Тёмный

রাঙ্গামাটি লাভ পার্ক |জেলা পরিষদ |সাজেক |পাহাড়ি বাজার নানীয়ারচর | চাকমা মারমা তৈঞ্চয়িঙ্গা সকল তথ্য 

Metro TV DRAMA
Подписаться 476
Просмотров 28
50% 1

রাঙ্গামাটির দর্শনীয় স্থান: যে জায়গাগুলো মিস করবেন না
পর্যটনে অপার সম্ভাবনা জেলা রাঙ্গামাটি। প্রকৃতি যেখানে অপরূপ সাজে সেজে থাকে সারা বছর। একেক ঋতুতে একক রূপ ধারণ করে এই পাহাড়ি জনপদ। তাইতো হ্রদ, পাহাড় ও মেঘের প্রেম উপভোগ করতে সারা বছরই পর্যটকদের ভিড় লেগে থাকে পর্যটন শহর রাঙ্গামাটিতে। রাঙ্গামাটির যেসব স্থানে যায় পর্যটকরা ঘুরে দেখেন।
হ্রদ ভ্রমণ
৭২৫ বর্গ কিলোমিটারের বিশাল আকৃতির কাপ্তাই হ্রদের নীল জলে নৌ-ভ্রমণ পর্যটকদের কাছে ভীষণ প্রিয়। যারাই রাঙ্গামাটিতে ভ্রমণে আসেন হ্রদে ঘুরে বেড়ান না এমন একজনও পর্যটক পাওয়া যাবেনা। হ্রদের নীল জলে বোটে চড়ে প্রকৃতিকে উপভোগ করেন তারা।
সুবলং ঝরনা
হ্রদ ভ্রমণে যাওয়া অধিকাংশই পর্যটকের গন্তব্যই থাকে সুবলং ঝরনা পর্যন্ত। শহর থেকে প্রায় দেড় ঘণ্টা বোট জার্নি করে যেতে হয় এই ঝরনায়। আর যাওয়ার পথটাও অসম্ভব রকমের সুন্দর। পাহাড়ের মধ্য দিয়ে এঁকে বেঁকে বয়ে চলা কাপ্তাই হ্রদ দিয়ে এগিয়ে যাওয়ার সময় চোখে পড়বে সবুজে আচ্ছাদিত বিশাল বিশাল পাহাড়। তার পাদদেশ দিয়ে এগিয়ে যাচ্ছে বোট। উপরে বিস্তৃত নীল আকাশে সাদা মেঘের ভেলা। প্রকৃতির এমন রূপ মুগ্ধ করবে যে কাউকে। পাহাড় হ্রদের এই সৌন্দর্যের কারণে পথটিকে স্থানীয়রা আমাদের হালংবে বলে ডাকে। তবে সুবলং ঝরনার রূপ দেখতে হলে আপনাকে অবশ্যই বর্ষা মৌসুমে আসতে হবে। শীত মৌসুমে ঝরনায় পানি থাকে না।
ঝুলন্ত সেতু
রাঙ্গামাটির পর্যটন শিল্পের আইকন হিসাবে পরিচিত বাংলাদেশ পর্যটন করপোরেশনের ঝুলন্ত সেতু। মাত্র দুইটি পিলারে ওপর ক্যাবলের সাহায্যে নির্মাণ করা হয়েছে এই সেতু। যা যুক্ত করেছে দুটি পাহাড়কে। এই সেতুতে চলতে চলতে দুলতে হয়। যা পর্যটকরা ভীষণ রকম উপভোগ করেন। সাধারণত পর্যটকরা প্রথমেই এই সেতু এলাকায় থাকেন। সেতুটি দেখে তারা বেরিয়ে যান বিভিন্ন দর্শনীয় স্থানের উদ্দেশ্যে।
পলওয়েল পার্ক
