১৯৫১ সালে জলপাইগুড়ি জেলার ময়নাগুড়ির রবীন্দ্রভবনের যাত্রা মঞ্চে জ্যোতস্না দত্তের অভিনয় প্রথম দেখি। আমি তখন দ্বিতীয় শ্রেনীর ছাত্র। আমার বয়স এখন ৭৮ বছর। সেই জ্যোতস্না দত্তকে পরবর্তীতে আরো অনেকবার যাত্রা মঞ্চে দেখতে পেয়েছি। উনি যাত্রা জগতের একজন উজ্জ্বল নক্ষত্র । ওর মত অভিনেত্রী যাত্রা জগতে বিরল।
আজ থেকে অনেক বছর আগের কথা, আমাদের গ্রামে ,মঞ্চস্থ হয়েছিলো বিবি আনন্দময়ী যাত্রা পালা,তখন আমি খুব ছোট্টো ছেলে,আজও মনে আছে কি অপূর্ব কন্ঠ ছিলো জোৎসনা দত্তের,তেমনি ছিলো রূপের মাধুর্যে ভরপুর,কারণ তখন এনারা সাধনা করে মন প্রাণ ঢেলে উজাড় করে ,মানুষকে অনেক দিয়ে গেছেন,দিদি আপনা কে অসংখ্য ধন্যবাদ, আর এখন অসভ্য নোংরা,যত গয়ার পাপ অভিনয় জগতে ঢুকে সমাজ টা কে আবর্জনায় ভরিয়ে দিয়েছে
শ্রদ্ধেয়া দত্ত দিদির যাত্রা আমি দেখেছি। অনেকগুলো যাত্রাই দেখেছি, ফালাকাটা শীতলা মন্দির প্রাঙ্গনে ।সেই যে দেখা আজও আমার চোখে ভাসে। দিদি আমার সশ্রদ্ধ প্রণাম।
আমি ওনার সোনায় দীঘি অভিনয় দেখেছি। দারুন অভিনয়। মোট চার বার দেখার সুযোগ হয়েছিল। সোনাইয়ের চরিত্রে অসাধারণ। ভাবনা কাজীর সাথে প্রথম দৃশ্যে ই আসর মাতিয়ে দিতেন।
গলায় এই গানটি শোনার পরে ছোটবেলার সেই রোমান্টিক জুটি গুরুদাস ধারা জ্যোৎস্না দত্ত কতগুলো যাত্রাপালা যে আমরা শুনেছি বিকেল চারটের সময় আমরা সামান্য কিছু টিফিন নিয়ে বেরিয়ে পড়তাম পায়ে হেঁটে আত্ন কিলোমিটার রাস্তায় গিয়ে প্যান্ডেলের সামনে বসার জন্য এই যে পাঁচ টাকা দশ টাকা টিকিট সেই পয়সাটা সংগ্রহ করা খুব কঠিন ব্যাপার ছিল। এতদিন পর ইউটিউব এ আপনার সাক্ষাৎকার পি নিজের জীবন ধন্য মনে করলাম প্রণাম জানাই দিদি ভাল থাকবেন সুস্থ থাকবেন
এক অনন্য অভিনেত্রী,যেমন গানের গলা,তেমন অভিনয়,বারুইপুর রাস মাঠে ওনাকে "সোনাই দিঘী" যাত্রায় প্রথম দেখি,সঙ্গে সব রথী মহারথী,স্বপন কুমার,পান্না চক্রবর্তী,সুজিত পাঠক,দিলীপ চাটুজ্যে,মাখন সমাদ্দার,ও আরো বিশিষ্ট শিল্পীবৃন্দ।। প্রথম দিন ভাঙচুর,কারণ স্বপন কুমার আসেননি,পর দিন তপন কুমারকে নিয়ে আবার ঐ টিকিটেই যাত্রা আরম্ভ হয়।। মন,প্রাণ জুড়িয়ে যায়,এখনো চোখে লেগে আছে।।।
ঐ সময়টির সংগে চিৎপুরে জড়িয়ে ছিলাম একজন নাট্যকার ও নির্দেশক হিসাবে। ওঁকে চিনতাম। গায়ক গুরুদাস ধাড়ার সংগে ওঁর বহু সংগীতবহুল পালা পাগলের মত দেখেছি। কণ্ঠের সুর,আর অভিনয়ে উনি নিজেই প্রকৃত অর্থে ছিলেন "যাত্রা- সম্রাজ্ঞী" । আপনি এই ইতিহাস ধরে রেখে আর এক ইতিহাস রেখে যাচ্ছেন। আপনি অনন্য এক নাট্যবিজ্ঞানী। আপনাকে অকৃত্রিম ভালবাসা।
পঞ্চাশের দশকের একেবারে শেষের দিকে আমি সোনাই দিঘি যাত্রা পালা দেখে ছিলাম। এক ক্থায় অপূর্ব,অনবদ্য,মনো মুগ্ধকর যাত্রা পালা । আজও সেই সব দিনের স্মৃতি গুলো চোখের সামনে জ্বল জ্বল করছে। কোনো ভাবেই ভুলতে পারি না।কোথায় গেলো সেই সব সোনালী দিনগুলি?"Those days are gone." খুব ভালো লাগলো এই প্রতিবেদনটি দেখে।অসংখ্য ধন্যবাদ।
