi der nijer bhabna aar tar struggle entirely Bangladeshider eta apni belive koren? 21 Feb 1952 te India chilo na taar majhe.

@@shanolidas7007 এরকম একটা ভাবনা ভারতের 'র' ও করেছিল। র এর প্রাক্তন অফিসার অশোকা রায়নার ইনসাইড র বইটিতে তিনি বলেছেন ১৯৬৫ ভারত-পাকিস্তান যুদ্ধের পর "র" ১৯৬৬ সালে "মিশন বাংলাদেশ" নামে একটি পরিকল্পনা হাতে নেয় যা ইন্দিরা গান্ধীকে জানিয়ে করা হয়। এটা নিয়ে আলোচনা করতেই তারা বঙ্গবন্ধুর সাথে আগরতলায় বসে, যা পরবর্তীতে বিখ্যাত আগরতলা ষড়যন্ত্র নামে পরিচিত এবং এটাতে বঙ্গবন্ধু দেশদ্রোহীর তকমা পেয়েছিলেন। তাই ভারত পেছন থেকে কলকাঠি নেড়েছে এটা ভারতীয় গোয়েন্দা সংস্থার বরাত থেকেই আমরা জানি। আর ৫২, ৬৯ এই বিষয় গুলো পাকিস্তানের অভ্যন্তরীণ ব্যাপার। সরকারের বিরুদ্ধে এরকম প্রতিবাদ হর হামেশাই হয়। আপনার দেশে CAA, NRC নিয়ে হয়েছে, হচ্ছে। সম্প্রতি কৃষকদের আন্দোলন চলছে, আর মনিপুরের কথা নাই বা বললাম। তবে হ্যা, পাকিস্তান থেকে আলাদা হতে চাওয়াটা ভারত বাংলাদেশের জন্য এক win-win সিচুয়েশন। আমরা উভয়ই এতে লাভবান হয়েছি। কিন্তু ভারতের পক্ষ থেকে এমন ভাবে ১৯৭১ এর যুদ্ধকে উপস্থাপন করা হয় যেন ভারত সম্পুর্ণ অনিচ্ছা সত্ত্বেও আমাদের স্বাধীন করেছে। ভারত নিজের খেয়ে বনের মোষ তাড়ায় নি। সে নিজেও বিশাল সীমান্ত সুবিধা পেয়েছে পাকিস্তান ভেংগে।

Most welcome 😊

অনেক ধন্যবাদ

You’re welcome 😊

কেমন আছেন প্রিয় সুহৃদ?

শুভকামনা ভাই

❤️❤️🙏

অনেক ধন্যবাদ ভাই❤️🙏

ছবিটি মঈদুল হাসানের পরিনত বয়েসে ৭১ এর উপরে বিবিসি বাংলার এক দীর্ঘ সাক্ষাৎকারের সময়ে তোলা। আমি উনার আগের ছবিগুলির মাঝে কোন ভালো প্রফাইল ছবি পাচ্ছিলাম না।

বইটি রকমারিতে পাবেন।

@@seishobboi Thanks ❤️❤️❤️

অবশ্যই ভাই। তবে এই বইটি আসতে অগাষ্ট সেপ্টেম্বর হতে পারে।

আপনার সাজেষ্ট করা বইটি তালিকায় নিলাম।

প্রিয় সুব্রত দা! কেমন আছেন? কত কম সময়ে আমরা পৃথিবীতে, আর তার চেয়েও কম সময়ে আমাদের দেখা সাক্ষাৎ হয়, বাংলাদেশে আবারও আসুন। আমাদের সাথে পুরানো ঢাকার বায়ান্ন বাজার আর তেপান্ন গলিতে স্বাগতম 🙏❤️

অবশ্যই পড়া হবে ভাই। বইটি তালিকায় আছে।

সুহদ, বইটি লিষ্টে আছে তবে কবে পড়তে পারবো জানি না।

এটি একটি বই কারো মন গড়া ইতিহাস নয়।