বাংলাদেশ পুলিশ কর্তৃক পরিচালিত এই পার্কেও রয়েছে ঝুলন্ত সেতু। আরও আছে সুইমিং পুল, বিভিন্ন শিশুতোষ রাইড, নাইন ডি মুভি দেখার সুযোগ। রয়েছে কটেজ সুবিধা। সেই কটেজে শুয়ে শুয়ে উপভোগ করা যায় হ্রদের বিশালতা। এছাড়াও এই পার্কে স্থাপন করা হয়েছে দেশের প্রথম লাভ পয়েন্ট। এই লাভ পয়েন্টের পেছনে রয়েছে করুণ ইতিহাস। আমেরিকার প্রবাসী আলাউদ্দিন-লিমা দম্পতি হানিমুনে আসেন রাঙ্গামাটিতে। হ্রদ ভ্রমণের সময় আকস্মিক ঝড়ে ডুবে যায় তাদের বোট। ডুবুরি দল দুদিন খুঁজেও তাদের উদ্ধার করতে পারেনি।
তৃতীয় দিন সকালে পলওয়েল পার্কের কাছে আলিঙ্গনরত অবস্থা তাদের মরদেহ ভেসে ওঠে। তাদের এমন ভালোবাসার বন্ধন আপ্লুত করে রাঙ্গামাটিবাসীকে। দাবি ওঠে তাদের স্মরণে লাভ পয়েন্ট স্থাপনের। ফলে এ পার্কেই স্থাপন করা হয় এই লাভ পয়েন্ট।
মুগ্ধতার সড়ক (আসাম বন্তি-কাপ্তাই সড়ক)
পাহাড়ের বুক চিড়ে এঁকে বেঁকে চলে গেছে এই সড়ক। সড়কটির প্রধান বৈশিষ্ট্য হচ্ছে একপাশে বিস্তৃত কাপ্তাই হ্রদের নীল জলরাশি। অন্যপাশে বিশাল পাহাড়। চলার পথে একজন পর্যটক গাড়িতে বসেই এক সঙ্গে উপভোগ করতে পারবেন পাহাড় ও হ্রদের সৌন্দর্য। ১৮ কিলোমিটারের এই সড়কের দুই পাশের সৌন্দর্য দেখলে মনে হবে বিধাতা আপনা হাতে সৃজন করেছে এমন রূপ। তাই স্থানীয়রা এই সড়কের নাম দিয়েছেন মুগ্ধতার সড়ক। পর্যটকদের পাশাপাশি স্থানীয়দের পছন্দে অন্যতম স্থান সড়কটি। এখানে গড়ে উঠেছে বেশ কিছু রিসোর্ট। সেখানে রয়েছে রাত্রি যাপনের সব সুবিধা। করা যায় ক্যাম্পফায়ার। ইচ্ছা করলে থাকতে পারবেন তাবুতেও।
হাউজ বোট
গেল ২ থেকে ৩ বছরের মধ্যে রাঙ্গামাটির পর্যটন শিল্পে যুক্ত হয়েছে হাউজ বোট। এখানে বর্তমানে হাউজ বোটের সংখ্যা ১২টি। প্রতিটি হাউজ বোটেই রয়েছে থাকা খাওয়ার সুব্যবস্থা। বোটগুলো ঘুরে বেড়ায় হ্রদের বুকে। প্রতিটি বোটই যেন এক একটি ভাসমান বাড়ি। এই বোটগুলোতে রয়েছে আধুনিক সব সুযোগ সুবিধা। বিভিন্ন প্যাকেজে এই বোটে কাটানো যায় রাত। পর্যটকদের আকর্ষণের কেন্দ্রবিন্দুতে পরিণত হয়েছে এই সব হাউজ বোট।
বিলাইছড়ি
