যে আমলের কথা বিশ্বনবী সঃ অসংখ্য হাদিসে বর্ণনা করছেন,আজ এই আমলটি করুন ইনশাআ,,, ফল দেখে অনেক খুশি হবেন
আবদুল্লাহ ইবনে উমর (রা.) বলেন। আমি নবীজিকে বলতে শুনেছি, খাওয়াদাওয়ার আগে শিঙ্গা লাগানো উত্তম। এটা জ্ঞান ও স্মরণশক্তি বাড়ায়। হাফেজের মুখস্থশক্তি বৃদ্ধি করে। অতএব যে শিঙ্গা লাগাতে চায় সে যেন আল্লাহর নাম নিয়ে বৃহস্পতিবার লাগায়। এবং শুক্র, শনি, রবি শিঙ্গা লাগাও। সোম, মঙ্গলবারেও শিঙ্গা লাগাও। তবে বুধবার শিঙ্গা লাগানো থেকে বিরত থাকো। কারণ এদিন আইয়ুব (আ.) পরীক্ষায় নিপতিত হয়েছিলেন। এবং কুষ্ঠরোগ ও শ্বেতরোগ বুধবার দিনে বা রাতেই প্রকাশ পেয়েছে। (ইবনে মাজাহ, হাদিস : ৩৪৮৮)
উচ্চারণ : আল্লাহুম্মা ইন্নি আসআলুকা ইলমান নাফিআ, ওয়া রিজকান তায়্যিবা, ওয়া আমালান মুতাকাব্বালা।
অর্থ : হে আল্লাহ! আমি আপনার কাছে উপকারী জ্ঞান, পবিত্র রিজিক এবং কবুলযোগ্য আমল প্রার্থনা করি।
দোয়া ইউনুস কি এবং দোয়া ইউনুস কিভাবে পড়তে হয়?
দুয়া ইউনুস কি এবং দুয়া ইউনুস কিভাবে পড়তে হয়?
গভীর সমুদ্রের নীচে, মাছের পেটের ভেতরে নিকষ অন্ধকারে হাবুডুবু খাওয়ার অবস্থায় ইউনুস আ’লাইহিস সালাম নীচের এই দোয়া করেছিলেন এবং সেই কঠিন বিপদ থেকে উদ্ধার পেয়েছিলেন।
ﻻَ ﺇِﻟَﻪَ ﺇِﻻَّ ﺃَﻧْﺖَ ﺳُﺒْﺤَﺎﻧَﻚَ ﺇِﻧِّﻲ ﻛُﻨْﺖُ ﻣِﻦَ ﺍﻟﻈّﺎﻟِﻤِﻴﻦَ
উচ্চারণঃ লা- ইলা-হা ইল্লা-আংতা সুবহা’-নাক, ইন্নি কুংতু মিনায-যোয়ালিমিন।
অর্থঃ (হে আল্লাহ!) তুমি ছাড়া আর কোনো উপাস্য নাই, তুমি পবিত্র ও মহান! নিশ্চয় আমি জালিম (অত্যাচারী বা অপরাধী ব্যক্তির) অন্তর্ভুক্ত।
ক্বুরআনুল কারীমে এই দুয়া বর্ণিত হয়েছে সুরা আল-আম্বিয়াতে, ৮৭ নাম্বার আয়াত।
দুয়া ইউনুসের ফযীলত
রাসুলুল্লাহ সাল্লাল্লাহু আলাইহি ওয়া সাল্লাম বলেছেন, “কোনো মুসলিম ব্যক্তি যদি এই দুয়া ইউনুসের সাহায্যে আল্লাহর নিকট কিছু চাইবে, আল্লাহ তা কবুল করবেন।” অন্য হাদীস অনুযায়ী, “এই দুয়া পড়লে আল্লাহ তার দুঃশ্চিন্তা দূর করে দিবেন।” সুনানে আত-তিরমিযীঃ ৩৫০৫, শায়খ আলবানী হাদীসটিকে সহীহ বলেছেন।
দুয়া ইউনুস কিভাবে পড়তে হবে
বিপদ আপদ বা দুঃশ্চিন্তার সময় এই দুয়া বেশি বেশি করে পড়তে হয়। আপনার যতবার ইচ্ছা ও যতবার সম্ভব হয়, ততবার পড়বেন
বুধবারের বিশেষ কিছু আমলের মধ্যে এই আমলটি খুবই পরিক্ষিত
কেউ যদি নির্জনে বসে, আল্লাহুম্মা ইন্নী আস আলুকা এই দোয়াটি ৩০০ বার
দুয়ায়ে ইউনুস ১৩৩ বার
লা হাওলা ১০০ বার পড়ে
আল্লাহ তায়ালা অজানা গুপ্তধনের মালিক বানিয়ে দিবেন,কোটি টাকা ঋণ থাকলেও পরিশোধ করার তৌফিক দিবেন,সকল মনোবাসনা পুর্ন করে দিবেন
সকল কাজে গায়েবি সাহায্য করবেন
এই আমলটি খুবই পরিক্ষিত ও শক্তিশালী