জ্যোৎস্না দত্ত ছিলেন প্রতিভা মই অভিনেত্রী ঈশ্বর প্রদত্ত তার গানের কণ্ঠ সাবলীল অভিনয় আমি বহুযাত্রা জ্যোৎস্না দিকে দেখেছি সর্বপ্রথম দেখি গুরুদাস ধারার সঙ্গে অভিনয় করতে বৈজু বাওড়া সে এক বিরল দৃশ্য আজকালের নিয়মে এই ধরনের অভিনেতা অভিনেত্রী কে বাবা বিরল
কোথায় হারিয়ে গেল যাত্রার সেই স্বর্ণযুগ! কোথায় গেলেন এই শিল্পের মণিমুক্ত সব শিল্পী আর পালাকাররা! শুধু বিনোদন নয় , লোকশিক্ষা, লোকহিত এবং সামাজিক সংহতি রক্ষায় এর চেয়ে ভাল মাধ্যম কিছু হয় না।
আপনাকে আমার প্রনাম জানাই। আমি বৌ হয়েছে রঙের বিবি দেখে যাএার প্রতি আগ্রহ বাড়ে। তারপর আজব গাঁয়ের আজব লেড়কি যাএাপালা আমি করেয়ি শুরু করি। মানিক জোড় এ শেষ করেছি। এখনো সাথে আছি যাএা মানে আমার লোকালে হলে আমার দল হাজির থাকি।।
Please give more videos of this artist. Many many thanks🌹❤ to you for valuable interviewing with Jostna davi.What's a nice voice of her still now on such ages. Thanks❤ a lot from my heart to Jostna Dani.
স্বর্ণযুগের যাত্রা শিল্পীদের পালাকার দের গভীর শ্রদ্ধা। আমিও আমরা চাই স্বর্ণযুগের যাত্রার যে আদল সেই আদলেই যাত্রা পরিবেশিত হোক। তাতে লোকসংস্কৃতি বাঁচবে। প্রকৃত যাত্রা শিল্পের উন্নয়ন ঘটবে। এবং সর্বস্তর মানুষ আবারো গ্রহণ করে নেবে। এখন যেসব যাত্রাপালা গুলি পরিবেশিত হয়। অধিকাংশই শোনা ও দেখা অস্বস্তিকর। গান-বাজনার প্রয়োগের তো মাথামুণ্ডু নেই। উদ্ভট হিন্দি গান ও চতুর নাচ প্রকৃত যাত্রা কে বিঘ্নিত করছে। যাত্রা ফিরে আসুক গ্রাম গঞ্জে শহরে নগরে তার ঐতিহ্যকে বহন করে। এ বিষয়ে এই সময়ের সমস্ত শিল্পী ও সংগঠকদের ধ্যান ও জ্ঞান থাকা উচিত। লক্ষ্য রাখা উচিত। সরকার ও প্রশাসনের যাদের সাহায্য ও সহযোগিতায় যাত্রার পুরনো সংস্কৃতিকে বজায় রাখা যায়,,,,
জ্যোৎস্না দিদির অভিনয় দেখার সৌভাগ্য হয়েছে । পঞ্চাশের দশকে তাঁর বিখ্যাত যাত্রাপালা সোনাই দিধি দেখেছি কযেকবার । তাঁর গান , অভিনয় মনে লেগে আছে । যাত্রা গগনে তিনিই মহিলা চরিত্রে প্রথম মহিলা । তাঁর সঙ্গে ভিলেন ভাবনা কাজী চরিত্রে দিলীপ চট্টোপাধ্যায়ের হার হিম করা দুর্ধর্ষ অভিনয় । তাঁর তিনবার 'আমি ভাবনা কাজী ' উচ্চারণ করার ধরন দর্শকদের কাঁপিয়ে দিত । তার সঙ্গে জ্যোৎস্না দির পুকুরপাড়ে হাঁসকে ডাকার গান -- তই তই , তই তই ' দর্শকদের মুখে মুখে ঘুরত ।
দিদি আপনার কন্ঠের সুধা রস করে পান । বিবশ হয়ে গেছে মোর দেহ মন প্রাণ।। আপনার যাত্রাপালা এখনো শুনতে রাজী। সুর অভিনয় দক্ষতার জন্যে হলেন যাত্রা সম্রাজ্ঞী। এখন অভিনয় বাদ দিয়ে যদি দেখাতে পারে শরীর। তবে সেই হবে সেরা যাত্রা জমে হবে ক্ষীর। পাল্টাচ্ছে মানুষের মন রুচি ও সংস্কৃতি । তাই যাত্রা হচ্ছে ক্ষয়িষ্ণু, শিল্পের হচ্ছে ক্ষতি।