রাঙ্গামাটির বিলাইছড়ি উপজেলা ইতোমধ্যে ঝরনার উপজেলা নামে পরিচিতি পেয়েছে। এই উপজেলায় রয়েছে ছোট বড় অসংখ্য ঝরনা। যার মধ্যে গাছকাটা ঝরনা, ন কাটা ঝরনা ও ধূপপানি ঝরনা অন্যতম। যা ভারতের মেঘালয়ে চাইতে কোন অংশে কম নয়। তবে এসব ঝরনা দেখার উপযুক্ত সময় হচ্ছে জুন থেকে নভেম্বর। এসব ঝরনা দেখতে হলে আপনাকে হতে হবে অ্যাডভেনচার প্রিয় ও পরিশ্রমী। কারণ ভঙ্গুর পাহাড়ি পথ পাড়ি দিয়ে যেতে হয় ঝরনায়। যেতে যেত মনে হবে কখনই আসব না এই ঝরনায়। যখনি ঝরনার দেখা পেয়ে যাবেন, তখন সব ক্লান্তি দূর হয়ে যাবে এবং সেখানেই সিদ্ধান্ত পরিবর্তন করে সে আপনিই বলবেন আবার আসবো এই ঝরনায় ভিজতে।
সাজেক ভ্যালি
রাঙ্গামাটির বাঘাইছড়ি উপজেলায় মেঘের রাজ্যখ্যাত সাজেকের অবস্থান। যেখানে সারা বছরই পর্যটকের ভিড় লেগে থাকে। যদিও সাজেক রাঙ্গামাটি জেলায়। কিন্তু যাতায়াত করতে হয় পার্বত্য জেলা খাগড়াছড়ির মধ্য দিয়ে। যেখানে মেঘ ছুঁয়ে যায় কটেজের বারান্দা, কখনো কখনো ঢুকে পরে রুমের ভেতরও। অথবা কংলাক পাহাড় থেকে সূর্যোদয় দেখেন পর্যটকরা।
জেলার কাপ্তাই উপজেলায় রয়েছে বেশ কিছু পর্যটন স্পট। তার মধ্যে জীবতলী, নেভীক্যাম্প, প্রশান্তি পার্ক, পড হাউজ অন্যতম। প্রতিটি স্থানেই রয়েছে থাকা খাওয়াসহ বিনোদনের সব ব্যবস্থা। এছাড়াও জেলায় ব্যক্তি উদ্যোগে গড়ে উঠেছে বেশ কিছু রিসোর্ট, তার মধ্যে রয়েছে, মায়াবি দ্বীপ, রাঙ্গাদ্বীপ, বার্গি, রাইন্যাটুগুন, রড়গাঙ্গ, বেরাইন্যা।
পার্বত্য চুক্তির আলোকে স্থানীয় পর্যটন জেলা পরিষদের হাতে ন্যস্ত। জেলার পর্যটন শিল্পের বিকাশে জন্য কাজ করে যাচ্ছেন তারা। রাঙ্গামাটি পার্বত্য জেলা পরিষদের চেয়ারম্যান অংসুই প্রু চৌধুরী বলেন, ‘রাঙ্গামাটি জেলার পর্যটন শিল্পকে এগিয়ে নিয়ে যেতে ব্যাপক পরিকল্পনা হাতে দেয়া হয়েছে। পার্বত্য মন্ত্রণালয়ে একটি মেগা প্রকল্প অনুমোদনে অপেক্ষায় আছে। এটি পাস হলে এই জেলার চেহারা পাল্টে যাবে।’
তিনি বলেন, ‘আমরা মেগা প্রকল্প অনুমোদনের জন্য বসে নেই। পরিষদের আর্থিক সামর্থ্যের মধ্যে ছোট ছোট প্রকল্প গ্রহণ করছি। মোট কথা কাজ থেমে নেই। আমরা চাই বাংলাদেশে পর্যটন শিল্পের আইডল জেলা হবে রাঙ্গামাটি। সে লক্ষ্যে কাজ করে যাচ্ছি।’

Опубликовано:

 

19 сен 2024

Поделиться:

Ссылка:

Скачать:

Готовим ссылку...

Добавить в:

Мой плейлист
Посмотреть позже
Комментарии    
Далее