লা হাওলা ওয়ালা কুওয়াতা ইল্লা বিল্লাহ। গুরুত্বপূর্ণ একটি আমল। এর ফজিলত ও সওয়াব অনেক বেশি। আমলটি করার ব্যাপারে হাদিসে অনেক বর্ণনা এসেছে।
আবু মুসা আশআরি (রা.) বর্ণনা করেন, রাসুল (সা.) একবার আমাকে বললেন, ‘তোমাকে জান্নাতের অন্যতম ধনভাণ্ডারের কথা কি বলে দেব?’ আমি বললাম, অবশ্যই বলে দিন, হে আল্লাহর রাসুল! তিনি বললেন, لاَ حَوْلَ وَلاَ قُوَّةَ إِلاَّ بِاللهِ (লা হাওলা অলা ক্বুওয়াতা ইল্লা বিল্লাহ) (বুখারি, হাদিস : ২৯৯২; মুসলিম, হাদিস : ২৭০৪, তিরমিজি, হাদিস : ৩৩৭৪; আবু দাউদ, হাদিস : ১৫২৬ হাজিম ইবনে হারমালা (রা.) বলেন, আমি নবী (সা.)-এর নিকট দিয়ে যাচ্ছিলাম। তিনি আমাকে বলেন, ‘হে হাজিম! তুমি অধিক সংখ্যায় ‘লা হাওলা ওয়ালা কুওয়াতা ইল্লা বিল্লাহ’’ বাক্যটি পড়ো। কেননা তা হলো জান্নাতের গুপ্তধন। (বুখারি, হাদিস ৪২০৪, ৬৩৮৪, ৬৪০৯, ৭৩৮৬, মুসলিম ৫৮৯,
কাইস ইবনু সাদ ইবনু উবাদাহ (রা.) হতে বর্ণিত আছে, আমি নামাজরত থাকা অবস্থায় নবী (সা.) আমার কাছ দিয়ে গমন করলেন। তিনি নিজের পা দিয়ে আমাকে আঘাত (ইশারা) করে বললেন, আমি তোমাকে কি জান্নাতের দরজাগুলোর একটি দরজা সম্পর্কে জানাব না? আমি বললাম, হ্যাঁ। তিনি বললেন, ‘লা হাওলা ওয়ালা কুওয়াতা ইল্লা বিল্লাহ’ (আল্লাহ ব্যতীত অনিষ্ট দূর করার এবং কল্যাণ লাভের কোনো শক্তি কারো নেই)। (তিরমিজি, হাদিস : ৩৫৮১)
কায়স (রা.) বলেন, রাসুল (সা.) আমার পাশ দিয়ে যাচ্ছিলেন। আমি তখন মাত্র নামাজ শেষ করেছি। তিনি আমাকে তার কদম মুবারক দিয়ে আঘাত করলেন। বললেন-
জান্নাতের দরজাগুলোর একটি কি তা আমি তোমাকে বলবো? আমি বললাম, অবশ্যই। তিনি বললেন, লা হাওলা ওয়ালা কুওওয়াতা ইল্লা বিল্লাহ।
(সুনান তিরমিজি, হাদিস : ৩৫৮১)
আবু যুবায়ের (রহ.) হতে বর্ণিত, আবদুল্লাহ ইবন জুবায়ের (রাঃ) নামায শেষে তাহলিল (লা ইলাহা ইল্লাল্লাহ ...) পাঠ করতেন। পাশাপাশি ‘লা হাওলা ওয়ালা কুওয়াতা ইল্লা বিল্লাহ, লা না’বুদু ইল্লা ইয়্যাহু লাহুন-নি’মাহ ... অতিরিক্ত বর্ণনা করে পরে উপরোক্ত হাদীছের অনুরূপ বর্ণনা করেছেন। (আবু দাউদ, হাদিস : ১৫০৭)
সাগরের ফেনা পরিমাণ গুনাহ মাফ হয়
আবদুল্লাহ ইবনে আমর (রা.) বর্ণনা করেন, রাসুল (সা.) বলেছেন, পৃথিবীর বুকে যে ব্যক্তি বলে, ‘লা-ইলাহা ইল্লাল্লাহু ওয়াল্লাহু আকবার, ওয়া লা-হাওলা ওয়ালা কুওয়াতা ইল্লা বিল্লাহ’ তার অপরাধগুলো ক্ষমা করে দেওয়া হয়, যদিও তা সাগরের ফেনারাশির মতো (বেশি পরিমাণ) হয়। (তিরমিজি, হাদিস : ৩৪৬০)
অর্থ : আল্লাহ তাআলা ছাড়া কোনো উপাস্য নেই, আল্লাহ সুমহান, আল্লাহর সাহায্য ছাড়া পাপমুক্তির কোনো পথ নেই, আল্লাহর সাহায্য ছাড়া ইবাদতের কোনো শক্তি নেই।
14 окт 2024